Nov 26, 2017

আমার ও শ্রাবনির ভালবাসার গল্প | Bangla Love story


:-আপনি আমাকে বিয়ে করেছেন কেন?(শ্রাবনি) :-এছাড়া যে আমার পক্ষে আর কিছুই করার ছিলো না।(আমি) :-কিছু করার ছিলো না,মানে কি? :-মানে হলো,আপনার বাবার দিকে চেয়ে আমি আপনাকে বিয়ে করি।তা না হলে,এখন আপনাকে আপনার বাবার লাশ দেখতে হতো,,, :-তাই নাকি?আপনি কি ভাবছেন,আমি আপনার মতলব কিছুই বুঝি না।আপনি আমার সম্পত্তির জন্য আমাকে বিয়ে করেছেন। :-ম্যাডাম,আপনি যেটা ভাবছেন সেটা সম্পুর্ণ ভুল ধারনা।আমার মনে এমন চিন্তা বা ধারনাই নাই,,, :-এটা সবাই বলবে,,, :-আচ্ছা,এটা বলুন,আপনার ধারনার ভুল ভাংতে হলে আমায় কি করতে হবে,,,, :-আপনি আমাকে "ডিবোর্স" দিয়ে দেন। একথা শুনে আমি "থ" হয়ে গেলাম। :-কি হলো?এমন "থ" মেরে দাড়িয়ে আছেন কেন...? (শ্রাবনি) :-আচ্ছা,আপনি যেটা ভালো মনে করেন সেটাই হবে। :-হুমম।আমি এখন চেন্জ করবো,আপনি বাহিরে যান। এরপর আর কি? আমিও আর দাড়িয়ে না থেকে রুম থেকে বাহির হয়ে,বারান্দায় অবস্থানরত টুলটায় গিয়ে বসলাম। এছাড়া যে আমার আর কিছুই করারই নাই। আজকে শ্রাবনি ম্যাডামের বিয়ের দিন ছিলো। তবে সেই বিয়ের বর কিন্তু আমি ছিলাম না।কিন্তু পরিস্থিতির স্বীকার হয়ে,আমাকে এই বিয়ে করতে হয়। তাহলে শুনুন, :-বাবা,তোমার সাথে আমার একটু কথা ছিলো,,, বিয়ে বাড়িতে ডুকতেই,আমার হাত ধরে কথাটা বলল শ্রাবনির বাবা। :-জ্বী স্যার,বলুন।আর স্যার আপনাকে এমন দেখাচ্ছে কেন?কিছু হয়েছে নাকি? :-তোমাকে আমি সব বলবো।আমার সাথে একটু আসো। এটা বলে উনি আমার হাত ধরে হাটা দিলেন। একটা রুমে নিয়ে গিয়ে দরজা বন্ধ করে দিলো,,, :-বাবা,তুমি আমাকে রক্ষা করো,,,? দুহাত জড়ো করে,মিনতি করে বললো। :-স্যার আপনি এমন করে বলছেন কেন?কিছু হয়েছে নাকি? :-বড় একটা ঘটনা ঘটে গেছে।দেখতেছো তো পুরো বাড়িটা কেমন লোকজনে ভরতি।এখন যদি আমি কথাটা খুলে বলি,হয়তো বা আমার মেয়ের জীনটাই শেষ হয়ে যাবে। :-কি এমন কথা?আপনি আমাকে নিঃসংকোচে বলেন,, :-বাবা,যার সাথে শ্রাবনির বিয়ে হবে,সে নাকি অন্য একটা মেয়েকে নিয়ে পালিয়েছে।কথাটা শুনার পর আমি দিশেহারা হয়ে যাই।তোমাকে দেখেই আমার মনে আশার আলো জ্বলে উঠে। তুমিই পারো এখন আমাকে রক্ষা করতে,,,,,, :-স্যার,আমি কি ভাবে আপনাকে রক্ষা করবো,,,? :-বাবা,তুমি তো জানো,আমি একজন হার্টের রোগী।এখন তুমি ভালো করেই জানো,একজন হার্টের রোগীর পক্ষে কতটুকু চাপ সহ্য করার ক্ষমতা থাকে,,, :-জ্বী স্যার,,, :-তাহলে এই নাও।এগুলো তারাতারি করে পরে নাও।আমি চাই তুমি শ্রাবনি কে বিয়ে করো। (আমার দিকে একসেট বরের পোশাক এগিয়ে দিয়ে বলল,শ্রাবনির বাবা) :-স্যার,আপনি এটা কি বলছেন?

