Showing posts with label প্রেম ও ভালবাসার গল্প. Show all posts
Showing posts with label প্রেম ও ভালবাসার গল্প. Show all posts

Nov 12, 2018

রোমান্টিক এস এম এস. ভালোবাসা দিবসের এসএমএস boyfriend love sms



(৩৭১) মানুষ ভালবাসার পাগল..একটুখানি ভালবাসার জন্য মানুষ অনেক কিছু করতে পারে..

(৩৭২) এসে গেলো ফেবরুয়ারী,, মন চায় প্রেমে পরি.. আমি এখন একা,, কবে পাবো তোমার দেখা.. কোথায় গেলে তোমায় পাই,, মন যে শুধু চাই.. ১৪ ফেবরুয়ারী GIFTE টা যেনো আমি পাই..!!

(৩৭৩) তুমি আমাকে যতই কষ্ট দাও....... আমি তোমাকে আপন করে নেবো, তুমি আমাকে যতই দুঃখ দাও...... আমি সেই দুঃখকেই সুখ ভেবে নেবো, তুমি যদি আমাকে ভালোবাসা দাও..... তোমাকে এই বুকে জড়িয়ে নেবো, আর কখনও যদি তুমি আমাকে ভুলে যাও, আমি তোমাকে সারাটি জীবন....... নিরবে ভালোবেসে যাবো.......!

(৩৭৪) চোখের আড়াল হতে পার মনের আড়াল নয়, মন যে আমার সব সময় তোমার কথা কয়, মনকে যদি প্রশ্ন কর তোমার আপন কে ? মন বলে এখন তোমার লেখা পড়ছে যে ! ! !

(৩৭৫) জীবনের রং বড় বিচিত্র, কখনো লাল কখনো নীল। কখনো মুক্ত পাখির মতো। কখনো আবার চুপসে যাওয়া ফুলের মতো। হারিয়ে যায় কত চেনা মুখ। থেকে যায় সুধু অনাবিল সূখ।

(৩৭৬) একদম নিখুঁত মানুষখুঁজতে যেও না ,বিধাতা মানুষের ভিতরকিছু কিছু খুত মিশিয়ে দিয়েছে;বেশি নিখুঁত মানুষ খুঁজতে গেলে,তুমি ভালোবাসার কোনোমানুষই পাবে না..!!

(৩৭৭) মিষ্টি হেসে কথা বলেপাগল করে দিলে,তোমায় নিয়ে হারিয়ে যাবআকাশের নীলে,তোমার জন্য মনে আমারঅফুরন্ত আশা।সারা জীবন পেতে চাইতোমার ভালবাসা।

(৩৭৮) স্বপ্ন দিয়ে আঁকি আমি, সুখের সীমানা । হৃদয় দিয়ে খুজি আমি, মনের ঠিকানা । ছায়ার মত থাকবো আমি, শুধু তার পাশে, যদি বলে সে আমায় সত্যি ভালবাসে॥

(৩৭৯) জীবনের স্বপ্ন নিয়ে বেধেছি একটি ঘর, তোমাকে পাবো বলে সাজিয়েছি প্রেমের বাসর, আবেগ ভরা মনে অফুরন্ত ভালোবাসা, সারা দেয় কোনে কোনে শিহরন জাগে মনে, তোমাকে পাওয়ার আশায়

(৩৮০) জীবন হল বাচার জন্য।মন হল দেবার জন্য।ভালবাসা হল সারা জিবন পাশে থাকার জন্য।বন্ধুত্ত হল জিবন কে সুন্দর করার জন্য।

(৩৮১) বিধি তুমি সবই জানো, জানো মনের কথা, আজো তো পেলাম না আমার বাম পাজরের দেখা, যে আমায় ভালোবেসে পাশে থাকবে সারাটি ক্ষন, যে আমায় ভালোবেসে রাংগীয়ে দিবে আমার ভূবন, বলো না বিধি তার দেখা পেতে আর কতক্ষন

(৩৮২) প্রেম হচ্ছে গাড়ির মতো।অভিমান হলো যানঝট,কয়েকদিন কথা না বলা সেটা হরতাল।ব্রেকআপ মানে চাক্কা পামচার/একসিডেন্ট

(৩৮৩) জীবনের কিছুটা পথ একা একা চলা তেমন কঠিন নয়।কিন্তু যদি এক জনের সাথে চলা যায়।বাকি পথ চলা খুব কঠিন।

(৩৮৪) প্রেমে বিরহ আসবে। এটা চিরন্তর সত্য।আর যদি এর অন্যথা ঘটে তবে তা প্রেম নয় অন্য কিছু।

(৩৮৫) খুব নিশিতে কষ্ট হলে , মাথা রেখ চাঁদের কোলে , তবুও যদি কষ্ট থাকে চোখ রেখ আমার চোখে । কষ্ট রেখোনা বুকের মাঝে পাঠিয়ে দিও আমার কাছে ।

Bangla love SMS , new love SMS bd valobasher SMS
রোমান্টিক এস এম এস. ভালোবাসা দিবসের এসএমএস

(৩৮৬) নরমাল হাতের সুইট লেখে | বন্ধু আমি ভেরী একা | চাঁদের গাঁয়ে জোসনা মাখা, মোনটা আমার ভিষন ফাকা| ফাকা মোনটা পূরণ কর, একটু আমায় স্বরন কর|

(৩৮৭) খুঁজিনি কারো মনতোমার মন পাবো বলে!!ধরিনি কারো হাততোমার হাত ধরবো বলে!!হাঁটিনি কারো সাথেতোমার সাথে হাঁটবো বলে!!বাসিনি কাউকে ভালতোমাকে বাসবো বলে!!

(৩৮৮) প্রেম হলো সরল অংকের মত।সরল অংকে যেমন যোগ, বিয়োগ, গুন, ভাগ ও বন্দনী থাকে, তেমনি প্রেমেও থাকে হাসি-ট্টাটা, মান-অভিমান, বিরহ-বিচ্ছেদ, অনাবিল সুখ আর না পাওয়ার সিমাহীন বেদনা

(৩৮৯) ৭ ফেব্রুয়ারি= রোজ ডে।৮ ফেব্রুয়ারি= প্রপোস ডে।৯ ফেব্রুয়ারি= চকলেট ডে।১০ ফেব্রুয়ারি= টেডি ডে।১১ ফেব্রুয়ারি= প্রমিস ডে।১২ ফেব্রুয়ারি=hug Day.১৩ ফেব্রুয়ারি= কিস ডে।১৪ ফেব্রুয়ারি= হ্যাপি ভেলেন্টাইনস ডে.

(৩৯০) ভালোবাসা হল প্রজাপতির মত। যদি শক্ত করে ধর মরে যাবে! যদি হালকা করে ধর উড়ে যাবে আর যদি যত্ন করে ধর কাছে রবে...

(৩৯১) পুরো পৃথিবীকে ব্রেকআপ দিবো। শুধু একবার বল,ভালোবাসিস আমায়? প্লীজ বল পেত্নি।

(৩৯২) জীবন এক বিরক্তিকর অধ্যায়। তবুও পরবর্তী পরিচ্ছেদে তুমি আছ ভেবে পাতা উল্টাই।

(৩৯৩) দুষ্টমি নয় "Really" ফাজলামি নয় "Seriusly" ধোকা নয় "Sotti" হিষ্টরি নয় "Bastobota" অন্য কাউকে নয় "2mak" বলছি-"I LOVE U"

(৩৯৪) আমি যদি রাবার হতাম তোমার জীবনের সব কষ্ট গুলো মুছে দিতাম.......... . আর যদি পেন্সিল হতাম তোমার জীবনের সুখ গুলো সুন্দর ভাবে লিখে দিতাম..........

(৩৯৫) ভুল তোমার ছিলো তুমি বুঝতে পারোনি, রাগ আমারও ছিলো কিন্তু আমি দেখায় নি। ভুলে যেতে আমিও পারতাম, কিন্তু চেষ্টা করিনি, কারণ ভুলে যাওয়ার জন্য ভালোবাসিনি।

(৩৯৬) ভালোবাসার অর্থ কি? বলতে পারিস?? ভালোবাসার অর্থ যদি হয় সারাদিন তোকে মিস করা তাহলে ভালোবাসি তোকে…!! ভালোবাসার অর্থ যদি হয় চোখ বুজলেই তোর মুখটি আকাশের মতো ভেসে উঠা তাহলে ভালোবাসি তোকে…!! ভালোবাসার অর্থ যদি হয় সারাক্ষণ তোর স্মৃতিতে ডুবে থাকা তাহলে ভালোবাসি তোকে……!!


রোমান্টিক এস এম এস. ভালোবাসা দিবসের এসএমএস

(৩৯৭) তুমি এলে চাঁদ আধারে লুকায় তুমি এলে ফুল কলি থেকে যায় তুমি এলে রংধনু হয়ে যায় স্লান তুমি এলে এ দেহে ফিরে আসে প্রাণ

(৩৯৮) হৃদযের সীমানায় রেখেছি যারে, হয়নি বলা আজো ভালবাসি তারে। ভালবাসি বলতে গিয়ে ফিরে ফিরে আসি। কি করে বুঝাবো তারে আমি কতটা ভালোবাসি?

(৩৯৯) *জানের চেয়ে প্রিয় তুমি প্রাণের চেয়ে আপন* *মনের মাঝে হূদয় তুমি আমার শত শপন* *তুমি শত আশা আমার তুমিই ভালোবাসা* *প্রাণে মিশে আছো তুমি তুমিই আমার ভরসা*

(৪০০) মাঝে মাঝে মনে হয়সত্যি কেউ কারো নয়,,সময়ের প্রয়োজনে জীবনেকেউ আসে,,আবার সময়ের প্রয়োজনে জীবনথেকে হারিয়ে যায়,,বাস্তব আসলে অনেকবেশি ভয়ংকর,,আর আবেগ খুব খারাপ।

(৪০১) জীবনে সুখী হওয়ার জন্য পুরো পৃথিবীর দরকার হয়না। শুধু একজন মনের মতো মানুষ হলেও হয়। যেমনঃ তুমি আমার সেই মানুষটি। __আই লাভ ইউ__

(৪০২) তোমায় আমি বলতে চাই,তুমি ছাড়া প্রিয় আর কেহ নাই। ভালবাসি শুধু তোমায় আমি,জনম জনম ভালবাসতে চাই।

(৪০৩) মানুষ যখন প্রেমে পড়ে তখন হাজার বছর বাঁচতে চায়। আর যখন ব্যথ হয়, তখন প্রতি মুহূত মৃত্যু কামনা করে.

(৪০৪) ভালোবাসা হল রংধনুর মত রংধনু যেমন সাত রং ছাড়া পরিপূর্ন হয়না তেমনি...... বিশ্বাস, অভিমান,স্বপ্ন, আশা,রাগ,দুঃখ,আবেগ ছাড়া ভালোবাসাও পরিপূর্ন হয়না।

(৪০৫) মনের আকাশ দিবো লিখে.. আমি তোমার নামে.. সে আকাশটা বিক্রি হবে.. ভালবাসার দামে.. পারলে তুমি ভালবেসে নিও তোমার করে... আমি কিন্তু তোমায় ভালবাসবো সারা জীবন ধরে..........

(৪০৬) তোমার এক চোখেতে রোদেলা আকাশ অন্য চোখে ছায়া তোমার জন্য বুকের ভেতর বাড়ছে শুধু মায়া হৃদয় জুড়ে তোমার জন্য স্বপ্ন রাশি রাশি আমার চেয়ে তোমায় আমি অনেক বেশি ভালবাসি ।

(৪০৭) তোমাকে ধরে রাখার ক্ষমতা আমার নেই –--কিন্তু,তোমাকে ভালোবাসার ক্ষমতা আমার আছে। -–-কথা দিতে পারি,"সারাজীবন তোমায় একই ভাবে ভালোবাসতে পারবো"। --–যদি কখনো চলে যাও, "আমার ভালোবাসার সীমানা পেরিয়ে" -–-তবে মনে রেখো, "এমন একজনকে তুমি হারিয়েছো" -–––-

(৪০৮) আকাশের মতো বিশাল সাগরের মতো উদার সূর্যের মতো আলোকিত রাতের আকাশের মিটি মিটি তারার ও জুৎস্নার আলোয় পুলকিত হউক তোমার মন। শিশির ভেজা ফুলের সৌরভে সুভাশিত হউক তোমার জীবন।

(৪০৯) ভালোবাসা হল রংধনুর মত রংধনু যেমন সাত রং ছাড়া পরিপূর্ন হয়না তেমনি...... বিশ্বাস,অভিমান,স্বপ্ন,আশা,রাগ,দুঃখ,আবেগ ছাড়া ভালোবাসাও পরিপূর্ন হয়না।

Bangla love SMS , new love SMS bd valobasher SMS
রোমান্টিক এস এম এস. ভালোবাসা দিবসের এসএমএস

(৪১০) যাকে ভালবাসবে তাকে কখনো দূরে ঠেলে দিতে নেই। কারন তোমার দূরত্বের সুযোগ অন্য কেউ নিতে পারে। জানি তুমি ব্যস্ত কিন্তু শত ব্যস্ততার মাঝেও তোমার প্রিয় মানুষটির একটু খবর নাও। কারন সবকিছু সহ্য করা গেলেও প্রিয়জনের দেওয়া অবহেলা সহ্য করা যায় না। তাই যাকে সত্যি ভালোবাস তাকে হারিয়ে যেতে দিও না।

(৪১১) Gf বা Bf থাকা মানেই ভালোবাসা না ... কিন্তু.. জীবনে এমন একজন থাকা যার প্রতি আপনার অন্ধ বিশ্বাস আছে আপনি যদি তাকে সর্বোচ্চ পরিমাণ কষ্ট দেন তবুও সে আপনার হাত ধরে রাখবে আর বলবে " আমি আছি, আমি ছিলাম আর আমি সব সময় তোমারি থাকবো .... এটাই ভালোবাসা এটাই জীবন..........

(৪১২) ভালোবাসা হচ্ছে একটি অজানা । অজান্তেই একটি মন একজন কে ভালোবেসে ফেলে । সে বুঝতেই পারেনা কখন সে যে তাকে ভালোবেস ফেলেছে !

(৪১৩) "" যখন তুমি আমাকে বললে ক্ষনিকের জন্য হলেও তুমি আমাকে একটু সুখ দাও""। ""তখন আমার জন্য হৃদয়ে জমে থাকা সুখ থেকে তোমাকে বন্চিত করতে পারলাম না""। ""জড়িয়ে ধরে তোমার চিবুকে একটা " # kiss" দিলাম""। ""R সে সময় তুমি আমার হৃদয়ের গহীন কোনের সুখ নিদ্রায় ঘুমিয়ে গেলে""।""আমি পারলাম না তোমার সে ঘুম থেকে জাগ্রত করতে""।""কিন্তুু সেই নরপিশাচ মানুষ গুলি তোমাকে আর ঘুমোতে দিলনা আমার বুকের গহীন কোনে""।

(৪১৪) আজ হয়তো তুমি অন্য কারো বুকে মাথা রেখে সুখের স্বপ্ন বুনছ, আর আমি তোমার আর আমার ভেঙ্গে যাওয়া স্বপ্ন গুলো বুকের ভিতর পুষছি। আমি এখনও পারিনি, তোমার মত করে ভুলে যেতে আমাদের স্বপ্ন গুলো। পারিনি ভুলে যেতে"তুমি নামের সেই অতিত টাকে"। জানিনা কোনো দিন পারবো কিনা। এখন তোমার কথা ভাবতে গেলে বুকের মাঝে কেমন যেন করে উঠে। একটা অজানা কষ্ট আমাকে কিছুটা সময়ের জন্য নীরব করিয়ে দেয়। তবুও চাই ভালো থেকো তুমি, অন্য কারও বুকেই সুখে থাকো। আমি না হয় তোমার সুখ গুলো দেখে বেঁচে থাকবো জীবনের বাকি দিন গুলো। তবুও তোমার মত মিথ্যে করে অন্য কাউকে নাই বা বললাম ভালোবাসি তোমায়....

(৪১৫) যদি জোনাকি হতাম তোমার কাছে উড়ে যেতাম মিটি মিটি করে জ্বলতাম তোমার চারপাশে নীরবে বসতাম তোমার কাছে আলতো করে তোমায় ছুয়ে দিতাম রাঙ্গিয়ে দিতাম মন আর কানে কানে বলতাম তোমায় ভালবাসি ভীষন

(৪১৬) আমার জীবন -এ আমি অনেক কিছু দেখেছি ।অনেক কিছু বুঝেছি । অনেক কিছু শুনেছি । আবারভুলেও গেছি । কিন্তু তোমাকে যতই দেখি, যতইবুঝি, যতই শুনি তুমি কি আমাকে বলতে পার যে কেন আরও বেশি দেখতে, বুঝতে, শুনতে ইচ্ছা করে

(৪১৭) পারবনা কোনদিন তোমায় কষ্ট দিতে ।কখনও পারবনা তোমায় ভূলে যেতে ।এমনকি পারবনা তোমায় বিদায় দিতে ।শুধু পারব তোমাকে সারাজীবন ভালবাসতে

(৪১৮) জানো না তো হৃদয় জুরে তুমি শুধুআবার ও তুমি, একটাই রাস্তা শুধুশুনতে যদি তুমি, এ মনের যত কথাবাসতেই ভালো, মানতে না কোনো বাঁধা !!