:-আমি ঠিকই বলছি।তোমার উপর আমার পুর্ণ আস্থা আছে।আমি জানি,তুমি সব ঠিকমত সামলে নিবে,,,, :-স্যার,,, :-তুমি কি চাও,আমি এখন একটা লাশে পরিণত হতে?তা না হলে,আর কোন কথা না বলে তুমি তৈরি হয়ে নাও। অতঃপর,আর কি?শ্রাবনি ম্যাডাকেই আমায় বিয়ে করতে হলো। আপনারা হয়তো ভাবছেন,আমি কেন শ্রাবনির বাবাকে স্যার এবং শ্রাবনি কে ম্যাডাম বল,সম্বোধন করছি,,,? তাহলে সেটাও আমি আপনাদের খুলে বলছি,,,,, তার আগে আমি আপনাদেরকে আমার পরিচয়টা দিয়েই দিই,,,, আমি রাজু।পড়া-লেখা শেষ করে,একটা প্রাইভেট কোম্পানিতে চাকরি করি। আপন বলতে আমার কেউই নাই। মা-বাবা আমার ছোটবেলাতেই একটা রোড অ্যাক্সিডেন্ট এ গত হয়।তারপর চাচা-চাচির কাছেই বড় হই।উনাদের কোন সন্তান না থাকায়,উনারা আমাকে নিজের সন্তানের মতই লালন-পালন করে এসেছেন। উনারা থাকেন গ্রামে। আর আমি চাকরি সুত্রে শহরে এসেছি। আমি যে কোম্পানিতে চাকরি করি সেই কোম্পানির মালিক হলো,শ্রাবনির বাবা। উনি আমাকে বরাবরই ভালো জেনে এসেছেন এবং জানেন।আমার কাজ করার দক্ষতা দেখে,তিনি আমার দ্রুত প্রমোশন দেন।আর এই সবের জন্য আমাকে উনি নিজের পাশে পাশে রাখতেন। বয়স বাড়ার এবং অসুস্থতার কারণে উনার পক্ষে অফিসে আসা কষ্টকর ছিলো।তাই তিনি অবসর নিয়ে উনার মেয়েকে মানে শ্রাবনি কে সবকিছু বুঝিয়ে দিয়ে,কোম্পানির বস করে দেন। এবার আশা করি আপনাদের বুঝাতে পেরেছি,শ্রাবনিকে ম্যাডাম বলার কারণ। কিছুক্ষন আগে, বিয়ে করে বউ নিয়ে বাসায় আসলে বন্ধু-বান্ধব,বন্ধু-বান্ধব বলতে অফিসের কিছু সহকর্মী তাদের সহযোগীতায় আমার রুমটা সাজানো হল। সকল ধরনের ঝামেলা শেষ করে,তারা(বন্ধু-বান্ধব) আমার এবং শ্রাবনি ম্যাডাম থেকে বিদায় নিয়ে চলে যায়,যে যার বাসার উর্দেশ্য। যেহেতু আমি আগেই বলেছি,আমি চাকরি সুত্রে শহরে থাকি,সেহেতু আমি এখানে একটা রুমে ভাড়ায় থাকি,এটা আপনাদের বলা লাগবে না। তবে আমার একটা আশা আছে, এই শহরে একটা ফ্ল্যাট কিনে চাচা-চাচিকে নিয়ে এখানে স্থানীয় হয়ে যাওয়ার। যাইহোক ওই আলোচনা বাদ। সকলের মনেই একটা আকাঙ্খা ও কৌতুহল থাকে,তার বাসর রাত নিয়ে। ঠিক সেইরকম আমার ও কিছু চিন্তা ও ভাবনা ছিলো,আমার বাসর রাত নিয়ে। আপনাদের যেহেতু বলেই দিলাম,আমি এইভাবে বিয়ের জন্য প্রস্তুত ছিলাম না,সেহেতু বাসর রাত নিয়ে আমার আরো কৌতুহল ও আশঙ্কা বেড়ে গেলো। তাই সকল কিছু মাথা থেকে ঝেড়ে নিয়ে,রুমে দিকে মানে বাসর ঘরের দিকে যাই। যেই আমি বাসর ঘরে ডুকলাম অমনি শ্রাবনি ম্যাডাম আমাকে বললো, :-আপনি আমাকে বিয়ে করলেন কেন,,,? এরপরের কাহীনি তো আপনারা জানেনই।