(৪১৯) নিঃসঙ্গ এই জীবনে...আলোর প্রদিপ জ্বেলে !!আমায় ভাসালে সুখের সাগরে ।দুটি চোখে স্বপ্ন দিলে,আর দিলে আশা !!কোন দিন যেন শেষ হয় না...তোমার-আমার ভালোবাসা ।।

(৪২০) এমন কাউকে জীবনসাথী হিসেবে বেছে নেও যে শুধুতোমাকে পেয়ে গর্ব করবে না।বরং শুধু তোমার সাথে থাকার জন্য সবরকম ঝুকি নিতে সবসময় প্রস্তুত থাকবে।

(৪২১) কিছু আশা তোমায় দিলাম,মুঠো করে রেখো,কিছু স্বপ্ন তোমায় দিলাম,বুকে বেধে নাও,কিছু ভালবাসা তোমায় দিলাম,যাতে তুমি,সারাজীবন আমায় হয়ে থেকো।

(৪২২) আমি তোমাকে ভালবেসেছি...তোমার রূপকে নয়...আমি তোমার মনকে ভালবেসেছি...তোমার দেহকে নয়...আমি ভালবাসি শুধুতোমাকে পাবার আসায়...ভালবাসা কি জান ?? আমি জানি...আমার কাছে ভালবাসা মানে "তুমি " শুধু তুমি।

(৪২৩) পৃথিবীর সকল দুরুত্বকে হার মানায়।যখন তুমি পাশে থাকো কিন্তুবলতে পারিনা আমি তোমায় ভালবাসি।

(৪২৪) জীবনে হয়তো তুমি অনেক কিছু পাবে, আবার অনেক কিছু হারাবে,কিন্তু কিছু পাওয়ার জন্য তোমার জীবনের এমন কাউকে হারিওনা যে তোমাকে অনেক বেশী ভালোবাসে.......!!

(৪২৫) শ্রাবনে ওই বৃষ্টি ধারায়, আজ শুধুতোমাকে খুঁজে বেড়াই. যদিও তুমি অনেক দুরে,তবুও রেখেছি তোমায় মন পাঁজরে.নীরবে তোমায় মিস করি সারাক্ষণ, অথচ তা তোমারকাছে আজও গোপন..!!

(৪২৬) ভালোবাসতে কখনও রুপ খুঁজো না | খোঁজএকটা সুন্দর মন | দেহের ভালোবাসা একদিন শেষহয়ে যাবে কিন্তু মনের ভালোবাসা কোনদিন শেষহবে না

(৪২৭) পুরো পৃথিবীকে আলোকিত,করার জন্য যেমন,একটা সূর্য যথেষ্ট,ঠিকতেমনি পুরো জীবনকেসাজাতে মনেরমত একজন মানুষই যথেষ্ট।

(৪২৮) ভালোবাসা কি জানিনা...তাই কাউকে ভালবাসিনা.প্রপোজ করতে পারিনাতাই কাউকে করিনা।শুধু একটি অপেক্ষায় আছি,কখন কেউ বলবে এসেআমি তোমায় ভালবাসি...

Bangla love SMS , new love SMS bd valobasher SMS
রোমান্টিক এস এম এস. ভালোবাসা দিবসের এসএমএস

(৪২৯) আমি চাই না ,তুমি আমাকে বার বার বলো,আমি তোমাকে ভালবাসি !কিন্তু আমি চাই ,তুমি আমার জন্য একটু অপেক্ষা করো ...আমি বলছি না,তুমি আমাকে অনেক ভালোবাসবে !কিন্তু আমি বলছি,তুমি আমাকে একটু সুযোগ দিও ...তোমাকে মন উজারকরে ভালোবাসতে...

(৪৩০) দিব তোমায় লাল গোলাপ।।সপ্নে গিয়ে করবো আলাপ।।বলবো খুলে আমার কথা।।আছে যত মনের কথা।।বলবো তোমায় ভালোবাসি।।থাকবো দুজন পাশাপাশি।।

(৪৩১) ভালোবাসাকে যদি শস্যক্ষেত্র রুপে কল্পনা করা হয়, তবে বিশ্বাস তার বীজ। আর পরিচর্যা হলো আবেগ।

(৪৩২) মন is not সরকারী,it is very দরকারী.যাকে তাকে do not দান,হারিওনা your মানসম্মান. মনটা দিবে just তাকে,loveকরবে যে only তোমাকে|

(৪৩৩) ভালোবাসার শুরু হয়,শেষ হয় না।হয়তো এক সময় ভালোবাসারমানুষটা হারিয়ে যায়,তবে ভালোবাসা হারায় না।বরং মনের গভীরেই থেকেযায়।....

(৪৩৪) একটা আঁকাশে অনেক তাঁরা । একটা জীবনে দূঃখ ভরা । অনেক রকম প্রেমের ভুল । ভুলের জন্য জীবন দিবো । তবুও আমি তোমারই রবো ।

(৪৩৫) তোমার জন্য আমার শেষ অনুরোধ, কখনো পারলে ভালবেসো..... আমাকে নয়,অন্য কাউকে..... তবে তোমার মতো করে নয়,আমার মতো করে...... যাতে কোন চাওয়া থাকবে না,থাকবে না কোন প্রাপ্তি। থাকবে শুধুই প্রতিক্ষা......

(৪৩৬) ভুলতে পারি না তারে মনে পড়েশুধু বারে বারে জানি।সে কতো দুরে তবু ওআছে হ্নদয় জুড়ে,এখনো যে ভাবি তারে।সে কি আজ ও মনে করে আমারে।

(৪৩৭) রাত নয় চাদ আমি সেই চাদের আলো তুমি মাটি নয় ফুল আমি সেই ফুলের কলি তুমি আকাশ নয় মেঘ আমি সেই মেঘের বৃষ্টি তুমি এভাবেই মিশে থাকব তুমি আর আমি

(৪৩৮) জীবন টা খুব অলপ"মাঝখানে একটা গলপ"যাবে একদিন ঝরে"থাকবে সৃতি পড়ে"তবু কত আসা"বাদবো সুখের বাসা"আপন হবে মাটির ঘর

(৪৩৯) হয়তো ভালবাসতেজানি না ,আমি তোমার মতো করে ।।কিন্তু তোমারমনটা রেখেছি ,আমার হৃদয়ে খুব যতন করে ।।হয়তো তুমি এখনো পুরোপুরি ,বুঝতে পারনি আমাকে ।।কিন্তু হাজার কষ্টের মাঝেও ,শুধু ভালবাসি তোমাকে.......

(৪৪০) একটা সুন্দর মানুষতোমাকে সুখী করতে পারবেনা,কিন্তু একটা সুন্দর মনতোমাকে অনেকসুখী করতে পারবে।তাই সুন্দর মানুষ কে নয়,সুন্দর মন কে ভালোবাসতে শিখো।

(৪৪১) আমি ভালবেসেছি তোমাকেতোমার রূপকে নয়......আমি ভালবেসেছি তোমার মনকেতোমার দেহকে নয়.......আমি ভালবাসি শুধুতোমাকে পাবার আশায়.....ভালবাসা কি জানোআমি জানিআমার কাছে ভালবাসা হচ্ছে তুমি........


রোমান্টিক এস এম এস. ভালোবাসা দিবসের এসএমএস

(৪৪২) সব কবিতার শেষ লাইনে তুমি ,সব গল্পের শুরুতে তুমি ,ভোরের কুয়াশায় তুমি ,বিকেলের আবছা আলোয় তুমি ,সন্ধ্যার হিমেল হাওয়ায় তুমি ,রাতের নীরবতায় তুমি ,আমার সব মৌনতায় তুমি ,আমার সমস্ত অনুভূতি জুড়ে তুমি ,গভীর রাতের শিরোনাম তুমি !

(৪৪৩) সত্যের মূলে তুমি জীবন বাচাও !মিথ্যার মূলে তুমি ভালোবাসো না,যদি দ্বন্দ্ব বিনিময়ে ফিরে আসে সেই আশা,তবে সেটাই হবে তোমার প্রকৃত ভালোবাসা !!

(৪৪৪) ভালবাসা বুঝি এমনি হয়,না দেখলে মনছটপটায়,ছুয়ে না দিলে আনচানকরে, ছুতে গেলে ভয় লাগে,কথা বলা হয়না লোকের ভিরে তার পরো মন তোমায় বিষনভালবাসে,

Oct 23, 2018

ভালোবাসার গল্প বসন্তবৌরি

বসন্তবৌরি
জাহান সুলতানা
===============

বছরঘুরে আরেকটা বসন্ত আসি আসি করছে নাকি চলেই এলো কে জানে। আমাদের বড় বাগানের জামরুল গাছটার ডালে দুটি কাশকুশো পাখি এই এঁটো দুপুরে ডাকাডাকির খেলায় মেতেছে। মন খারাপ করে শুনছি আর জানালা দিয়ে দুপুরের বিষন্ন নিঃস্তব্ধতার সঙ্গী হচ্ছি। কতবছর পরে বাড়ি এলাম আমি? মনে হচ্ছে এইতো সেদিনের কথা শহরের কলেজে পড়ার উদ্দেশ্য কাঁদতে কাঁদতে চেনা এই আকাশ নদী গ্রাম পশ্চিমের মাঠ , মায় বাগানের গাছে গাছে বাসা বোনা চিরচেনা সবপাখি দম্পতি খেলনার ঘুড়ি পিস্তল মার্বেল সবচেয়ে বড় কথা আমার সদ্য বিধবা হওয়া জনম দুঃখিনী মা কে ছেড়ে চাচার সাথে চলে গিয়েছিলাম ।

আজ মা চাচী সবাই ছুটোছুটি করছে এটা সেটা রান্নায়। এত আয়োজন কেন ? মায়ের জুলফিতে পাঁক ধরেছে। ছেলে পঁচিশ বছরের যুবক হলে মাকে বৃদ্ধ হতে হয় বৈকি।
আমার বড় চাচা চাচীর কোন ছেলেমেয়ে নাই। বংশের একমাত্র সন্তান হওয়ায় আদরের কমতি হয়নি আমার।

কেন জানি মায়ের উপর অভিমান করে সেদিনের পর আর গ্রামে ফিরিনি। মা কেঁদেকেটে কত চিঠিই না লিখেছেন। অভিমান একটাই যে মানুষটাকে আমি যমের মত ভয় পাই মা কেন আমাকে তার সাথে বড় শহরে পাঠালেন।

এসেই শুনি চাচা আমার বিয়ে ঠিক করে ফেলেছেন। কি অদ্ভুত!

তারচেয়ে অদ্ভুত ব্যাপার গতরাতে অদেখা অচেনা কোন মেয়ের হাত আমার হাতে গেঁথে গেছে! চেয়ারম্যানবাড়ির সেই মেয়ে নাকি পড়াশোনা কাজেকর্মে এত তুখোড় আমি ছাড়া দশগ্রামে তার যোগ্য পাত্র আর কেউ নেই!
অনেকটা যন্ত্রের মত চাচার আদেশ অনুযায়ী কলেমা পড়ে গেছি।
মেডিকেলের তৃতীয় বর্ষে থাকাকালীন কয়েকবন্ধু মিলে শপথ করেছিলাম এ জীবনে বিয়ে করবনা ।
আর সেই আমি কিছু বুঝে ওঠার আগেই টের পেলাম আমি বিয়ে করে ফেলেছি! পৌরুষ বিসর্জন! অভিমানে দগ্ধ! এ আমি কি করলাম!

ঠিক করেছি আজ রাতের ট্রেনে শহরে ফিরে যাব। চাপিয়ে দেয়া কিছু অনেকেরই মেনে নিতে কষ্ট হয়। একটা জেদ কাজ করে।
আমার ক্ষেত্রেও হয়েছে ঠিক তাই ।

কাউকে কিছু বলবনা। শুধু সাঁঝ নামুক। যে মেয়েটাকে আমার ঘাড়ে চাপিয়ে দেয়া হয়েছে তাকে সহ সবাইকে ত্যাগ করে রাতের ট্রেনেই বিদায় হবো।
¤ ¤ ¤

-আপনার চা
-আমি দুপুরে চা খাইনা ।

রিনরিনে কন্ঠটা শুনে চমকে উঠলেও নিজেকে সামলে নিয়ে জবাব দিতে দেরি করলামনা।

-আচ্ছা সিগারেট খাবেন? এনে দেব ?

অবাক হয়ে পিছন ফিরলাম। আর পিছন ফিরতেই আমার চোখ ধাঁধিয়ে গেলনা,বাকরুদ্ধ হয়ে গেলনা,কারো রূপের ছটায় অন্ধ হয়ে গেলাম না শুধু টের পেলাম আমার চোখ ফেরানর সাধ্য নেই। হায় আল্লাহ! আমার সামনে দাড়ানো এ মেয়েটি কে ! শ্যামবরণ এক দেবী যেন ঠোঁটে আঁচল কামড়ে ধরে দুঠোঁটের অভিমান সামলাচ্ছে। ডাগর চোখে নিষ্পাপ একটা চাহনী । কাঁপা স্বরে বলে উঠলাম, আমিতো সিগারেট খাইনা !
মেয়েটি খিলখিল করে হেসে উঠল ।
হাসিতে সচকিত হয়ে টেবিলের উপর রাখা এশট্রেটা দেখে লজ্জায় পড়ে গেলাম।

-রাতে তবে সিগারেট কে খেল? মামদো ভূত?
কথার ভঙ্গি আর বাঁকা হাসি আমাকে শরত্‍ উপন্যাসের নায়িকাদের কথা মনে করিয়ে দিল

মেয়েটি একটু হেসে পিছন ফিরল । প্রস্থানের ইঙ্গিত।
আমার হঠাত্‍ কি হলো কে জানে হাত বাড়িয়ে তার দীঘল কেশ মুঠোয় চেপে ধরলাম।

টান খেয়ে মেয়েটি পিছন ফিরল।
তার চোখের পাতার কাঁপন আমার বুকে তীর হয়ে বিদ্ধ করল ।
প্রথমটায় অবাক শেষে খিলখিল করে হেসে ফেলে আমার বুকে একটা কিল দিয়ে চুল ছাড়িয়ে নিয়ে পালিয়ে গেল।
আমি থতমত খেয়ে বসে রইলাম । বুকের ভেতর ড্রামের শব্দ। আর অনেক গভীরে কোথায় যেন একটা বীনার তারে টুংটাং সুর বাজছে।

কোথায় গেল আমার মাঝদুপুরের জেদী সব চিন্তাভাবনা। লজ্জা মিশ্রিত বিস্ময়ে আমি আবিষ্কার করলাম একটু আগের আমি আর এখনকার আমি অনেক আকাশ পাতাল তফাত।
ভেতরটা তরল হয়ে আছে!
একটু শব্দ হলেই পেছন ফিরছি , কেউ আসে কিনা দেখছি! আশ্চর্য এ অনুভূতি। আমি কি গাধার মত এক লহমায় প্রেমে পড়ে গেলাম!

¤ ¤ ¤
তখন বসন্ত নেই। আকাশে শকুনের পাল। পিছনের বাঁশ কাটা জানালায় ভেজা গাল চেপে বিষন্ন সে দাড়িয়ে আছে । ফিসফিস করে বলল
-আবার কবে আসবে? সবাইতো জানে তুমি মিলিটারি ক্যাম্পের ডাক্তার। চাচা তোমাকে দিনরাত গাল পাড়ে ।
আমি বিষন্ন হাসি ।
-দিক যত খুশি গাল দিক । এবার একেবারে দেশ স্বাধীন হোক। তারপর ফিরে আসব।
-সত্যি ফিরবে বলো ?
-কখনো মিথ্যে বলেছি নাসরিন?
শোনো ছেলে হলে নাম রেখো ফাল্গুন আর মেয়ে হলে ফাল্গুনি
-নিজের খেয়াল রেখো লক্ষীটি। ঠান্ডা লাগলে শালটা গায়ে দিয়ো। পুটুলিতে সন্দেশ আর মুড়ি আছে । খিদে পেলে খেয়ো। অযত্ন করবেনা । রেগুলার দাড়িগোফ কামাবে আমি শেভিং ক্রিম আর রেজর দিয়েছি ..
-হয়েছে চুপ! একদম চুপ

জানালায় দুহাত বাড়িয়ে ওর মুখ তুলে ধরলাম। ঠোঁটে কতশত আবেগ তবু কিছু বলতে পারছিনে কেন!
ওর দু চোখ টলমল করছে। ছুঁতে গিয়ে মনে হলো ঐ অশ্রু চোখেই থাকুক ছুঁয়ে দিলে পাপ হবে ।

-কি পাগল আমি তোমাকে ছেড়ে একদিন পালাতে চেয়েছিলাম ! কি পাগল আমি

বিড়বিড় করতে করতে হঠাত্‍ ঝটকা মেরে পিছ ফিরে চলে যেতে থাকি আমি।

আমার ভেতরটা চিত্‍কার করে শাসন করতে লাগল পাগল তোর যুদ্ধে যাওয়ার দরকার নেই , ঐ মমতামাখা মুখটা বুকে করে পালিয়ে যা!
কবে যে জ্বরের ঘোরে মাঝরাতে উঁকি দিয়েছিল দুটো মায়াকাড়া রাতজাগা চোখ, মমতার হাত। ভালবাসায় এফোঁড় ওফোঁড় পরিপূর্ণ আমি যার কপালের টিপ। আমার অনাগত সন্তানের ভবিষ্যত মা আমার সহধর্মিনী আমার প্রেয়সী।

চার মাস পূর্বের একটা নিঃস্তব্দ বসন্ত দুপুর, প্রথম প্রেমের সমস্ত অনুভূতি কে যেন একত্র করে দুচোখে বিছিয়ে দিলো। সেটুকু মুছে আমি সমস্ত শক্তি জড়ো করে পায়ে পায়ে হেঁটে যেতে থাকি।
এ পথ এত ঝাপসা লাগছে কেন।
যতক্ষন না আমি পথের বাঁকে হারিয়ে যাব সে তাকিয়ে রবে। সে ছাড়া আর কেউ জানেনা আমি যুদ্ধে যাচ্ছি।

না না না আমি পিছু ফিরব না। লাল শাড়ি গায়ে জড়িয়ে তীব্র ব্যথায় ব্যাকুল হয়ে প্রেয়সী কাঁদছে এ দৃশ্য সইবার শক্তি কোন পুরুষের নেই!

গাঁয়ের রাস্তাটা পশ্চিমের মাঠ হয়ে আকাশের সাথে মিশে গেছে। সাঁঝ নেমেছে। অন্ধকারে মিশে এখন আমার হারিয়ে যাওয়ার পালা।
রনক্ষেত্রে আমাকে ওদের দরকার । বড় দরকার!

ফিরে আসি বা না আসি সে আমার অপেক্ষায় থাকবে!
আর আমি তার ..

ফিরে আসি বা না আসি এই বিচ্ছেদ ব্যথার উপাখ্যান লিখবেনা ইতিহাস ..

ভালোবাসার গল্প সাদা মেঘেদের ভেলায়

#সাদা_মেঘেদের_ভেলায়

©মুস্তাকী নাঈমা তিন্নি

জয়ীতা দাঁড়িয়ে আছে কাশবনের সামনে।সাদা কাশফুলে ছেয়ে আছে পুরো জায়গাটা।যেন সাদা মেঘেদের ভেলায় দাঁড়িয়ে আছে সে অনন্তকাল ধরে।

সামনে আরেকটু এগিয়ে গেল জয়ীতা।হাত বাড়িয়ে কাশফুল ছুঁয়ে দিতে গিয়ে হাতের কাচের চুড়িগুলো টুংটাং শব্দ করে উঠলো, পরক্ষণে হাত উঠিয়ে বাতাসে উড়িয়ে নেয়া চুল কানে গুঁজে এদিক ওদিক তাকালো কয়েকবার।সামনেই ছোট্ট রাস্তা পেরিয়ে সিমেন্টের বাঁধানো সিটে গিয়ে বসলো জয়ী।চুড়ির শব্দটা আবার অস্বস্তিতে ফেলল ওকে।কেমন যেন সবকিছু খাপ ছাড়া,এলোমেলো লাগছে ভীষণ।

মুঠোফোন বের করে মাকে ফোন করলো জয়ীতা।পথে আসবার সময় অপরাজিতা কথা বলেছে একবার।এখন আবার ফোন দেওয়াতে মা বললেন ঘুমোচ্ছে একটু।স্যুপ খাইয়ে মা মাত্রই নাকি ঘুম পাড়িয়ে দিলেন।

মুঠোফোন ব্যাগে পুরে ডানের রাস্তায় তাকিয়ে দীর্ঘশ্বাস ফেলল জয়ীতা।কত অজস্রবার এখানটায় অপেক্ষা করেছে জয়ীতা রুদ্রের জন্য,অথচ আজকের অপেক্ষাটা মনের খচখচানি বাড়িয়েই চলেছে দ্রুত।

শাড়িতে চোখ পড়তেই আবার বুকটা খচখচ।বেছে বেছে রুদ্রের দেওয়া সাদা পাড়ের সাদা জমিনের শাড়িটাই পড়েছে জয়ীতা,হাতে কয়েক রঙের কাচের চুড়ি একসাথে।চুলে ঢোলা হাত খোপা,কপালে এলো চুল।

এসবই রুদ্রের পছন্দ ছিল।রুদ্রই জয়ীতার ভিতর থাকা আসল সৌন্দর্যটাকে টেনে বের করে এনেছে,নয়তো জয়ীতা জানতোই না ভালবাসার কতশত রূপ,সৌন্দর্য, সৌখিনতা আছে।

কিন্তু জয়ীতা কেন আজ এভাবে এল সে নিজেই বুঝতে পারছে না।অথচ ডিভোর্সের আর কয়েকদিন বাকী।দুজনের দুটো সাক্ষর,আদলতের রায়ে যে কোন একজনের তত্ত্বাবধানে অপরাজিতাকে পাওয়া,তারপর যে যার মত জীবন গুছিয়ে নেওয়া।কত সহজ সবকিছু।

বাধ সাধলো অপরাজিতার এক্সিডেন্ট।সিঁড়ি থেকে পড়ে মেয়ে মাথা ফাটিয়ে ফেললো,বাসায় জয়ীতার বড় ভাই,বাবা সবাই ছিলেন,সবাই ছুটোছুটি করছে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাওয়ার জন্য কিন্তু সবার আগে জয়ীতা রুদ্রকেই ফোন দিল,রুদ্রতো অপরাজিতার বাবা।এমন বিপদে রুদ্র পাশে না থাকলে চলছিল না জয়ীতার।

সেদিন থেকে এই টানা আট দিন দুজনে একদম সেটে ছিল মেয়ের কাছে।দুজনের কেউই চোখের আড়াল হয়নি অপরাজিতার।নাকি দুজন দুজনের কাছ থেকে সরতে চায়নি?কোনটা!জয়ীতার হিসেব মেলেনা।

সন্তান দুজন আলাদা হয়ে যাওয়া স্বামী স্ত্রীকে কিভাবে যেন কিছুদিনের জন্য এক করে দিল।একই কেবিনে রুদ্র,জয়ীতা আর অপরাজিতা। তিনজনের এতটুকু অস্বস্তি লাগেনি,যেন ওরা ওই ছোট্ট কেবিনটায় সংসার করছে আগের মত।

জয়ীতার কেন যেন মনে হয়,মাথায় দুটো সেলাই নিয়েও অপরাজিতা মনের জোড়ে এত তাড়াতাড়ি বাড়ি ফিরতে পেরেছে।নয়তো ওইটুকুন বাচ্চাকে এত তাড়াতাড়ি কি রিলিজ করে দিত ডাক্তার!জয়ীতা জানে,মনের জোর মেয়ে পেল কোথা থেকে!দীর্ঘদিন পর বাবা মাকে একসাথে কাছে পেয়ে অপরাজিতার শারীরিক, মানসিক দুই প্রশান্তিই ফিরে এসেছে।

গতকাল বাসায় ফেরার পর থেকে রুদ্র কম করে হলে দেড়শো বার ফোন দিয়েছে জয়ীতাকে।অপরাজিতা কি করছে,কেমন আছে শুধু এতটুকু জানতেই এতবার ফোন।জয়ীতা বিরক্ত হয়নি,বরং ওর ভাল লাগছিল রুদ্রের দ্বায়িত্ববোধ দেখে।

শেষমেশ যখন রাত দুটোয় জয়ীতাকে শেষ কল দিল রুদ্র,ফোন রেখে দেওয়ার আগে একবার ডেকে উঠলো সে,জয়!

জয়ীতা চোখ বুজে ফেলেছিল ডাক শুনে।বহুদিন পর রুদ্রের মুখে জয় ডাক শুনে দম বন্ধ হয়ে আসার উপক্রম হয়েছিল ওর।কোনরকমে শুধু একবার বলল,হুম বল।

রুদ্র জানালো আকাশে শরতের সাদা মেঘেরা নাকি খুব ছুটোছুটি করছে,কাশবনের কাশফুলেরাও।জয়ীতা চাইলে এসে দেখে যেতে পারে তাদের সেই প্রিয় জায়গাটায়।

জয়ীতা এক কথায় কেমন যেন রাজি হয়ে এসে পড়লো রুদ্রের পছন্দের গেট আপে।ভীষণ লজ্জা আর অস্বস্তি নিয়ে জয়ীতা দূরে তাকিয়ে দেখলো সাদা পাঞ্জাবী পড়া রুদ্র হেটে আসছে মৃদুলয়ে।

কাছে এসে দাঁড়াতেই রুদ্র হেসে চোখ নামিয়ে ফেললো।রুদ্রের বুকে কে যেন ড্রাম পিটিয়ে যাচ্ছে দ্রিমদ্রিম শব্দে।জয়ীতার শাড়ি,চুড়ি রুদ্রের কানে অনেক কিছু বলে যাচ্ছে।রুদ্র বুঝতে পারছে সব।

রুদ্র ঢোক গিললো একবার।কিছুক্ষণ আগেও জয়ীতার দেওয়া এই সাদা পাঞ্জাবী নামাতে গিয়ে হাতে ডিভোর্সের কাগজটা এসে পড়েছিল,সযত্নে আবার সেটা আলমারির তাকে তুলে রেখে এসেছে সে।

জয়ীতাকে আঙুল উঠিয়ে রুদ্র বলল,চল কাশবনের মাঝখানটায় যাই জয়!

বলেই লম্বা লম্বা পা ফেলে হেটে যেতে লাগলো রুদ্র,জয়ীতা শাড়ির ভাজ ঠিক করে,আচল মুঠোয় নিয়ে রুদ্রের পিছন পিছন যেতে লাগলো।

এক ঘন্টা দুজন কাশবনে কাটিয়ে দিল দাঁড়িয়ে, হেটে,বসে।মেঘ,কাশফুল আর অদৃশ্য বাতাসের দুলুনিতে ওদের দুজনের নিস্তব্ধতা আরো খান খান করে দিচ্ছিলো ওদের সব কিছু।কিন্তু রুদ্র,জয়ীতা দুজনেই জানে ওরা মনে মনে কত কথা বলে নিয়েছে এই এক ঘন্টায়,কতটা বুঝে নিয়েছে দুজনকে দুজন সব বুঝে ওরা।কত অভিমান গাল ফুলিয়ে মনে জায়গা করে নিয়েছিলো,রুদ্র জানে এক লহমায় জয়ীতার সব অভিমান ধুলিতে উড়ে গিয়েছে কিংবা জয়ীতাও ঠিক ধরে ফেলেছে রুদ্রের ভিতরটা এখন অথৈ জলে কানায় কানায় পূর্ণ যেখানে জয়ীতার সবটুকু অধিকার আছে সাঁতরে নেওয়ার!

বাতাসে এলো চুল,শাড়ির আচল সামলাচ্ছে জয়ীতা।পেছন থেকে রুদ্র এসে ঘেঁষে দাড়ালো জয়ীতার পিঠে।জয়ীতা নড়লো না,ওভাবেই আকাশ দেখতে লাগলো সে।নিজের চোখের জলটুকু প্রাণপণে আটকে রেখে রুদ্রকে অনুভব করতে চাইছিলো জয়ীতা।

রুদ্র আরেকটু কাছে মিশে আলতো জড়িয়ে রাখলো জয়ীতাকে পেছন থেকে।রুদ্র টের পেল সে জয়ীতাকে আগের মতই ভালবাসে,ঠিক আগের মত।অনুভূতিরা মরে যায়নি,বেচে আছে।

জয়ীতা ততক্ষণে কাঁদছে, ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কান্নার দমকে কেপে কেপে আলতো করে একটা হাত রাখলো রুদ্রের বাহুডোরে।

অপরাজিতা ওদেরকে নতুন প্রাণ ফিরিয়ে দিয়েছে,নতুন করে পুরোনো প্রায় মরে যাওয়া আধো হলুদ পাতার মত জীবনটায় এই শেষ বিকেলে ওরা সবুজ কচি পাতার রং দেখতে পেল।

অসাধারণ ভালোবাসার গল্প না পড়লে চরম মিস

তারপর একদিন আমি জানতে পারলাম , শায়নের স্ত্রী তার জীবনে আবার ফিরে আসতে চায় – শায়নকে ভুলে থাকাটা তার জন্য হয়ত অসম্ভব হয়ে যাচ্ছিল । আর ঠিক সেই মুহুর্তে আমার প্রচন্ড স্বার্থপর হয়ে যেতে ইচ্ছে করল – আমার ইচ্ছে করল শায়নকে নিজের কাছে রেখে দিতে । কিন্তু তার আগেই আমি অনুভব করলাম , সেই সময়টা আমার আর নেই । আমি তাকে হারিয়ে ফেলছি – একটু একটু করে । যে মানুষটা আমার পাঁচ মিনিটের দেরিতে অধৈর্য হয়ে যেত , সে কিনা সারাদিন আমার সাথে কথা না বলে কাটিয়ে দিতে পারে ।

জানেন পাঠক , জীবনে সেই প্রথমবারের মত আমার প্রচন্ড ভয় করল । তাকে ভালবাসবার আগে আমার যে হৃদয়টা তার প্রেমে পড়বার একশ একটি কারন খুঁজে দিত, সে হারিয়ে যেতে থাকবার মুহুর্তে সেই হৃদয়টা একদম বোবা হয়ে গেল । সে আমাকে কখনো চায়নি , কোন দিন ভালবাসেনি – এরকম হাজারটা চিৎকারে আমার মনের সব কয়টা জানলার কাঁচ ভেঙ্গে পড়তে লাগল প্রত্যেকে মুহুর্তে । সেই ভাঙ্গা কাচের আঘাতে আমার দুই হাত তখন প্রচন্ড রকম রক্তাক্ত – অথচ শায়নের চোখ সেদিকে এলোনা । আমি বুঝে নিলাম , যে মানুষটি আমার আকাশে উষ্ণ রোদ হয়ে এসেছিল , তাকে আমার যেতে দিতে হবে – তাকে ছাড়াই আমার এই জন্মে একটা মেঘলা জীবন কাটাতে হবে ।

খুব অবুঝের মত কান্না পেত আমার । তার সাথে সারাদিনের একটা টেক্সট যখন একসময় সারা মাসে একটা টেক্সটে পরিনত হল , তখন আমি বুঝলাম তার জীবনে আমার প্রয়োজনটা আর অবশিষ্ট নেই । তার কাছে গিয়ে শেষবারের মত জানতে চাইলাম , “তুমি আমার কাছ থেকে সরে যাচ্ছ কেন ?” শায়ন উত্তর দিয়েছিল , “আমার আর ভাল লাগছেনা ইরা।“ আমার পুরো পৃথিবী ভেঙ্গে ফেলবার জন্য ওর এই একটা কথাই যথেষ্ট ছিল ।

শায়নের হাত ছেড়ে দেয়াটা আমার জন্য কতটা কঠিন ব্যাপার – ওর হাতটা না ছাড়লে আমি হয়ত সেটা কোনদিন জানতাম না । মাঝেমাঝে মনে হত , আমি বুঝি আর পারব না । ইচ্ছে করত , ওর কাছে গিয়ে বলি – আমাকে ভালবাসতে হবেনা , তুমি শুধু আমার পাশে থাকবে ? প্লিজ ?

কিন্তু প্রতিবার আমি নিজেকে আটকে রাখলাম । আমার চলে যাওয়াতে শায়নের জীবনে যদি স্বস্তি ফিরে আসে , আমি সেটা কেমন করে নষ্ট করতে পারি ?

প্রিয় পাঠক, আমি চাইলে অনেক অভিযোগই তুলতে পারতাম । ওকে গিয়ে বলতে পারতাম , কেন এমন করলে ? চলেই যদি যাবে , আমার মধ্যে এই অনুভূতি কেন তৈরি করলে ? মুছেই যদি ফেলবে , কেন বলেছিলে আমি না থাকলে তোমার কষ্ট হবে ? আমি রেগে থাকলে তোমার ঘুম হবে না – কেন বলেছিলে ? কেন , শায়ন ? সবটুকু কান্না নিজের কাছে টেনে নিয়ে এই পৃথিবীতে কেন আমাকে একা বাঁচতে হবে, বলতে পারো ?

কিন্তু পরে ভাবলাম , কি লাভ ? এসব প্রশ্নের উত্তরে আমার কি কিছু আসবে যাবে ? এসব প্রশ্নের উত্তর আমাকে কি একটু উষ্ণতা দেবে ? না !