যাইহোক,আমি এখন বারান্দার টুলটায় বসে বসে রাতের শহরটাকে দেখতেছি। "ওহ হো,আজকে তো চাচা-চাচির সাথে কথাই বলা হয়নি।কি করে বলবো?সময়ই তো পাইনি। এখন রাত প্রায় বারটা বাজতে চলেছে। এখন ফোন দিবো কি দিবো না?"এসব ভাবতেছি। তখনই,,, :-কি ঘুমাবেন না,,,,? আমাকে চমকে দিয়ে কথাটা বললো শ্রাবনি ম্যাডাম। :-হুমম,,,(আমি) :-তাহলে এখানে বসে আছেন যে,,,?ভেতরে চলুন। :-হুমম,চলুন এই বলে আমি আর ম্যাডাম ভেতরে ডুকলাম। :-একি,,!আপনি নিচে বিছানা করছেন কেন,,,?(আমাকে অবাক করে কথাটা বলল,শ্রাবনি ম্যাডাম) :-তাছাড়া কি করবো,ম্যাডাম?(আমি) :-কি করবেন মানে,,,?আপনি বিছানায় ঘুমাবেন,,,, :-তো আপনি কোথায় ঘুমাবেন?(অবাক হয়ে বললাম) :-আমিও বিছানায় ঘুমাবো,,,, :-মানে,,? :-মানে হলো আমি আর আপনি একই বিছানায় ঘুমাবো। :-ম্যাডাম,আপনি ভাবছেন কি?হুমম।আপনি ভাবছেন আমি কিছু বুঝি না,নাকি?আপনি যেটা ভাবছেন সেটা ভুল ভাবছেন। :-আশ্চার্য ব্যাপার তো,আমি আবার কি ভাবতেছি,,,? :-আপনি আমাকে ঐরকম ছেলে ভাববেন না।আপনি ভাবছেন আমি আপনার কথায় বিছানায় ঘুমাবো।আর আপনি সেই সুযোগ ব্যবহার করে আমায় অপমান করবেন।তাই না,,,? :-আপনি তো আসলেই একটা বোকা।আব্বু ঠিকই বলেছিলো আপনার ব্যাপারে।সত্যি বলতে কি,,,?আমি তখন আপনাকে যে ডিবোর্সের কথা বলেছিলাম,তখন সেটা বলেছিলাম আপনার মন পরিক্ষা করার জন্য। :-তাই নাকি?তাহলে আপনি এখন যা বলছেন সেটা আপনি আমার মন পরিক্ষার জন্য,তাই না,,,?ম্যাডাম,আপনি আমায় এতটা বোকা ভাববেন না। :-আরে ধ্যাত,আপনি আমার কথাতো শুনুন,, :-হুমম,বলুন ম্যাডাম,,, :-তাহলে শুনুন,,, আজকে যখন আব্বু শুনলো,আমার সাথে যার বিয়ে হবে সে নাকি অন্য মেয়েকে সাথে নিয়ে পালিয়েছে।তখন আব্বু চারিদিকে শুধু অন্ধকার দেখতে পায়। তখন আব্বু তার অন্ধকার দেখার মধ্য আশার আলো দেখতে পায়।আর সেটা আপনাকে দেখে হয়।এরপর আব্বু আপনাকে ডেকে নিয়ে গিয়ে আমাকে বিয়ে করার জন্য রেডি হতে বললো।যদিও আপনি এসবের জন্য প্রস্তুত ছিলেন না। অতঃপর আব্বু আপনাকে রেডি হতে দিয়ে,এলো আমার রুমে। তারপর আব্বু আমাকে সব কিছু খুলে বললো। আর এটাও বললো যে,উনি নাকি আপনার কারণে আদৌ বেচে আছেন,যদি না আপনি ঐদিন বাবাকে হাসপাতালে নিয়ে যেতেন। :-মানে,,,?আমার কারনে আপনার বাবা কি ভাবে বেচে আছে,কথাটা বুঝলাম না।যদি বুঝিয়ে বলতেন,,,, :-বুঝিয়ে বলতাম মানে,,,?আপনি ভুলে গেলেন নাকি,,,?