আমি ঠিক করলাম , আমার সবটুকু কষ্টের দায়ভার আমি নিজেই নিব – সবটুকু নিয়ে আমি অনেক দূরে চলে যাব – যতটা দূরে চলে গেলে শায়নের কখনো আমার জন্য নিজেকে অপরাধী মনে হবেনা – ঠিক ততটা ।
তারপর মুহুর্তে মুহুর্তে আমার মনের ভেতরটা ডিসেম্বর মাসের মতই উষ্ণতা হারিয়ে ফেলল । আমি অনুভব করলাম , আয়নার সামনে দাঁড়ালেও আমার প্রতিবিম্বটা কিরকম যেন কুয়াশার মত ধোঁয়াটে হয়ে যায় । মাঝে মাঝে নিজেকে অসহ্য লাগত , আবার কখনো নিজের জন্য মায়াও হত ভীষণ । তাই অদৃশ্য একটা শামুকের খোলসে নিজেকে আটকে ফেললাম আমি ।

আমার ক্যাম্পাসে এশিয়ান মেয়েদের একটা কম্যুনিটি ছিল । দেশ ছাড়বার পর প্রথমবারের মত একদিন সেই কম্যুনিটির আয়োজন করা পার্টিতে উপস্থিত হলাম আমি । ১৫ জনের ছোট্ট একটা গ্রুপ । এই কথা ওই কথায় সবার গল্পগুলো সেই একই জায়গায় গিয়ে জমল – ভালবাসা কিংবা সম্পর্ক ।

সবার গল্পগুলোই ভীষণ সুন্দর । তাদের ভালবাসার মানুষরা তাদের চোখের আড়াল করতে পারেনা – এইরকম ব্যাপারগুলো বাস্তবতায় শুনতে ভাল লাগছিল । একদম প্রায় শেষের দিকে আমার গল্পটা জানতে চাওয়া হল । আমি একটা দম চেপে বললাম , “ এত সুন্দর গল্পগুলোর পর আমার ওয়ান সাইডেড ব্যাপারটা বলা কি ঠিক হবে ? হাসি পাচ্ছে, তবু বলি - আমি যাকে পছন্দ করতাম , তার সাথে আমার সম্পর্ক টা আসলে কি ছিল আমি জানিনা । কিন্তু সত্যটা হচ্ছে – সে আমাকে কোনদিন অন্য চোখে দেখেনি । But it’s fine ! মেনে নিয়েছি আমি । এখন এইতো – একা আছি , ভাল আছি ।“

আমার পাশের মেয়েটা দুঃখ দুঃখ গলায় বলল , “ ভুলে যাও - কিছু ছেলে শুধু টাইম পাস ই করতে চায় ।“

আমি জানিনা কেন, কিন্তু এই “ টাইম পাস” শব্দটা শুনবার পরেই আমি আর নিজেকে ধরে রাখতে পারলাম না । আমার দুই চোখ বেয়ে পানি পড়তে লাগল । ব্যাপারটা এমন না যে , ওই মুহুর্তে আমি শায়নের কথা ভেবে কষ্ট পাচ্ছিলাম , কিন্তু এই শব্দটা শুনবার সাথেই আমার একটা কথা মনে পড়ে যাচ্ছিল। আমি কোনভাবে “ এক্সকিউজ মি” বলে বেরিয়ে আসলাম ।

শায়নের সাথে পরিচয়ের আগে রিলেশানশিপ নিয়ে আমার যে একটা এলার্জি ছিল তা হল এই “ টাইম পাস” । আমি এই শব্দটিকে প্রচন্ড ঘৃণা করতাম । তাই শায়ন যখন খুব নিয়ম করে আমার খোঁজ খবর নিত , আমি ওকে একদিন বললাম,

“ শায়ন – টাইম পাস নামক ব্যাপারটায় আমার প্রচন্ড এলার্জি আছে , জানো ? তুমি যদি শুধু মাত্র টাইম পাসের জন্য আমার সাথে কথা বল , তাহলে আমি দুঃখিত । আমাদের বরং এখানেই থেমে যাওয়া ভাল ।“
শায়ন উত্তর দিয়েছিল , “ না ইরা – এসব টাইম পাস না । এসব টাইম পাস না ।“

বাইরে বেরিয়ে এসে আমি খুব অসহায়ের মত কাঁদতে লাগলাম । শায়ন, তোমার জন্য একা একা সাফার করার এই যুদ্ধটা – তার কারন শুধুই তোমার টাইম পাস ? এই টাইম পাস , এই মিথ্যে – তোমাকে কি খুব আনন্দ দিয়েছে ? যেই শব্দটিকে আমি সবচেয়ে ঘৃণা করতাম – তুমি কেন সেই শব্দটা দিয়েই আমার পৃথিবীকে শেষ করে গেলে ?

কিছুতেই যখন চোখের পানি থামাতে পারছিলাম না আমি – ঠিক তখনই টের পেলাম , কেউ একজন আমার পাশ থেকে বলছে,
“সবার কাছে নিজেকে এত কঠিন দেখিয়ে কি লাভ বল তো ? তুমি নিজেও জানো তুমি কতটা দুর্বল – তাইনা ?”
আমি তাকিয়ে দেখলাম – জিন্স আর ব্লু রঙের টপ্স পরা একটা মেয়ে ভ্রূ কুঁচকে আমাকে কথাগুলো বলছে ।
“ আমি মিয়ানা । তুমি বোধ হয় খেয়াল করোনি আমাকে – কিন্তু আমি তোমার কথাগুলো শুনছিলাম । I am sorry, but you sound so fake..”
আমি হেসে ফেলেছিলাম – “ আমি জানি ।“
“ না জানো না । ওইখানে সবার সুইট কোটেড স্টোরি শুনে আমি তো ভ্যাবাচ্যাকাই খেয়ে যাচ্ছিলাম । ঘুম পাচ্ছিল । মনে হচ্ছিল , এ কেমন জীবন – একাই ধোঁকা খেয়েছি নাকি ? তারপর তোমার গল্প শুনে জেগে উঠলাম ।“

আমি চোখ মুছে বললাম ,“ আমার কিন্তু কোন রিগ্রেট নেই । আমি চেষ্টা করেছিলাম – সত্যি বলতে , বেহায়ার মতই চেষ্টা করেছিলাম । কিন্তু হয়নি আর কি !”

“ ফেইক । এসব বলো না আমাকে , ওকে ? চেষ্টার পরেও যখন কাউকে থামানো যায়না – তখন অপমান লাগে । কিন্তু আমি আশা করি , তুমি আমার মত অপমান হও নি । আমার কি হয়েছিল জানো ?”

“কি ?”

“ টাইম পাস তো টাইম পাস ই । আমি যখন আমার ফিলিংস এর কথা জানিয়ে ফেললাম , সেই বেচারা টেক্সট পাঠাল , মিয়ানা , আমি বুঝছিনা কি রিপ্লাই দিব । এই মুহুর্তে ক্লাব ফুটবল দেখছি – খেলা নিয়ে ভাবছি ।“

আমি মেয়েটার কথা বলার ধরন শুনে ফিক করে হেসে ফেললাম –

“ হাসছো ? আমি নিজেও হাসতে হাসতে হেচকি উঠিয়ে ফেলেছিলাম জানো ? ব্যাপার হচ্ছে , আমার সাথে যে ও থাকবেনা আমি জানতাম । তবুও সেধে সেধে অপমান হলাম । আর এই অপমানের পরেও ছেলেটাকে ভুলে যাওয়া গেল না – সেটা আরেক ব্যর্থতা । তবে কয়েক মাস পরেই ও বিয়ে করে ফেলেছিল । খোঁজ নিয়ে দেখেছিলাম , তখনো কিছু একটা ক্লাব ফুটবল চলছিল । কিন্তু ওই আর কি - মেয়েটার ইম্পরট্যান্স ক্লাব ফুটবলের চেয়ে বেশি ছিল । “

আমি তাকিয়ে দেখি , তার বোকা বোকা হাসির আড়ালে দুই চোখে ঠিক আমার মত কুয়াশা । আমি বুঝতে পারলাম, আমাদের দুইজনের হৃদয়েই বিচ্ছিরি রকম ডিসেম্বর ।
মিয়ানা আপু আমার পাঁচ বছরের সিনিয়র ছিল । মুখের উপর সত্যি বলে ফেলার অসাধারন একটা গুন ছিল আপুর । আর সেই আপু কিনা মনের মাঝে গোপন ডিসেম্বর নিয়ে একটা সত্যি ডিসেম্বরে সত্যি সত্যি উধাও হয়ে গেল । প্রিয় পাঠক, সায়ানাইড কখনো মিথ্যে বলে না ।

আমার হাতের কফিমগটা বরফের মত ঠান্ডা হয়ে আছে । জানলা জুড়ে পরদা কাঁপানো অতিথি হাওয়া আর তার সাথে মোবাইলটা বেজে যাচ্ছে একটানা । আমি চোখের পানি থামানোর বিন্দুমাত্র চেষ্টা না করে বললাম,

“ প্রিয় অতিথি হাওয়া – যে একটা মানুষকে ঘৃণা করতে পারলে আমার জীবনটা সহজ হয়ে যেত , তাকে ঘৃণা করাটা আমার জন্য এতখানি কঠিন কেন ?”

কেউ উত্তর দিল না । আমি হাত বাড়িয়ে মোবাইলটা নিলাম – তারপর তাকে বন্ধ করে দিলাম অনির্দিষ্টকালের জন্য ।

শায়নের জীবন থেকে -
১। ছাদের ওপর জমানো বৃষ্টির পানিতে ডুবতে থাকা সূর্যটা যখন একটু একটু করে রঙ ছড়াচ্ছিল , আমি তখন একরাশ বিষণ্ণতা নিয়ে ইরার দিকে মুখ ফেরালাম । বরাবরের মতই মেয়েটা তার নিজের জগতে হারিয়ে আছে – অনেক্ষন ধরে চেষ্টা করছে ক্যামেরার ফোকাসে তার পছন্দের একটা দৃশ্যকে আটকে রাখবার জন্য । আমি ইরাকে বিরক্ত না করে আমার দুই আঙ্গুলে প্রায় শেষ হয়ে যাওয়া সিগারেটটার দিকে তাকিয়ে থাকি । তারপর সাতপাঁচ না ভেবেই তাকে ছুড়ে মারি সেই জমে থাকা বৃষ্টির পানিতে ।

পানির ছলাত করে ওঠা শব্দে ইরা একটু চমকে গেল । তারপর ক্যামেরা থেকে চোখ না সরিয়েই বলল,
“ এই সিগারেট খাওয়া জিনিসটা যে আমি দুই চোখে দেখতে পারিনা তুমি জানো ?”

“হ্যা একটু একটু জানি ।“

মেয়েটা ফোঁস করে একটা নিঃশ্বাস ফেলে আমার দিকে তাকাল,

“ কিন্তু সিগারেটের সাথে তোমাকে এত মানায় কেন ,বলবে ? সিগারেট একটা বিশাল বিচ্ছিরি জিনিস !”

আমি হাসবার মত আওয়াজ করে বলি,
“ আমিও তো তাই– বিশাল বিচ্ছিরি জিনিস ।“

ইরা তার ক্যামেরাটাকে গুটিয়ে নিয়ে আমার পাশে এসে বসল । তারপর সেই আলো আধারী ছায়ায় আমার চোখের দিকে তাকিয়ে বলল,
“ তোমার মত বিশাল বিচ্ছিরি একটা জিনিসকে এত ভাল লাগে কেন আমার ?”

আমি ইরার প্রশ্নের কোন উত্তর না দিয়ে উঠে দাঁড়াই ।
“ সন্ধ্যা হয়ে এসেছে ইরা । চল, তোমাকে বাসায় পৌঁছে দিয়ে আসি । “

“বাসায় যাবার জন্য আমার আবার তোমাকে দরকার হল কবে থেকে ?”

“ আচ্ছা” , বলেই সামনে পা বাড়াই আমি । দুই পা হাঁটতেই পেছন থেকে ইরার ডাক।

“ আরেকবার বলা যেত না শায়ন ? আমাকে বাসায় পৌঁছে দিতে ইচ্ছে করছে সেটা বললে কি হত ?”

“তুমি বুঝতে না পারলে বলতাম ।“
ইরা কোন উত্তর দিল না । আমি ওর উঠে আসবার অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে থাকলাম । তারপর পাঁচ মিনিট গেল , দশ মিনিট গেল – ইরা আর উঠে আসলো না । অধৈর্য হয়ে একটা সময় আমি পেছন ফিরে তাকাই - অবাক হয়ে আবিষ্কার করি , ইরা নেই – কোথাও নেই । সেই রঙ ছড়ানো সূর্য, ছাদে জমানো জল , ভাসতে থাকা আধ খাওয়া সিগারেট – সব একই রকম রয়েছে । শুধু ইরা নামের সেই ছটফটে মেয়েটি নেই - এই ছাদের ওপর আমার সাথে সে কখনোই বসে ছিল না ।

হঠাত করে আমার চোখের সামনে সবকিছু কেমন যেন ঝাপসা হয়ে যেতে লাগল । সেই ঝাপসা চোখে পাগলের মত এদিক ওদিক তাকিয়ে আমি ইরাকে খুঁজতে থাকি – আকুল হয়ে ডেকে বলি ,
“ইরা ! ইরা ! I am so sorry.. I am so sorry.. “

জ্ঞান হারিয়ে ফেলবার আগে আমি আমার কাঁধে একজনের হাতের স্পর্শ অনুভব করি । চোখ বন্ধ করবার পর আমি আমার সমস্ত হৃদয় দিয়ে প্রার্থনা করি সেই হাতদুটো যেন ইরার হয় । কিন্তু আমি জানি , সেটা অসম্ভব । কারন আমাকে আঁকড়ে ধরে পাথরের মত বসে থাকা মানুষটি আমার স্ত্রী – সাবা ।

লাভ স্টোরি ভালোবাসার গল্প


আমি মিতুর দিকে আরও একবার তাকালাম।মুখটা বেশ শুকনো শুকনো লাগছে।কিন্তু মেয়েটার মুখে হাসি ভাব রাখার বৃথা চেষ্টাটা আমার চোখ এড়ালো না।
আমি মিতুর দিকে একটু এগিয়ে গিয়ে হাতে থাকা তোয়ালেটা দিয়ে ওর ঘামে ভেজা মুখটা মুছে দিয়ে বললাম,
-যাও ফ্রেশ হয়ে আসো।
কথাটি বলে আমি ঘুরতেই মিতু আমার হাত ধরে আমার সামনে এসে বললো,
-তাকাও আমার দিকে, দেখো আমি ঠিক আছি।বাইরে একটু গরম তাই এমন দেখাচ্ছে।
মিতুর কথায় আমি কিছু বললাম না।ওর দিকে তাকিয়ে ওর গালে হাত রেখে মুচকি হেসে বললাম,
-এইতো,আর মাত্র মাস খানেক।এরপর আমার বউটাকে আর কষ্ট করতে হবে না।
আমার কথায় মিতু হাসি মাখা মুখে বললো,
-হ্যা সেটা দেখা যাবে।এখন চলো রান্না করতে হবে।
মিতুর কথায় আমি শুধু মাথা নাড়ালাম।মেয়েটা সব কষ্ট লুকিয়ে কিভাবে সবকিছু গুছিয়ে রাখতে পারে এটা আমার জানা নেই।তবে ওর হাসিই বলে দেয় ওর কষ্টটার কথা।যেটা আমি দেখলেই বুঝতে পারি।
.
মিতুর সাথে আমার পরিচয় ফেসবুকে।এই টুকটাক কথা হতো আরকি।তবে এই কথা বলতে বলতে যে মেয়েটার প্রেমে পড়ে যাব এইটা বুঝতে পারিনি।কিন্তু এই প্রেমটাও ছিল এক দিক থেকে।
মিতু ছিল আমার দু বছরের বড়।ভালবাসা যে কোন বয়স দেখে না এইটা আজ বেশ ভালভাবেই মিলে গেলো।বলা হয় শিক্ষার কোন বয়স নেই।ঠিক তেমনি ভালবাসারও কোন বয়স নেই।
আমার প্রতি মিতুর কোন ফিলিংস না থাকলেও আমারটা ছিল ভরপুর ওর প্রতি।যেটা অনেক চেষ্টা করেও দমাতে পারিনি।মিতুর দিক থেকে শুধু একটাই অভিযোগ ছিল,আমি ওর ছোট।আর ছোটদের সাথে প্রেম বিয়ে হয় না।
আমিও যে ছেড়ে দেবার পাত্র নই।মিতুর পিছে লেগে থেকে ঠিকভাবেই পটিয়ে ফেললাম।আর আমাদের যে বাসা থেকে মেনে নেবে না এটাও আমরা বেশ ভালভাবেই জানতাম।তাই পালিয়ে বিয়ে করা।
.
চলো একটু বেলকুনিতে বসি।
.
খাওয়া শেষে উঠতেই মিতু কথাটি বললো।মেয়েটা সারাদিন অফিস করে এসে এখন কিভাবে বেলকুনিতে বসতে চাচ্ছে সেটা আমার মাথায় ঢুকছে না।অন্য কেও হলে এতক্ষনে ঘুমিয়ে পড়তো।আসলে আমাকে সময় দেওয়াটাই ওর মুখ্য বিষয়।
.
মিতু আমার বড় হওয়ায় ওর পড়াশোনাটাই আগে শেষ হয়েছিল।যার ফলে মেয়েটা আমাকে জব করতে না দিয়ে নিজেই জবে ঢুকে পড়লো।এদিকে আমার ফাইনাল এক্সাম ও প্রায় শেষের দিকে।এবার আর মিতুকে এত কষ্ট করতে হবে না।মেয়েটা যে আমাকে এতটা ভালবাসে সেটা আগে বুঝতেই পারিনি।
.
আজ অফিস যাবে না?
.
আমার কথায় মিতু আমার দিকে তাকিয়ে বললো,
-না,তোমাকে নিয়ে শপিং এ যাবো।
-আমাকে নিয়ে।
-হ্যা,এখন তো বেশ কিছু ইন্টার্ভিউ দিতে হবে।এর জন্যে কিছু কেনাকাটার দরকার আছে।
-আরে না।লাগবে না আমার।আছেই তো সব।
-কি আছে সেটা আমি ভাল করেই জানি।কোন কথা বলবা না আর।
মিতুর কথায় আমি আর কিছু বললাম না।মেয়েটা যেটা বলবে ঠিক সেটাই করতে হবে।
.
বেশ কয়েকটা ইন্টার্ভিউ দিলাম।কিন্তু এই যুগে মামা,খালু ছাড়া যে চাকরি হবে না এটা বেশ ভালভাবেই জানা আছে।তাই চাকরি না খুজে মামা,খালু খোজাই বেটার হবে।
.
আজ মিতুর ঘামে ভেজা মুখটার জন্যেই আমার এগিয়ে যাওয়া।মেয়েটা সবকিছু এভাবে গুছিয়ে নেবে ঠিক ভাবতে পারিনি।
অফিস শেষে মিতু বাসায় আসতেই মেয়েটা আমার দিকে মলিন মুখে তাকিয়ে বললো,
-সরি আজ একটু দেড়ি হয়ে গেলো।তুমি একটু বসো আমি রান্না বসিয়ে দিচ্ছি।
কথাটি বলেই মিতু ঘুরতেই আমি ওর হাতটা ধরে আমার দিকে এনে টিস্যু দিয়ে ওর মুখের ঘাম মুছে দিতে দিতে বললাম,
-আজ রান্না করতে হবে না,বাইরে খাবো।
-বাইরে, কি দরকার আছে।তুমি একটু বসো আমি এক্ষুনি রান্না করছি সবকিছু।
-না,বলেছি বাইরে খাব, বাইরেই।আর বিলটা আমিই দেবো।
আমার কথায় মিতু একটু অবাক হলেও সেটা প্রকাশ করলো না।আসলে সবকিছুর বিল তো ও নিজেই দিয়ে আসছে,আজ হঠাৎ আমি দেবো।
.
আমরা কোথায় যাচ্ছি?
.
মিতুর কথায় আমি কিছু বললাম না।এই নিয়ে প্রায় চারবার বললো কথাটা।রেস্টুরেন্ট থেকে বের হয়ে রিক্সায় চেপে বসতেই মিতু কথাটি বলেছিল।আমরা কোথায় যাচ্ছি।অবশ্য এই কথাটা মেয়েটা বলতো না, যদি না আমি বাসার উলটো দিকে রিক্সা নিয়ে না যেতাম।তবে আমার চুপ থাকা দেখে যে ওর কৌতুহল আরও বেড়ে যাচ্ছে এইটা বেশ ভালভাবেই বুঝলাম।
.
রিক্সা এসে থামলো একটা ছ তলা বিল্ডিং এর নিচে।আমি রিক্সা ভাড়াটা দিয়ে মিতুকে নিয়ে ভেতরে ঢুকলাম।মিতুর মুখটা এখনও ঠিক আগের মতই আছে।আমি ওকে নিয়ে সিড়ি দিয়ে তিন তলার একটা ফ্লাটের সামনে দাঁড়ালাম।আমি দড়জার দিকে এগিয়ে গিয়ে মিতুর হাতে একটা চাবি দিয়ে বললাম,
-এই নাও,খোলো।
আমার কথায় মিতু কিছু বলতে গিয়েও কেমন যেন বলতে পারলো না।তবে দড়জাটা খুলে ভেতরে ঢুকতেই আমি মিতুর গালে হাত রেখে বললাম,
-এক রুমের বাসায় আর কতদিন,একটু তো চেঞ্জ দরকার।
আমার কথায় মিতু একটু আস্তেই বললো,
-তার মানে,
-তারমানে আমার চাকরি টা হয়ে গেছে।আর এই বাসাটা আমার তরফ থেকে তোমার জন্যে গিফট।
আমার কথায় মিতু কিছু বললো না।তবে আমাকে জড়িয়ে ধরে বাচ্চা মেয়েদের মত কেদে দিল।আমি মিতুকে একটু শক্ত করেই জড়িয়ে ধরে বললাম,
-এবার তোমাকে আর কষ্ট করতে হবে না।চাকরিটা ছেড়ে দাও।
তোমার ঘামে ভেজা মুখটা দেখে আমার একটুও ভাললাগে না।তোমাকে আর চাকরি করতে দেবো না।কোন ভাবেই না,কোন মতেই না।

Oct 1, 2018

ভালবাসার মানুষকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা ,প্রেমিক প্রেমিকার জন্মদিনের শুভেচ্ছা



রূপ কোথার রানী তুমি , ২ নয়নের আলো সারা জীবন এমন করে বেশে যাবো ভালো ।তুমি আমার জীবন মরন,আমার চলার সাথি।তমাক ছারা ১ লা আমি কি করে থাকি ?---"Happy Birth day janu"------


বিধাতার সুখের নিরে হোক তোমার বসবাস ।স্বপ্ন গুলো সত্যি হয়ে কেটে যাক ১২ মাস ।ইসছে গুলো ডানা মেলুক প্রজাপতির মতো।মুছে যাক তোমার জীবনের দুঃখ আছে যত। ----***হ্যাপি বার্থডে**----


চোখ খুলি বা বন্ধ করিতুমি ই ভেসে আসো!মেয়ে তুমি আমায় কিএমনি ভালবাসো?" Happy Birthday"

আজ তোমার জন্মদিন ,,, কি দিবো বলো উপহার ?? জন্মদিনে তোমার হৃদয় দিলাম উপহার ।
অভিমানের মেঘ ভাসিয়ে দাও অনেক দূরে ,মন খারাপ এর দিন গুলো দাও উরিয়ে অই আঁকাশের নীড়ে।অসীম শুখ বয়ে আনুক আসুক তোমার জীবন জুড়ে ।""Happy Birthday To U.""*..!

শুভ রজনী শুভ দিন , সামনে আসছে তোমার জন্মদিন, জন্নমদিনে কি দেবো তোমাই ,এক তঁরা গোলাপ ফুল আর এক বুক ভালবাসা ছারা র কিছু নেই ।
তোর জন্য ভালবাসা ,লক্ষ তারা জুই , হাজার লোকের ভিরে আমার , থাকবি হৃদয়ে তুই ।***শুভ জন্মদিন***

গ্রীষ্মের ফুলগুলি , ভালোবাসার অঞ্জলি ।শরৎ এর গীতালি , হেমন্তের মিতালী ।শিতের পিঠাপুলি ,বসন্তের ফুল-কলি ,এমন করে ভরে থাক তোমার জীবনের দিন গুলি ।।………Suvo Jonmodin…….

শুভ শুভ শুভ দিন আজ তোমার জন্মদিন । মুখে তোমার দীপ্ত হাঁসি ফুল ফুটুক রাসি রাসি ।হাজার ফুলের মাঝে গোলাপ যেমন হাঁসে তেমন করে বন্ধু তোমার ,জীবন যেন সুখের সাগরে ভাসে ।"S"H"U"V"O "J"O"N"M"O"D"I"N"

ভালবাসার মানুষকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা ,প্রেমিক প্রেমিকার জন্মদিনের শুভেচ্ছা

সবাইতো ফুলদিয়ে উইশ করে । আমি না হয় হৃদয় দিয়ে করবো ।কেউ মুখে বলবে আবার কেউ গিফট দিবে ।আমি না হয় এসএমএস দিয়ে বললাম ।“” শুভ জন্মদিন “”

আজ তোমার জন্মদিন ,জীবন হোক তোমার রঙ্গিন ।সুখ যেনো না হয় বিলীন , দুঃখ যেনো না আসে কোন দিন। *””Happy Birthday””**.
আর একটা বছর এসে গেলো বেরে যাবে আর একটা মোমবাতি ,কাল ও ছিলাম আজ ও আছি । তোমার জন্মদিন আর সাথী । @@ শুভ জন্মদিন ****

রাত পেরিয়ে আর একটা দিন , তাই তোমার জন্মদিন ।প্রকৃতি সেজেছে নতুন সাজে ,ফুল ফুটেছে রাশি রাশি গাছে গাছে ।দোয়েল ময়না টিয়া ডাকছে আপন সূরে । জন্মদিনে শুভেচা জানাবে বলে । “ShUVO JONMODIN”,-¤* ¤-._.-¤*¤-, (SweetHeart )“

Jei Din Surjo Utheni, Sei Din Ful Foteni. Karon Jonmo Din Chilo Bole.Din Ta Chilo Sudhu tomar. Amar Maje Lukiye Ache Sei Din Tir Sriti.Ja Proti Bochor Sara Jagay Amar Mone. Happy Birthday my dear.

Wish you many many happy returns of the day.May god bless you with good health, Wealth and prosperity in your life*****Happy ßirthday To You*****

রাত যাই দিন আসে,মাস যাই বছর আসে,সবাই আশায় থাকে একটা সুদিনের ।আর আমি আশায় থাকি তোমার জন্মমদিনের
জন্নমদিনের শুভেচছা , প্রিতি আর ভালবাসা ,পৌছবে তোমার কাছে ,আমার এই আশা । এই কবিতা পরে তুমি হাসবে হয়তো , কে বা জানে উদ্যেস সফল হবে , যদি এই এসএমএস একটা হাঁসি তোমার মুখে আনে ।@@@ শুভ জন্মদিন @@

এই দিনটি আসে যেন বারবার বারবার ফিরে ।যেন অনেক স্বপ্ন দেখতেপারি তোমার আমি ঘিরে ।হ্যাপি বার্থডে !
সুন্দর এই ভুবনে সুন্দরতম জীবনহুক তোমার পূরণ হুক প্রতিটি স্বপ্ন ,প্রতিটি আশা , বেচে থাক হাজার বছর << শুভ জন্মদিন >>

আজ বাতাসে সুবাসিত সিনিগ্ধতাপাখিরা সারি সারি গাইছে গান ,প্রকৃতি হেলে দুলে হয়েছে রঙ্গিন,ফুলেরা সব ফুটেছে বাগানে ।আজ আমার প্রিয়ার জন্মদিন *** শুভ জম্মদিন ****

মিষ্টি আলোর ঝিকিমিকি সবুজ ঘাসে ,সিনিগ্ধ হাওয়ায় দুলিয়ে মাথা ফুলের কলি হাঁসে ,পাখির গানে পরিবেশে মায়াবি এক ধয়া ।পেয়েছে ওরা তোমার শুভ জন্মদিন এর ছোঁয়া । Happy Birthday !

Jonmodiner ushno ovinondon janai amar jana socheye sundor manushtike, tomar ekta hasite alokito hoy charidik, onek valobasha roilo tomar jonno.,

দিনের শেষে বলছি বটে শুভ জন্মদিন , , , কিন্তু তোমার কাথাই – আমি শুধু ভাবছি সারাদিন ! Jonmodiner shubhechcha !

Muche Dao Purono Bedona, Khule Dao Moneri Janala.Vule Jao Bethar Din guli, Muche Felo Chokher Pani.Jhore Jak Dukkho Durdosa, Mone Jagao Shob Notun Notun Asa..*””Happy Birth Day 2 U””*.

আজকের এই রাত তোমার জন্য ডেকে আনুক শুকময় নতুন এক প্রভাত ,আজকের এই দিন তোমার জন্য হোক কষ্টহীন ,আজকের এই সময় – টা সুধু তোমার জন্য আর তো কারোর নয় ।।জানাই শুভ জন্মদিন তোমার জন্য আজ পৃথিবী হয়ে যাক রঙিন ।“ShUVO JONMODIN”,-¤* ¤-._.-¤*¤-, (SweetHeart )“ 💕

নতুন সকাল ,নতুন দিন নতুন করে শুরু ,যা হয়না যেন শেষ ।জন্মদিনের অনেক শুভেসছার সাথে পাঠালাম তোমাই এই এসএমএস ! ??? শুভ জন্মদিন << মুছে দাও পুরনো বেদনা , খুলে দাও মনেরি জানালা ।ভুলে যাও বেথার গ্লানি , মুছে ফেলো চোখের পানি ।ঝরে যাক দুঃখ দুর্দশা , মনে জাগাও সব নতুন আশা ।।*""Happy Birth Day To U""*..! Je Din Surjo Utheni,Se Din Ful FoteNi. Karon Jonmo Din Chilo Bole.Din Ta Chilo Sudu 2mar.Amar Majhe Lukiye Ace Sei Din Tir Sriti.Ja Proti Bochor Sara Jagay Amar Mone.Shuvo JonmoDin Wishing you a day filled with love, good times, loads of presents and a calorie-bomb birthday cake. Happy Birthday, you wonderful person. Barlo ArEkTi Bochor Tomar Jiboner Sathe,Agie Jao Sommaner Sathe Amader Sathe Aro Dure,Icche Hok Tomar Puron,Santi Thakok Tomar Prane,Valobasuk Sobai Tomar Ai JonmoDin Theke...Shuvo JonmoDin Bhabchi ami, bhabchi anek Mone porchhena, Keno aaj special din Bojhai jachchena ! ; ; Achcha, tor janmadin ese geche aaj-i ? Subho Janmadin janai toke Hatachchara Paaji ! কোনো রাজার সিংহাসন থেকে নয় ,নয় কোনো হিমালয়ের পাদদেশ থেকে ,৭ সমুদ্র ১৩ নদী ওপার থেকে নয় ,আমার হৃদয়ের ছোট্ট কুটির থেকে জানাই ।*HAPPY BIRTHDAY TO U* এই দিনটা আসে যেন বারবার বারবার ফিরে, যেন অনেক স্বপ্ন দেখতে পারি তোমায় আমি ঘিরে. হ্যাপি বার্থডে !! Darun dintay janai ovinondon, colar pothe souvaggoban theko, agami jibonta anondomoy hok ei asha kori, aj dinta valo vabe upovog koro. Shuvo Jonmodin. এই এসএমএস টায় ফ্যাট , কোলেস্টেরল, নেশার দ্রব্য কিছুই নেই ..আছে শুধু অনেকটা মিষ্টি , এই মেসেজটার পাঠকের মতই মিষ্টি ..জন্মদিনের মিষ্টি শুভেচ্ছা আসুক ফিরে এমন দিন হোক না তোমার সব রঙিন জনম জনমের তরে, তোমার এই শুভ জন্মদিনে বারে বারে পড়ছে মনে যতই থাকি না দুরে।। শুভ রজনী শুভ দিন । সামনে আসছে তোমার জন্মদিন, জন্নমদিনে কি দেবো তোমাই ,,এক তঁরা গোলাপ ফুল আর এক বুক ভালবাসা ছারা র কিছু নেই যে আমার । >> শুভ জন্মদিন <<

ভালবাসার মানুষকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা ,প্রেমিক প্রেমিকার জন্মদিনের শুভেচ্ছা

Aajker ei bishesh din-e hoye otho aaro Nabin, Bhalobese janai tomay Shubho Janmadin !

Rat Pariye R akta Din Tai Tomar Jonmodin. Prokriti Sajase Nutun Saje. Ful Futace Rashi Rashi Gace Gace. Doyel Moyna Tiya Dakce Pakhi Apon Sure. Jonmodine Suvessa Janabe Bole. "SUVO JONMODIN",-¤* ¤-._.-¤*¤-, (SweetSweet )“-.,,_, ZZZ ,_,.-”,-¤*¤-._.-¤*¤-,

আজকের এই দিনটির জন্য একটা বছর ধরে ওয়েট করছি... কারন এই স্পেশিয়াল দিনে সৃষ্টিকর্তা তোমাকে পৃথিবীতে স্পেশিয়াল করে আমার জন্য পাঠিয়েছে...... শুভ জন্মদিন......

আজকেরই এই দিনে সবকিছু হউক নতুন করে, সুখের স্মৃতিটুক থাক কাছে দু:খগুলো যাক দুরে। জড়া জীর্ণ অতীতটাকে রেখোনা আর মনে নব উদ্দমে কাজ করো নতুন এই দিনে।
অতীতের সব দুঃখজনক ঘটনাকে ভুলে যাও... মন দাও বর্তমানের দিকে.. অনেক অনেক খুশির জোয়ার আসুক তোমার জীবন জুড়ে... শুভ জন্মদিন....