বাবা যেই উনার কেবিনের দিকে সিড়ি বেয়ে যাচ্ছিলেন,অমনি উনি নাকি মাথা ঘুরে পড়ে যাচ্ছিলো,অমনি আপনি নাকি দৌড়ে এসে ধরলেন। :-ও,হ্যা আমি ঐদিন আপনার বাবাকে হাসপাতালে নিয়ে গেছিলাম।উনার হার্টে দুর্বলতার কারনে এটা হয়।আর উনার যে হার্টের দুর্বলতা ছিলো,তা ঐদিনই ডাক্তার পরিক্ষা-নিরিক্ষা করে জানান।আর ডাক্তার এটাও বলেছিলেন যে,আপনার বাবা যেকোন সময় মারা যেতে পারেন।আর তাইতো উনি আপনাকে এত তাড়াতাড়ি বিয়ে দিয়ে দিচ্ছিলেন। :-হুমম,এই কথাগুলো আজই আমি বাবার কাছ থেকে শুনলাম। :-এখন আপনি গিয়ে শুয়ে পড়েন,,, :-আপনি কি আমার উপর রেগে আছেন নাকি? :-আরে ম্যাডাম,আপনি কি যে বলেন না,আমি কেন আপনার উপর রেগে থাকবো। :-ওই যে,আমি ডিবোর্স চেয়েছি বলে,,, :-আরে চিন্তা করবেন না।ওটা আপনি পেয়ে যাবেন। :-পেয়ে যাবো মানে,,,?আমি ডিবোর্স চাই না।আপনিই আমার স্বামী।আর ওসব কথা আর মুখেও নিবেন না। :-আরে ম্যাডাম,আপনি এটা কি যে বলেন।আমার সাথে আপনার কি করে যায় বলুনতো,,, একথা বলার দেরী শ্রাবনি ম্যাডাম আমায় জড়িয়ে ধরতে দেরী নাই। :-ম্যাডাম,আপনি আমায় জড়িয়ে ধরলেন যে,,,(আমি) :-এটা আমার অধিকার।(শ্রাবনি ম্যাডাম) :-তাই নাকি,,?কিসের ভিত্তিতে আপনি আমায় একথা বললেন,,,,,? :-আপনি আমার স্বামী,সেটার ভিত্তিতে,,, :-কিন্তু আপনি,,, আর কিছু বলতে পারলাম না,,,, কারণ,তা বলার আগেই শ্রাবনি ম্যাডামের ঠোঁঠ জোড়া আমার ঠোঁঠ জোড়াকে আকৃষ্ট করে ফেলেছে। প্রায় দুই মিনিটের মত এই ভাবে দাড়িয়ে ছিলাম। :-কি?এখনও আপনাকে আমার বুঝাতে হবে,আমি আপনাকে স্বামী হিসেবে মানছি কিনা,,,? ঠোঁঠ জোড়া ছাড়িয়ে আমায় জড়িয়ে ধরা অবস্থায় কথাটা বলল,শ্রাবনি ম্যাডাম। :-কি যে বলেন ম্যাডাম,,,,?(আমি) :-এইই,আপনি আমায় এইরকম ম্যাডাম ম্যাডাম বলছেন কেন,,,?(জড়ানো অবস্থা থেকে ছাড়িয়ে বললেন) :-ম্যাডামকে ম্যাডাম বলবো না তো কি বলবো,,,?হুমম। :-আমি আপনার কোন কালের ম্যাডাম হই?হুমম। :-এই যে,আপনি আমার অফিসের বস বলে,আপনি আমার ম্যাডাম হন। :-তাই নাকি,,,?তাহলে এখন তো আমি আর অফিসের কারো বস নই,এখন আমি আপনার স্ত্রী।সুতরাং আপনি আমায় ম্যাডাম বলে ডাকবেন না।আর আপনি কি আমায় স্ত্রী হিসেবে স্বীকৃতি দিবেন না? :-আপনি যখন আমায় "কবুল" বলে বিয়ে করেন,তখন থেকেই আমি আপনাকে আমার স্ত্রী হিসেবে গ্রহন করে নিই।এখন যদি আপনি সেই গ্রহনটাকে স্বীকৃতি দেন,তাহলে তো আর কোন কথাই নেই। :-আমিতো আপনাকে স্বামী হিসেবে মেনেই নিয়েছি।আর জানেন,আমার না একটা বিস্বাস আছে,আমার স্বামীর ব্যাপারে,,, :-তাই নাকি,,?তাহলে বলে ফেলুন আপনার সেই বিস্বাসের কথাটা,,,