আজ বাতাসে সুবাসিত স্নিগ্ধতা, পাখিরা সারি সারি গাইছে গান, প্রকৃতি নতুন করে হয়েছে রঙিন, ফুলেরা সব ফুটেছে বাগানে, আজ আমার সবচেয়ে প্রিয় মানুষের জন্মদিন.... "শুভ জন্মদিন"

রোমান্টিক ভালোবাসার গল্প ডায়েরীর শেষ পাতা




ক্লাসে ঢুকতেই মেজাজ বিগড়ে যায় ঐশীর।এই ছেলেটাকে সে একদম-ই সহ্য করতে পারেনা। কিন্তু রোজই সে আগে আগে ক্লাসে এসে বসে থাকে। উসকো খুসকো চুল, ময়লা জামা কাপড়, একদম অপরিপাটি এই ছেলেটির নাম রাফসান আহমেদ। ঐশী এখনো পর্যন্ত তার মুখ ভালো করে দেখতে পায়নি, আর পাবে কিনা তাও বলা মুশকিল। মুখের অর্ধেক চুল দিয়ে ঢাকা থাকে। শিক্ষকগণ সর্বদা বকতে থাকেন। কিন্তু তার কোনো পরিবর্তন হয়না। সবসময় ক্লাসে চুপ করে বসে থাকে, একটি প্রশ্ন পর্যন্ত করেনা কাউকে। মুখ ফুলিয়ে ক্লাসে প্রবেশ করে ঐশী। বড়লোকের মেয়ে হওয়ায় দেমাক একটু বেশি। তাছাড়া ভালো ছাত্রী সে। সকল শিক্ষকগণও তাকে খুব ভালোবাসেন। ক্লাসের সময় শুরু হয়ে যায়। ক্লাস টিচার মোঃ আরিফুজ্জামান ক্লাসে প্রবেশ করেন। বদমেজাজি শিক্ষক তিনি কিছুটা। কথার থেকে হাত বেশি চলে। রাফসান অনেক থাপ্পড় খেয়েছে তার হাতে। কিন্তু টু শব্দ পর্যন্ত করেনি কখনো। ক্লাসে পড়া জিজ্ঞাসা করলে কখনোই বলেনা সে, চুপ করে দাঁড়িয়ে থাকে। সবাই জানে কলেজের সব থেকে বাজে ছাত্র এই রাফসান। এস.এস.সি রেজাল্টও তেমন ভালোনা। সবসময় বেশি কথা আর সবার রাগ সহ্য করে যায় সে।
-কাল তোমাদের টিউটোরিয়াল এক্সাম নেওয়া হবে। সবাই অংশগ্রহণ করবে বাধ্যতামূলক। কোনো প্রকার অজুহাত চলবেনা। (আরিফ স্যার বলেন ছাত্র-ছাত্রীদের)
ক্লাস থেকে বেরোনোর সময় রাফসানের দিকে তাকিয়ে বলেন..
-পরীক্ষার কথা শুনে পালিয়ে গেলে হাড় গুড়ো করব। তোকে যেন সবার আগে দেখি।
অবশ্য সে সবার আগেই ক্লাসে হাজির থাকে।কিন্তু পরবর্তী দিনে একটু দেরি করে ক্লাসে প্রবেশ করে। স্যার ধমক দিয়ে বলেন..
-দেরী হলো কেন? প্রশ্ন ও উত্তরপত্র নিয়ে যা।
রাফসান চুপ করে প্রশ্ন আর উত্তরপত্র নিয়ে আসে। পরিক্ষার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত নীরবে পরিক্ষা দেয় সে।
রেজাল্ট দেওয়ার দিন সবাইকে লক্ষ্য করে আরিফ স্যার বলেন..
-তোমাদের অবস্থা খুবই খারাপ। কারোরই ফলাফল ভালো হয়নি দু'জন বাদে। তাদের উভয়েরই একই নম্বর। ঐশী এবং রাফসান।
রাফসানের কথা শুনে সকলেই অবাক হয়ে যায়। ফ্যালফ্যাল করে তাকায় সবাই তার দিকে।
-রাফসান এদিকে আয়।(কর্কশ স্বরে)
---ঠাসসসস(সজোরে একটা থাপ্পড় মেরে আরিফ স্যার বলেন)
-হতচ্ছাড়া, কার থেকে চুরি করে দেখে দেখে লিখেছিস। আমাদের কলেজের বদনাম করেই ছাড়বি তুই। (মুখের উপর খাতা ছুঁড়ে দিয়ে) যা বের হয়ে যা ক্লাস থেকে।
-(ঐশীকে ডেকে, মাথায় হাত বুলাতে বুলাতে) দোয়া করি মা, অনেক বড় হও। আমাদের কলেজের মুখ উজ্জ্বল করো।
-কি হলো এখনো বের হসনি তুই। যা বেরিয়ে যা।
খাতা তুলে মুখে হাত দিয়ে বেরিয়ে যায় ক্লাস থেকে রাফসান। চোখ দিয়ে অঝোরে অশ্রু ঝরতে থাকে। ক্লাস থেকে বের করে দেওয়ায় খুব আঘাত পেয়েছে সে। ঐশী লক্ষ্য করে সে কাঁদছে। আজ প্রথম বারের মত রাফসানের জন্য তার মায়া হয়। কি দরকার ছিলো বেচারাকে মারার?
বছর ঘনিয়ে এসেছে। বার্ষিক পরিক্ষা দরজায় ধাক্কা মারছে। মন দিয়ে পড়াশোনা করতে থাকে ঐশী। যেভাবেই হোক তাকে প্রথম হতেই হবে। পরিক্ষা চলে আসে খুব দ্রুত। খুব ভালো পরিক্ষা দেয় ঐশী।
ফলাফল ঘোষণার দিন..
সকল শিক্ষক এবং ছাত্রছাত্রী উপস্থিত রয়েছে। ঐশী খেয়াল করে রাফসান এক কোণায় মাথা নিচু করে বসে আছে। হয়ত পরিক্ষা ভালো হয়নি। তার দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে শিক্ষকদের বক্তৃতার দিকে মনোযোগ দেয় সে। কিছু সময় পর ফলাফল ঘোষণা করা হবে। হার্টবিট ক্রমশ বেড়েই চলেছে। অবশেষে ফলাফল ঘোষণা করা শুরু হয়। প্রথমে গোল্ডেন এ+ প্রাপ্তদের নাম উল্লেখ করা হয়। নিজের নাম শুনে খুশিতে প্রায় লাফিয়ে ওঠে ঐশী। এর মধ্যে সে রাফসানের নামটাও শুনতে পায়। অবাক হয়ে তাকায় সে রাফসানের দিকে। রাফসান মাথাটা হাল্কা উঁচু করেছে। কিন্তু ঐশী তাকে দেখে ভাবলো রাফসান এ ফলাফলে খুশি নয়। শিক্ষকদের ভয়ে নাকি আরো ভালো ফলাফল শোনার আশায় এটা বুঝতে পারেনা ঐশী। পরিশেষে সমগ্র কলেজের মধ্যে প্রথম স্থান অধিকারীর নাম ঘোষণা করা হচ্ছে। বুকের ভিতর হাতুড়ির আঘাত চলতে থাকে ঐশীর। কিন্তু পরক্ষণেই সে হতভম্ব হয়ে যায় যখন সে শুনত পায় নামটি রাফসানের। সকলেই অবাক দৃষ্টিতে তাকায় রাফসানের দিকে। ঐশী লক্ষ্য করে তার ঠোঁটের কোণায় মুচকি হাসির ছাপ। কিন্তু রাফসান? সব থেকে অমনোযোগী ভাবতো যাকে সে কিভাবে কলেজ টপার হলো? সকলের মনে একই চিন্তা। অনুষ্ঠান শেষ হবার পর অফিস কক্ষ থেকে ডাক পড়ে রাফসানের। সকল শিক্ষকদের মুখে একটাই কথা সে কিভাবে ১ম হলো?
-কার থেকে দেখে দেখে লিখেছিস? (প্রিন্সিপাল স্যারের প্রশ্ন)
--(রাফসান মাথা নিচু করে চুপ করে দাঁড়িয়ে আছে।)
-বল কার থেকে দেখে লিখেছিস?
--জ্বী স্যার, কারো থেকে না।
-তাহলে ১ম হলি কিভাবে? তুই তো এতো ভালো ছাত্র না।
--(নিশ্চুপ)
-কি হলো চুপ করে আছিস কেন?
রাফসান বোঝাতে চেষ্টা করছে সে কারো থেকে দেখে লেখেনি কিন্তু কেউই বিশ্বাস করছেনা তাকে। অনেক অপমান করে তাকে বের করে দেওয়া হলো।
পরবর্তী বছরেও একইভাবে প্রতিনিয়ত তাকে খুব বকা হয়। কখনো কখনো সে সহ্য করতে না পেরে কেঁদেই ফেলে।তার প্রতি কারোর একফোঁটাও সহানুভূতি জাগ্রত হয়না। বর্ষাকাল চলে এসেছে। বৃষ্টি নামলেই রাফসান খোলা মাঠের নিচে দাঁড়িয়ে ভিজতে থাকে যতক্ষণ বৃষ্টি শেষ না হয়। একদিন ঐশী তার এই অদ্ভুত কান্ড দেখে খুবই অবাক হয়। মনের মধ্যে প্রশ্ন জাগে, 'এই ছেলেটা এভাবে ঘন্টার পর ঘন্টা বৃষ্টিতে ভিজছে কেন? ' প্রশ্নটি নিজেকে করলে উত্তর পাবেনা জেনে সে রাফসানকে প্রশ্ন করার অনেক চেষ্টা করে। কিন্তু রাফসান কারো সাথে কথা বলেনা কারো ডাকে সাড়াও দেয়না। কে জানে তার মনের মধ্যে কোন কষ্ট গেঁথে আছে। হয়ত সবার অপমানগুলো বৃষ্টির প্রতি ফোঁটার সাথে ধুয়ে ফেলে সে। ঠান্ডা, জ্বর, সর্দির মধ্যেও সে ক্লাসে আসা বন্ধ করেনা। কি দরকার ছিলো অযথা নিজেকে অসুস্থ করার?
সময়ের কাঁটা অবিরামহীন ভাবে চলছে। এক মাস, দু'মাস, তিন মাস করে পার হতে হতে এইচ.এস.সি পরিক্ষা চলে আসে। ঐশী তাদের কলেজের গর্ব। সবার একটাই আশা, ঐশী। ঐশীও এটা মাথায় রাখে। খুব মন দিয়ে পড়াশোনা করতে থাকে সে। সময়ের কাঁটা চলতে চলতে পরিক্ষাও শেষ হয়ে রেজাল্ট দেওয়ার সময় চলে আসে। ঐশী খুবই উত্তেজিত হয়ে আছে রেজাল্ট পাওয়ার জন্য। পত্রিকায় সে তার রোল নম্বর মেলাতে থাকে। হ্যাঁ, পেয়েছে সে। তাদের শিক্ষা বোর্ডের মধ্যে মেধা তালিকায় সপ্তম স্থান অধিকার করেছে সে। একটি বোর্ডের মধ্যে সপ্তম স্থান অর্জন করা খুব সহজ কথা নয়। তাই সে ভগবান কে অনেক ধন্যবাদ দিতে থাকে । হঠাৎ তার মাথার মধ্যে কি যেন ঘুরপাক খায়। কি মনে করে সে রাফসানের রেজাল্ট খুঁজতে থাকে। নাহ খুঁজে পাচ্ছেনা কোথাও। তাহল কি এতদিন সে সত্যিই অন্যের থেকে দেখে দেখে পরিক্ষা দিয়েছে? নিজেকে প্রশ্ন করে ঐশী। যাই হোক সে পত্রিকায় অন্য সংবাদ গুলো পড়তে থাকে। হঠাৎ তার চোখ আটকে যায় একটি নামের মধ্যে, রাফসান আহমেদ। সাথে ছবিও দেওয়া। সুন্দর মিষ্টি চেহারার একটা ছেলে। কেমন পরিচিত লাগছে তাকে ঐশীর কাছে। কলেজের নাম পড়ে সে দেখে এটা তাদেরই কলেজের নাম। তাহলে এটাই কি সেই রাফসান যাকে সে এই দুই বছর ধরে ঘৃণা করে আসছিলো? কিন্তু এই সে হলে তখন তার রোল নম্বর খুঁজে পেলোনা কেন? আবার আগের পৃষ্ঠায় ফিরে যায় ঐশী। হ্যাঁ হুবহু মিলে যাচ্ছে রোল নম্বর। তখন সে হয়ত ভাবেনি ও তাদের বোর্ডে ১ম হবে। এজন্য তখন খুঁজে পায়নি। সমস্ত কলেজে কলরব শুরু হয়। শিক্ষকগণ এতদিন ধরে তার উপর যে আচরণ করছে তা মনে করে খুবই লজ্জিত হন, কেননা আজ সকলের ভূল ভেঙেছে। কলেজ হোস্টেলে রাফসানের খোঁজ করা হয়। কিন্তু সে ততক্ষণে ছুটিতে গ্রামে তার বাড়িতে চলে গিয়েছে। ঐশীর জানার আগ্রহ বেড়েই চলেছে। রাফসানের গ্রামের নাম জেনে সেও সেইদিনই রওনা দেয় তাকে খুঁজে পেতে। গ্রামে চলতে চলতে অনেক কষ্টের পর সে রাফসানের বাড়ির ঠিকানা জানতে পারে। যত জনের কাছে রাফসানের নাম শুনেছে সকলের মুখেই রাফসানের প্রশংসা ব্যতীত কোনো দোষ শুনতে পায়নি সে। কিন্তু তাদের বাড়িতে গিয়ে অনেক অবাক হয় ঐশী। রাফসানের বাবা, মা এবং অন্য যারা ছিলো সকলেই ভারাক্রান্ত মন নিয়ে বসে আছে, আর ডুকরে ডুকরে কাঁদছে। তাদের কান্না দেখে ঐশীরও কান্না পায়। ঐশী তাদের পাশে গিয়ে বসে। নিজের পরিচয় দিয়ে সে জানতে চায় তারা কাঁদছে কেন। তার মা কোনো কথা-ই বলতে পারছেন না, শুধু আঁচল দিয়ে মুখ ঢেকে কেঁদেই চলেছেন। রাফসানের বাবা নিজেকে সামলে নিয়ে বলতে থাকে...
-আর দশটা পাঁচটা ছেলের মত নয় আমাদের রাফসান। সবার থেকে আলাদা, ছোটবেলা থেকেই নম্র, ভদ্র এবং খুবই মেধাবী। কোনোদিন তার বিপক্ষে কেউ নালিশ নিয়ে আসেনি আমাদের কাছে।
(চোখ মুছতে মুছতে আবার বলতে থাকেন) কিন্তু ১০ম শ্রেণীতে উঠে সে কেমন বদলে যায়। তার মধ্যে অন্যরকম আচরণ লক্ষ্য করি আমরা। অধিকাংশ সময় বাইরে কাটাতো, মোবাইল নিয়ে পড়ে থাকতো। বই নিয়ে বসতেই চাইতো না। কিন্তু সে বন্ধুদের সাথে বাজে আড্ডা দেওয়ার মত ছেলে নয়। আমি তার চলাফেরার প্রতি খুব কঠোর নজর দিতে শুরু করলাম। জানতে পারলাম সে তামান্নাকে ভালোবাসে। তার বাবা আমার অনেক ঘনিষ্ঠ বন্ধু। রাফসানকে আমি এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করি কিন্তু সে কিছুই বলতোনা। আমি তামান্নার বাবাকে তামান্নার উপর নজর দিতে বলি। তিনিও নিশ্চিত হন বিষয়টা সম্পর্কে। তামান্না ভালো মেয়ে কিন্তু এই বয়সে এসব করা ঠিক নয় বিধায় আমি রাফসানকে অনেক বুঝিয়েছি, নিষেধ করেছি, খুব রাগও করেছি। কিন্তু সে আমাদের কোনো কথা ই শুনেনি। এস.এস.সি তে ফলাফল খারাপ করে বসে সে। আমি জীবনে প্রথমবারের মত খুব মেরেছিলাম তাকে। সে ব্যাথায় কাঁদতে শুরু করে। তার কান্না দেখে তার মা-ও কেঁদে ফেলে, কিন্ত আমার মনে এক ফোঁটাও দয়া হয়নি তার জন্য। তার পড়ালেখা বন্ধ করে দিতে গিয়েছিলাম আমি। কিন্তু তামান্নার বাবা অনেক বুঝালেন আমাকে। অনেক কিছু বললেন। তারই পরামর্শ মত আমি রাফসানকে একদিন বলি-"যদি কোনোদিন এইচ.এস.সি তে স্টান্ড করতে পারিস, সেদিন আমাদের মুখ দেখাবি। আর নাহলে বেরিয়ে যা বাড়ি থেকে। তোর সমস্ত পড়ালেখা বন্ধ।" রাফসান সত্যি-ই বেরিয়ে যেতে লাগলো। আমি আবার তাকে বললাম-"যদি তামান্নাকে পেতে চাস তাহলে পড়াশোনা করতেই হবে তোকে। শ্রেষ্ঠ ফলাফল দেখাতে হবে সবাইকে।" রাফসান হঠাৎ থেমে যায়। সে বলেছিলো-"যদি স্টান্ড করতে পারি তামান্নাকে আমার হাতে তুলে দেবে তো?"
"হ্যাঁ দেবো, কথা দিচ্ছি"
এরপর সে পড়ালেখার জন্য শহরে একটা কলেজে ভর্তি হয়। এই দুই বছরের মধ্যে কোনো যোগাযোগ করেনি আমাদের সাথে। তার মা অনেকবার বলেছে তার খোঁজ নিতে কিন্তু আমার পাষাণ হৃদয় তার কোনো খোঁজই নেয় নি। আর অন্যদিকে তামান্না সারাক্ষণ মনমরা হয়ে পড়ে থাকতো। খেতোনা ঠিক মত। সবসময় ভাবতো যে রাফসান একদিন ঠিকই তার কাছে ফিরে আসবে।
এরপর একদিন রাফসান তো ফিরে এলো তার দেওয়া কথা পুর্ণ করে। কিন্তু...(জোরে কেঁদে দেন তিনি)
তার কান্না শুনে ঐশীও কেঁদে ফেলে। ঐশী আবার জানতে চায় "কিন্তু কি হয়েছিলো আংকেল?" রাফসানের বাবা চোখ মুছতে মুছতে আবার বলতে লাগলেন..
-তামান্না রাফসানের জন্য সবসময় পথ চেয়ে থাকত। নিজের যত্ন নিতেও ভুলে গিয়েছিলো। ধীরে ধীরে অসুস্থ হয়ে পড়ে সে। ক্যান্সার ধরা পড়ে তার। এতদিন হয়ত রাফসানকে শেষ দেখা দেখার জন্যই বেঁচে ছিলো। রাফসান অনেক খুশির সাথে আমাদের কাছে এসে তার রেজাল্ট বলে। তারপর জিজ্ঞাসা করে-"মা, তামান্না কেমন আছে?" তার মা আঁচলে মুখ লুকিয়ে কাঁদতে শুরু করে। রাফসান বলে-"কি হয়েছে মা কাঁদছো কেন? বলো তামান্না কেমন আছে? বাবা কিছু বলছ না কেন?কেমন আছে আমার তামান্না?" আমাদের কাছ থেকে কোনো উত্তর না পেয়ে সে দৌড়ে তামান্নাদের বাড়িতে চলে যায়। গিয়ে দেখে তামান্না মৃত্যু শয্যায়। রাফসান দৌড়ে তার পাশে গিয়ে বসে।
-(কেঁদে কেঁদে) এই তামান্না কি হয়েছে তোমার? এভাবে শুয়ে আছো কেন? দেখ আমি চলে এসেছি। আমি আমার দেওয়া কথা পুর্ণ করেছি। এই তামান্না, দেখ আমি স্টান্ড করতে পেরেছি। কথা বলো তামান্না। আর কেউ আমাদের আলাদা করতে পারবেনা। তামান্না কথা বলো। দেখ তোমার রাফসান ফিরে এসেছে। তামান্না, এই তামান্না?
তামান্নার চোখ থেকে এক ফোঁটা জল গড়িয়ে পড়ে। রাফসানের হাত ধরে শেষ বারের মত একটা মুচকি হাসি দিয়ে চিরকালের জন্য বিদায় নেয়।
-এই তামান্না, ঘুমিয়ে পড়লে? এখন কি ঘুমানোর সময়? গল্প করবেনা আমার সাথে? তামান্না ওঠো বলছি। দেখো আমি ফিরে এসেছি তোমার কাছে। তামান্না, উঠছোনা কেন? এই তামান্না? ও কথা বলবেনা তাইনা আমার সাথে? এতো অভিমান করেছো আমার উপর? তোমাকে ছেড়ে এতদিন কোথায় গিয়েছিলাম এজন্য? আর কোনোদিন কোথাও যাবোনা কান ধরছি। এবার চোখ খোলো। তামান্না, এই তামান্না?
তামান্না চিরবিদায় নিয়ে চলে গেছে না ফেরার পথে কে বুঝাবে এটা রাফসানকে? সে কিছুতেই তামান্নার কাছ থেকে উঠবে না। তাকে কোথাও নিতে দেবে না। তামান্নার লাশের পাশে বসে কেঁদে কেঁদে বারবার বেহুঁশ হচ্ছিলো সে।
--আংকেল রাফসান কোথায় এখন?
রাফসানের বাবা আর কিছু বলতে পারছেন না। কাঁদছেন আর বিলাপ করছেন-"আমি মেরে ফেলেছি আমার রাফসান কে। আমি মেরে ফেলেছি একটা নিষ্পাপ প্রাণ। আমি মেরে ফেলেছি তামান্নাকে"
ঐশী শুধুই কাঁদতে থাকে। আবার জিজ্ঞাসা করে রাফসান কোথায়। তার বাবা শুধু আঙুল দিয়ে এক দিকে ইশারা করলেন। ঐশী দৌড়ে ছুটে গেলো সেদিকে। রাফসান একটা কবরের মাথার দিকে বসে আছে নির্বাক হয়ে। প্রতিদিন সে এভাবে তামান্নার কবরের পাশে বসে থাকে চুপ করে। মাস চলে যায় বছর চলে যায় রাফসান ঠিক এভাবেই বসে থাকে প্রতিদিন তার কবরের পাশে। বর্ষাকালে কবরের উপর ছাতা ধরে নিজে ভিজতে থাকে। কেননা তামান্না রাফসানকে বলেছিলো...
""বৃষ্টিতে ভিজলে তার ঠান্ডা লাগে। বৃষ্টিতে ভিজতে পারেনা সে।।""
সমাপ্ত**