:-সেই বিস্বাসটা হলো,আমার স্বামী আমাকে খুব ভালোবাসবে আর আমিও উনাকে খুব ভালোবাসবো। :-তাই নাকি,,,?তাহলে,আমি আমার ভালোবাসার প্রমানটা আপনাকে কি ভাবে দিবো,,?বলুন তো। :-সেটা আপনি আপনার কাজেই আমায় দেখাবেন।যেমন,,, :-যেমন আপনাকে এমন করে শক্ত করে পেছন থেকে জড়িয়ে ধরবো।তাইতো,,?(মুখের কথা কেড়ে নিয়ে,পেছন থেকে জড়িয়ে ধরে বললাম,আমি) :-হুমম।তবে আমার মনে হয় আপনি এখনও আমায় মেনে নিতে পারেন নাই,,,, :-মানে,,,,?আপনার কেন এমনটা মনে হলো,,,,? :-মনে হবে না কেন?আপনি আমায় এখনও আমায় আপনি আপনি করে বলছেন।তাই,,,, :-তাহলে আমি কি সম্বোন্ধ করে,আপনার সাথে কথা বলবো,,,? :-আপনিতো সত্যিই বোকা।আপনি আমাকে তুমি করে আর নাম ধরে ডাকবেন।ঠিক আছে,,,? :-হুমম,তা মানলাম।কিন্তু তুমিও আমাকে আপনি করে না বলে তুমি করে বলবে।ঠিক আছে,,,? :-হুমম। :-এখন তাহলে চলো,ঘুমিয়ে পড়ি। :-হুমম,রাততো অনেক হয়ে গেলো।চলো,,, :-তার আগে একটা ইয়ে দাও,,, :-কি,,? :-ওই যে ওই সময় দিলে যে,,, :-কি দিয়েছি,,,? :-আরে ধুরর,এদিকে আসোতো,আমিই দিই,, ও কাছে আসলে, ওর কোমরের দুপাশে হাত রেখে ওকে কাছে টেনে আমার ঠোঠ দুটো ওর ঠোঠের দিকে এগিয়ে নিয়ে একটা লম্বা করে ইয়ে দিলাম। :-এবার তো ছাড়ো,,,, যদিও শ্রাবনি আমায় একথা বললো,কিন্তু সে নিজেকে ছাড়ানোর কোন চেষ্টা ই করছে না। :-কি করে ছাড়ি বলোতো,,?তুমিই তো আমার লোভটা বাড়িয়ে দিয়েছো,,,,, :-তাই নাকি?আমি আবার কি করলাম,যে তোমার লোভ বেড়ে গেলো,,,, :-ওই সময় তুমি ইয়েটা না দিলে তো আমি জানতাম না তোমার ঠোঁঠে মিষ্টি আছে।জানো আমার না এখন মন চাইতেছে তোমার ঠোঁটে আরেকটা ইয়ে দিতাম। আমার এই কথা শুনে শ্রাবনি লজ্জায় লাল হয়ে গেলো। :-তুমি না,,, :-আমি কি,,,?(আমি) :-চলো ঘুমাতে হবে।আমার না খুব ঘুম পাচ্ছে,,, :-হুমম,,,,তুমি ঘুমাও আমি ফ্রেশ হয়ে আসি। :-হুমম, অতঃপর শ্রাবনি ঘুমাতে গেলো।আর আমি ফ্রেশ হতে গেলাম। :-এটা কি হচ্ছে শ্রাবনি,,,?(ফ্রেশ হয়ে এসে দেখি শ্রাবনি আলাদা একটা বালিশে শুয়ে আছে,তাই কথাটা বললাম) :-কি হচ্ছে মানে,,,?(শ্রাবনি) :-এই যে তুমি আলাদা বালিশে শুয়ে আছো,,, :-তো আমি কোথায় ঘুমাবো,,,? :-কোথায় আবার,,,?আমার বুকের মাঝে ঘুমাবে। (বিছানায় উঠতে উঠতে বললাম) -তারমানে তোমার কিছুটা হলেও বুদ্ধি আছে,,, :-মানে,,? :-মানে হলো,আমি আলাদা বালিশে এই জন্য শুয়েছিলাম যে,তুমি আমাকে আলাদা বালিশে ঘুমাতে দেখে কিছু বলো কি না,,, :-তাই নাকি,,,? এই বলে আমি ওকে জড়িয়ে ধরলে,,, ও নিজেকে ছাড়িয়ে নিয়ে, :-এইই,এখন কোন দুষ্টমি করবে না,কিন্তু।তারাতারি করে শুয়ে পড়।(শ্রাবনি) :- তাই নাকি,,?তাহলে একটু এদিকে আসোতো,,,, এরপর শ্রাবনি একটু কাছে আসলে আমি ওকে আরো শক্ত করে জড়িয়ে ধরলাম। এরপর আর কি?বাকিটা মনে করেন ইতিহাস। যদিও জাতি ইতিহাসটা জানতে চায়।কিন্তু আপসুস,ইতিহাস শোনাটা যে পাপ।হা হা হা,,,