রোমান্টিক ভালোবাসার গল্প বিয়াইন পর্ব -2



তুই এতোটা নিচে নামতে পারিস সেটা আমার জানা ছিল না।ছিঃ ছিঃ ছিঃ.......
তুই জানিস না মনি তোর থেকে বয়সে বড়।তারপরেও কিভাবে
করিস এসব ছিঃ ছিঃ।
.
এরপর দাদা চলে গেল।তারপর বৌদি এসে... কি হলো সোনা আর
তর সয় না বুঝি? বলেই একটা চিমটি কেটে তোজোকে নিয়ে
চলে গেল।
.
দেখলাম এখনও মনি দাঁড়িয়ে আছে।ও কিছু একটা বলার
জন্য সুযোগের অপেক্ষা করছে।আর সবাই চলে যাওয়ায়
সুযোগটা পেয়েও গেল।সাথে সাথে বলে উঠল...
.
তোমার থেকে ১ঘন্টা ৩মিনিট এর বড় আমি।সো সম্মান করে
কথা বলবা।যা বলব তাই করবা।উল্টা পাল্টা কিছু করলেই... বুঝেছো?
.
আমি কিছু বলার আগেই সামনে থেকে চলে গেল।বুঝলাম না
ওকি আমাকে সত্যিই ভালোবাসে?
.
আর আজও মনির ভালবাসা আমার কাছে
ধোয়াসাই রয়েছে।ওই ঘটনার পর থেকে কারো সাথে মাথা উঁচু
করে কথা বলতে পারিনা।বিশেষ করে মনি আর দাদা তো নয়ই।তার
উপরে মনির সব অন্যায় আবদার মেনে হত।হত মানে কি? এখনও,
এই যে ব্যাগ বইতে হচ্ছে।আরো কতো কি যে করতে
হইছে।এখানে নিয়ে যাওয়া, ওখানে নিয়ে যাওয়া।আরো কত কি।
.
ওই সেই কখন থেকে দেখছি।চুপ হয়ে আছো।কি ভাবছো
এতো?
.
মনির কথায় আমার সকল ভাবনার ছেদ পড়ল।
.
নাহ।কিছু নাহ।
.
ওকে।আচ্ছা তোমার জন্য নুডলস্ এনেছিলাম।এই নাও।
.
নিশ্চই ঘাপলা আছে।কোনো দিন তো ভাল কিছু দেইনি।যে
কয়দিন নুডলস্ দিয়েছে সে কয়দিনই হয় ঝাল বেশি থাকে নয়তো
লবন।আজ যে কি দিয়েছে! আর দিলেই বা কি? যতই খারাপ লাগুক
আমাকে তো খেতেই
হবে।না হলে যে বাসায় গিয়ে কি না কি কাহিনী বলবে কে
জানে।
.
কি হলো খাওয়া শুরু করো।
.
হুম।কি ব্যাপার আজ তো সব ঠিক ঠাকই আছে।তবে কি নিজে
খেয়ে পারেনি বলে আমাকে দিয়ে...।
.
কি ভাবছো? এটা ইনটেক।আমি খাইনি।তোমার খাওয়া হইলে
আমাকে দিও, খুব ক্ষুদা পাইছে।
.
ওরে বাবা এটা কে।আমি যে মনিকে চিনি।এ তো সে মনি না।
.
আরে কি ভাবছো এতো? আমি আর কেউ না তোমাদের মনিই।
.
কি ব্যাপার আমার মনের কথা বুঝতে পারছে কি করে?
.
আমি সব জানি।কার মন কি বলছে।
.
ওরে বাবা সব বুঝে ফেলছে।আর কিছু ভাবা যাবেনা।
.
এবার সেই আগের মত মুচকি হাসি দিয়ে আমার হাত থেকে
নুডলসের বাটিটি নিয়ে খাওয়া শুরু করে দিল।এই হাসিটা দেখলেই ভয়
লাগে।না জানি নতুন কি না কি কাহিনী তৈরি করে।সারা পথ ভয়ে ভয়ে
থাকলাম।
.
*****************
.
এখন আমি আর তোজো আমার রুমে শুয়ে কার্টুন দেখছি।
তোজো সাধারনত আমার বুক অথবা পিটের উপর শুয়ে থাকে।
আর আজও তাই আছে।তোজো আমার বুকের উপর শুয়ে
আছে।এমন সময় মনির আগমন।এসেই বলে উঠল...
.
তোজো সোনা দেখো তোমার জন্য কত খেলনা নিয়ে
এসেছি।আসো আসো।
.
না দাবো না।তুমি থুব পতা।
.
তোজো এমন করে বলতে হয়না।যাও আন্টি ডাকছে খেলনা
দিবে।
.
থেলনা লাববে না।আমি আন্তির থাথে তথা বলবো না।আন্তি থুব
পতা।থুধু তোমার
থাথে খালাপ তথা বলে।কাকু থুমি আমাকে অনেক থেলনা কিনে
দিবা তো?
.
হুম।দিব তাহলে এখন আন্টির কাছে যাও।
.
আমার থেলনা লাববে না।
.
মনির মুখের দিকে তাকাতেই দেখলাম।ওর মুখ কেমন লাল হয়ে
গেছে।চোখ দুটি জলে টলমল করছে।কিছুক্ষন পর মনি চলে
গেল।আসলে তোজোকে মনি খুব ভালোবাসে।কিন্তু এখন
কেনো জানি তোজো মনির কাছে তেমন যেতে চায় না।
.
এভাবে দিন কেটে যাচ্ছিল।ছুটি যতই শেষ হয়ে আসতেছিল।মনি
ততোই আমার কাছাকাছি চলে আসতে চাইছিল।সেটা আমি ঠিক
বুঝে গিয়েছিলাম।আর এটাও বুঝে গিয়েছিলাম মনি অনেক পাল্টে
গেছে।আর সব সময় আমার পাশাপাশি থাকতে চেষ্টা করছে।আমি
যেখানেই যাই মনিও আমার পিছু নেয়।বৌদিও এ ব্যপারটা খুব খেয়াল
করেছে।
.
বৌদি একদিন খাবার টেবিলে সবার সামনে এসে বলল...
.
কিছু দিন
ধরে দেখছি।টম এ্যান্ড জেরি দুজন দুজনকে ছাড়া থাকতে
পারছেনা।বিশেষ করে দেখছি জেরিই টমের পিছনে দৌড়াচ্ছে।
ব্যাপারটা কি ঠিক বুঝলাম না।
.
বৌদির কথা ঠিকই মনি বুঝতে পেরে মাথা নিচু করে ফেলল।দাদা কিছু
বুঝতে না পেরে বলল..
.
কি টম এ্যান্ড জেরির কথা বলছো? কিছুই তো বুজতেছিনা।
.
তুমি এখনো ছোট এসব বুজবা না।
.
মা বাবুতো থিক বলেতে।টমের পিথনে জেরি না, জেরির
পিথনে টম দৌলাই।
.
তোজো তুমি এখন ছোটো।তুমি এসব বুঝবা না।তুমি খাবার শেষ
করো।
.
মা আমি থপ দানি।আন্তি কাকুর সাথে লাপ কলে।আমি থপ দানি।
.
এ কথাটা শুনার পরে সবার চোখ কপালে উঠে গেল।সাথে
আমারও।
.
দানো বাবু, ওই থেই দিন আমি কাকুরর দলোজার পাথ থেকে আমি
থপ
দেখেছিলাম।আন্তি কাকুর তপালে উম্মা দিয়েথিলো।...............
.......
.
এরপর সেদিনের সব ঘটনা একে একে সব বলে দিল।এগুলা শুনার
পর আমি বুঝতে পারলাম কেনো তোজো ওর আন্টির সাথে
কথা
বলেনা।তোজোর মুখে সব শুনার পর দাদা বলে উঠল...
.
মনি এসব করতে তোমার একটু লজ্জা লাগেনি? ছিঃ ছিঃ ছিঃ
.
লজ্জা লাগবে কেনো দাদাবাবু? যাকে ভালোবাসি তার সাথে
এতোটুকু করাই যায়।তাই না দিদি?
.
তাই ছোট বাচ্চার সামনে?
.
ও লুকিয়ে দেখলে আমার বা কি করার আছে?
.
আমার আর কিছু বলার নাই।কেউ কম না।যা পারো করো।সময় হলে
বলো বিয়ে দিয়ে দিব।
.
বাবু আমি এততু আন্তির মোতো লাপ কলবো।
.
এই নাও তোজোর মা সামলাও, তোমার ছেলের কাজ হয়ে
গেছে।পেঁকে ইচড় হয়ে গেছে।
.
হিহিহিহিহি হাহাহাহাহাহা হুহুহুহুহুহু সবাই একত্রে হেসে উঠল।আর সাথে
সাথে পাশ থেকে মনি চিমটি দিয়ে চোখ টিপ্পানি দিল।দিয়েই রুমে
চলে গেল।পাশ থেকে বৌদি আস্তে আস্তে বলল...
.
আর
খেতে হবেনা সোনা।দেখলে না মনি সংকেত দিয়ে গেল।যাও
ব্যাস্ত।
.
আমার আর বুঝতে বাকি রইলোনা রুমে গেলে কি হবে?
আস্তে আস্তে ঢুকে গেলাম রুমে।
.
আসতে এত সময়
লাগে? নাও শুরু করো?
.
মানে?
.
কাকু আন্তি তোমাকে উম্মা দিতে বলেতে।
.
তোজো তমি
এখানে কেনো?
.
আন্তি এততু থিকশি। হিহিহিহিহিহিহিহি
.
,
,
(সমাপ্ত)

রোমান্টিক ভালোবাসার গল্প বিয়াইন পর্ব -১




এই যাও তো, বাস স্টান্ডে গিয়ে মনিকে নিয়ে আসো।
.
আমি পারবো না।দেখছো না, আমি এখন তোজোকে নিয়ে
খেলছি।
.
কাকু এতদম দেও না।আন্তি আতলে তোমার দিকে থব থময়
কেমন কলে যেন তাকিয়ে তাকে।আন্তিকে আমাল এতদম
ভালো লাগেনা।
.
আচ্ছা তোজো বাবু আমি একদম আন্টিকে আনতে যাবো না।
আমি শুধু তোমার সাথে খেলবো।
.
তোজো চলো তোমার বাবু তোমাকে ডাকছে।
.
মা আল-একতু কাকুর থাতে খেলি না।
.
তোজো, বাবু কিন্তু তোমার উপর রাগ করবে।
.
আস্তা যাত্তি।ভালো লাগেনা এতদম।
.
তোমার সাথে সাথে থেকে তোজো একদম তোমার মতই
হচ্ছে।
.
যাব্ বাবা আমি আবার কি করলাম।
.
কিছু করনাই।এবার করবা।যাও মনিকে নিয়ে আসো।ওর আসার সময়
হয়ে গেছে।
.
ও কি এখনো ছোট, যে হাত ধরে নিয়ে আসা লাগবে? এতদূর
আসতে পেরেছে আর এতটুকু আসতে পারছে না?
.
ওকে এই কথা।সোজা কথায় কাজ হবেনা দেখছি।ওয়েট, মনিকে
একটু কল দেই।দিয়ে বলি অন্তু...
.
আরে যাচ্ছি তো।একটু মজা করছিলাম।আমি না গেলে কে যাবে
আনতে?
.
যাও সোনা।মনিকে নিয়ে আসো।তাতেও দেখো ও পটে
কিনা?
.
কি যে বলো না।আমি গেলাম।
.
ভালো ভাবে দেখে যেও কেমন?
.
আচ্ছা ঠিক আছে।
.
**************************
.
কি ভাবছেন? কিছুই বুঝলেন না তো? দাঁড়ান পরিচয় দিয়ে নেই।
আমি অন্তু।এবার বাংলাদেশ সেনাবাহিনী অর্থ্যাৎ আর্মিতে
সিলেক্ট হয়েছি।ছয় মাসের ট্রেনিং শেষে ছুটিতে বাসায়
এসেছি।আর এত সময় যার সাথে কথা বলছিলাম সে হলো আমার
বৌদি।আর ওই পিচ্ছু তোজোটা হলো আমার...।থাক আর বললাম না।
আমার বাবা, মা অনেক আগেই পরোলোক গমন করেছে।
এখন দাদা, বৌদি, তোজো, আর আমি।এই ৪জনকে নিয়ে আমাদের
পরিবার।ওহ আচ্ছা আর একজন আছে, সে হলো মনিকা।শর্টে
মনি।মনি আমার বৌদির একমাত্র ছোট বোন।মানে সম্পর্কে আমার
বেয়াইন।সেও আমাদের সাথে থাকে।আসলে আমাদের মতই
আমার বৌদিরাও পিতা, মাতাহীন।মনি আজ আমার মতই ট্রেনিং শেষে
ছুটিতে বাড়ি ফিরছে।তবে ও পাইলট।যাই হোক।স্টান্ডে পৌছে
গেলাম।যেয়েই দেখলাম ইয়া বড় বড় ব্যাগ সমেত মনি দাড়িঁয়ে
কারো জন্য অপেক্ষা করছে।আমাকে দেখা মাত্রই বলে
উঠল...
.
তুমি না আর্মি? এই তোমার সময় ঞ্জান? সেই কখন
থেকে দাঁড়িয়ে আছি।
.
দাঁড়িয়েছে না ছাঁই।আমি একটুও লেট করিনি।
.
হইছে হইছে।নাও নাও ব্যাগ গুলা নাও।
.
তোমার ব্যাগ আমি বইবো কেনো?
.
আমি পাইলট।আর পাইলটরা সাধারনত সৌখিন হয়।তুমিতো আর্মি।
তোমাদের জন্যই তো এই সব।তাছাড়া ভূলে যেও না আমি
তোমার বড় মানে গুরুজন।আর গুরুজনের কথা শুনতে হয়।
বুঝলে?
.
হুম।কেনো যে সেদিন প্রোপোজ করতে গেলাম?
আগে তো ভালই ছিল।কেমন লাজুক দৃষ্টিতে তাকিয়ে মিষ্টি মিষ্টি
করে হেসে কথা বলত।ভেবেছিলাম প্রোপোজ করলে
রাজি হয়ে যাবে কিন্তু না, হলো তার উল্টোটা।তাহলে বলেই
ফেলি ঘটনাটা।
.
মনি প্রতিদিন সকালে আমাকে ঘুম থেকে উঠিয়ে দিত।আর কফির
কাপটা হাতে দিয়ে মিষ্টি করে "গুড মরনিং" বলে মুচকি হাসি দিয়ে
চলে যেত।প্রতিদিনের মত একদিন সকালে মনি কফি নিয়ে আমার
রুমে আসে।কিন্তু সেদিন আমাকে ঘুম থেকে ডাকেনি।কফির
কাপটা টেবিলে রেখে আমার বেডে বসে পড়ল।আসলে
প্রতিদিন আমার ঘুম অনেক আগেই ভেঙে যায়।কিন্তু উঠিনা।কারন
মনি ঘুম ভাঙানোর জন্য এক-একদিন এক-একরকম পদ্ধতি ব্যবহার
করে।আর আমি সেটা খুব উপভোগ করি।তো সেদিন মনির সব
কান্ড
দেখতেছিলাম।মনি একদৃষ্টে আমার মুখের দিকে তাকাই আছে।
কিছুক্ষন পর মনি আমার মাথায় হাত রেখে, আমার লম্বা চুলগুলোর
মধ্যে দিয়ে বিলি কেটে দিতে লাগল।আর কি যেন ভেবে
মুচকি মুচকি হাসতে লাগল।চুলে অদ্ভুত ভাবে বিলি কাটায় আমার সারা
শরীরে শিহরণ বয়ে যাচ্ছিল।মাঝে মাঝে শরীর কেঁপে
কেঁপে উঠতেছিল।আসলে শরীরে যদি কোনো মেয়ে
স্পর্শ করে তাহলে এমনিতে একরকম দারুন অনুভূতি হয়ই, আর
তাতে যদি পছন্দের কেউ এভাবে আদর করতে থাকে তাহলে
না জানি কার না অবস্থা খারাপ হয়।যদি হয় সে পুরুষ।তেমনি আমারও
অবস্থা খারাপ
হয়ে আসতেছে।কোনো মতে যেন নিজের পুরুষস্তকে
আর চাপা দিয়ে রাখতে পারছিলাম না।তখন হঠাৎ আমাকে অবাক
করিয়ে, মাথায় বিলি কাটা বন্ধ করে, আমার কপালে একটা চুমু দিল।আর
চুমু দিয়ে মুটকি হেসে চলে গেল।আমিতো পুরা বোকা বনে
গেলাম।আর ভাবলাম আজই প্রোপোজ করতে হবে।এমন দিন
আর পরে পাওয়া যাবে না।যেই কথা সেই কাজ।মনি আমাকে নাস্তা
করার জন্য ডাকতে আসলে, ওকে প্রোপোজ করে ফেলি।
মনি কিছুক্ষন চুপ থেকে হঠাৎ জোরে চিল্লাই ওঠে...
.
বাঁচাও বাঁচাও, কে আছো বাঁচাও বাঁচাও
.
আমি কিছু না বুঝতে পেরে মনির মুখ চেপে ধরি।ততোক্ষনে
দাদা, বৌদি, তোজে এসে হাজির।আমাদের অবস্থা দেখেতো
দাদা তেলে বেগুনে জ্বলে উঠলেন।তাই সাথে সাথে মনির
মুখ থেকে আমার হাত সরিয়ে নিলাম।মুখ থেকে হাত সরাতেই মনি
বলে উঠল...
.
সবাই দেখেন অন্তুু আমাকে খারাপ প্রস্তাব দিয়েছে।আর আমি
রাজি হয়নি বলে অন্তুু আমাকে জোর করে...
,
বলেই মনি কৃত্রিম কান্না করতে লাগল।একটু তাকিয়ে দেখলাম বৌদি
আর তোজো মুচকি হাসতেছে।আর দাদাতো রেগে আগুন।
এতটা রেগে আছে যে ঠিক মত কথা বলতে পারছে না।তবুও
বলল...
,
তুই এতোটা নিচে নামতে পারিস সেটা আমার জানা ছিল না।ছিঃ ছিঃ ছিঃ

Dec 1, 2017

রোমান্টিক ভালবাসার গল্প | কালো মেয়েদের কি ভালো লাগতে পারে না


অসাধারন প্রেম ভালবাসার গল্প

- আমি তো কালো মেয়ে... কি দেখে ভালো লাগলো আমাকে..?😍
-- কেন, কালো মেয়েদের কি ভালো লাগতে পারে না..?
- হ্যাঁ পারে, কিন্তু তাই বলে যে আপনার ভালো লাগবে এটা কখনো ভাবিনি...
-- কার কখন যে কাউকে ভালো লেগে যায় এটা কি কেউ বলতে পারে..?
- তা পারে না... কিন্তু আপনিই প্রথম যে আমাকে ভালো লাগার কথা বললেন...
-- আপনার বাসায় আয়না আছে..?
- হ্যাঁ, কেন..?
-- আজকে বাসায় গিয়ে নিজেকে একটু নিঁখুত ভাবে আয়নায় দেখবেন... বাকিটা কাল বলবো...
.
লিমাকে কথাটা বলেই চলে আসে ইমু... কারণ ক্লাসের সবচেয়ে কালো মেয়েটা হলো লিমা... যার দিকে কোন ছেলে ভুল করেও তাঁকায় না... আর ক্লাসের সবচেয়ে সুদর্শন ছেলেটা হলো ইমু... যার দিকে কোন মেয়ে ভুল করেও না তাঁকিয়ে পারে না... কিন্তু ইমুর ভালো লেগে যায় কালো মেয়ে লিমাকে... কি অদ্ভুদ...
.
- আপনার কথামত নিজেকে আয়নায় দেখলাম...
-- হ্যাঁ, কোন কিছু অনুভব করলেন..?
- অন্যদিনের চেয়ে কাল একটু অন্যরকম মনে হলো... যেটা আগে কখনো হয়নি...
-- কি রকম মনে হলো..?
- নিজেকে ভালো লাগতে শুরু হলো... এক মুহূর্তের জন্যও মনে হয়নি আমি অসুন্দর...
-- আচ্ছা যখন আপনি আয়নায় নিজেকে দেখছিলেন তখন কি কাউকে মনে পড়ছিলো..?
- ইয়ে মানে আপনার কথাই মনে পড়ছিলো...
-- শুধু কি মনেই পড়েছিলো..? একবারও কি হাসি দেন নাই..?
- একবার না, বহুবার হাসি দিয়েছি...
-- শুধু আয়না দেখেই হাসলে হবে না, এমনিতেও হাসতে হবে... আর হাসলে মন ভালো থাকে...
- হা হা হা... কি যে বলেন, কালো মেয়েদের হাসি কেউ দেখতে জানে নাকি..?
.
এটা শুনেই ইমু নিশ্চুপ... কারণ এটা যে আসলেই সত্য... আজকাল কালো মেয়েদের হাসি দেখা তো দূরের কথা ঠিক মতো ফিরেও তাঁকায় না... সবাই সুন্দরের পুজারী... কালো মেয়েরা যে কতটা মায়াবতী হতে পারে তা খুব কম সংখ্যক ছেলেই বুঝতে পারে... এক পর্যায়ে ইমু বললো...
.
-- কেউ যদি আপনার হাসি দেখে মুখ ফিরিয়ে নেয়, তাহলে বুঝতে হবে সে আগে কখনো কারোর হাসি দেখে প্রশংসা করতে পারেনি...
- কি যে বলেন...
-- শুধু আপনার হাসিই না, আপনার চোখ, মুখ, নাক, সবকিছুই তো সুন্দর...
- এবার কিন্তু সত্যিই আমি লজ্জা পাচ্ছি...
-- আরেকটা কথা, আপনি লজ্জা পেলে আরো বেশি সুন্দর লাগে...
- আচ্ছা, ক্লাসে এতো মেয়ে থাকতে আমাকেই কেন আপনার এতো ভালো লাগলো..?
-- কারণ ক্লাসের সব মেয়েই সুন্দর, কিন্তু কেউ আপনার মতো মায়াবতী হতে পারেনি...
- আচ্ছা চলেন ক্লাসে যাই, সময় হয়ে গেছে...
.
প্রতিটা মেয়ে তখনই নিজেকে সুন্দর ভাবতে শুরু করে যখন কেউ তার প্রশংসা করে... তার সুন্দর্যের বর্নণা দেয়... মেয়েরা প্রশংসায় খুশি হয়... আর যদি সেই প্রশংসা কোন কালো মেয়েকে করেন তাহলে সে আরো বেশি খুশি হয়... কারণ কালো মেয়েরা সহজে কারো প্রশংসা পায় না... তাই যখন প্রশংসা পায় আর যে করে দুটোই অনেক বেশিদিন মনে রাখে... ক্লাস শেষে লিমা বললো -
.
- আপনার কালো মেয়ে পছন্দ তাই না..?
-- কালো মেয়ে পছন্দ কিনা জানি না তবে মায়াবতী মেয়ে পছন্দ...
- বাহ, আজকাল সবাই রূপবতী মেয়ে খুঁজে আর আপনি মায়াবতী...
-- সব রূপবতী মেয়ে মায়াবতী হতে পারে না, কিন্তু প্রতিটা মায়াবতী মেয়ে রূপবতী ও মায়াবতী দুটোই হতে পারে..

Nov 30, 2017

ভালবাসার গল্প


ভেবেছিলাম কখনো বিয়ে করবো না।
নিজের
খাঁটে পা মেলে আরাম করে ঘুমাবো।
কিন্তু.....
সুখ চিরদিন রয় না।
আমার খাটে বিরাট
ঘোমটা দিয়ে নতুন বউ বসে আছে।
ভিতরে ঢুকে শুকনো কাঁশি দিলাম.... - এহেম এহেম....
- বউ একটু নড়ে চড়ে বসলো।
- আমি শুনেছি স্বামীরা বাসরঘরে ঢুকলে
বউরা পা ছুয়ে সালাম করতো।
- জ্বী। আমার মাও করছিলো।
আমার আব্বু ৫০০ টাকা সেলামিও দিয়েছিলো।
- আমিও তো টাকা দিতাম।
- আপনার পাঞ্জাবির পকেট নাই আমি
দেখছি।
- পায়জামার ছিলো তো।
- ওহ্ নো! এখুনি দিচ্ছি।
- থাক থাক। বেঁচে থাকো মা থুক্কু বউ। -
টাকা দেন।
- পকেট নাই।
- মিথ্যুক ব্যাডা।
- টাকা দিয়ে কি করবে?
- আচার খাবো।
- আচার ব্যবহার শিখার জিনিস, খাওয়ার
জিনিস না।
- এ আচার সেই আচার না।
- ও!
- টাকা দেন না হলে আমি ঘুমিয়ে যাবো।
-তোমার কি মনে হয় আমি নৃত্য করবো?
- নাহ্!
ঐ যে ঐটা..
- ঐটা!
- হুম। ঐটা হবেনা?
- কোনটা?
- ঐটা...
- ঐটা?
- ঐটা! ন্যাকামি করছেন কেন?
- ও...টাকা নেই।
- বাকীর নাম ফাঁকি।
এই আমি ঘোমটা তুলে
বসে রইলাম।
- ধুর...ঘোমটা সরাও বলছি....এই..
- না...
এর মাঝেই কারেন্ট চলে গেল।
বউ বলছে ছাড়ুন...আমি বলছি ঘোমটা সরাও....ঘোমটা সরাও....
বউ আমাকে ধাক্কা দিলো।
ব্যালেন্স
হারিয়ে আমি খাঁটের তলায় পড়ে গেলাম।
কোমরে ব্যথা পেলাম।
খাটের তলা থেকে
উঠতেই চারপাশ ঘোলা হয়ে গেল।
আমার হাতে বালিশের কভার।
তবে কি স্বপ্ন দেখছিলাম? বালিশের কভারকে বউয়ের
ঘোমটা ভেবে টানাটানি
করলাম!!! হায়রে...কপাল...

বাংলা লাভ স্টোরি ভালবাসার গল্প

প্রেম ও ভালবাসার গল্প

প্রতিশোধ অন্যভাবেও নেওয়া যায়
--- দেখ রিফা ছেলেটি আজকেও এখানে দাড়িয়ে রয়েছে.. দেখ তোর দিকে কিভাবে তাকিয়ে আছে...?
--- হুম, সেতো প্রতিদিনই দেখি আজকে আর নতুন করে কি দেখব।
রিফা আরিফের দিকে তাকাতেই সে অন্যদিকে তাকায়,যেন আরিফ অন্য কারোর জন্য অপেক্ষা করছে।
রিফা স্কুলে যাওয়ার সময় আরিফ রাস্তায় দাড়িয়ে থাকত। রিফাকে দাড়িয়ে দাড়িয়ে দেখত, আবার দেখা শেষ হলে চলে যেত। কিন্তু রিফাকে কোন দিন প্রপোজ করনি এমনকি তার সামনে চোখ তুলে তাকাইনি।
সামনে যাওয়ার সাহস তার কখনোই হয়নি কারন, সে দেখতে তেমন ভাল ছিল না। গায়ের কাপড়া অনেক দিনের পুরানো, মাথার চুলগুলো রুক্ষ আর অনেক বড়। দেখতে প্রায় একটা পাগলের মতোই।
একদিন রিফা স্কুলে যাচ্ছিল, সেদিনও আরিফ একই জায়গায় দাড়ানো ছিল। আরিফ রিফার দিকে তাকাতেই দেখতে পেল রিফা তার দিকে চোখগুলো বড় বড় করে তাকিয়ে রয়েছে, বোঝা যাচ্ছিল রিফা তার উপর প্রচন্ড রেগে আছে। সে তীব্র গতিতে রিফা আরিফের কাছে আসে, আরিফ তাতে রীতিমত ভয় পেয়ে যায়। রিফা তাকে জোড়ে একটা থাপ্পর মারে। রাস্তার সবাই তার দিকে অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে কিছু লোক আরিফকে মারতেও আসে। সেদিন মাঝ রাস্তায় রিফা তাকে প্রচন্ড অপমান করে। আরিফ তখন সেখান থেকে চলে আসে। সেই অপমানের পরেও পরদিন আবার একই জায়গায় দাড়িয়ে থাকে আর সেদিন অপমান করে রিফার বান্ধবী। সে বলতে লাগল :-- কি মনে কর নিজেকে..? তুমি একবার নিজের দিকে তাকিয়ে দেখ তোমার অবস্থা কেমন, দেখতে আস্ত একটা পাগলের মতো। সারা জীবন এখানে এভাবে দাড়িয়ে থাকতে পারবে কিন্তু রিফাকে কখনো কাছের কেউ মনে করলে ভুল হবে। কারন, সে পাগলকে কখনো ভালবাসবে না। আমি আমার বান্ধবীকে ভাল করেই জানি।
তখন আরিফ একটি কথায় বলে আমিও একদিন এর প্রতিশোধ নেব তখন তোমরা সবাই তাকিয়ে থাকবে। আমার এরকম অবহেলা কষ্ট একদিন ঠিকই তোমরা বোঝতে পারবে, এই কথা বলে আরিফ চলে আসে। আর পাঁচ-ছয় দিন ধরে আরিফ রিফাকে দেখার জন্য সেখানে অপেক্ষা করত না। রিফা ও তার বান্ধবী তাতে বেশ খুশি হয়েছিল। তারা একে অপরকে বলতে লাগল এক দিনে হয়তো উচিৎ শিক্ষা পেয়েছে। এভাবে আরও কিছুদিন চলতে থাকল।
কিন্তু হঠাৎ একদিন স্কুলে যাওয়ার সময় রিফাকে বাসে ধাক্কা মেরে ফেলে দেয়। এতে রিফা গুরুতর আহত হয়, শরীর থেকে অধিকাংশ রক্ত ঝরে পড়ে। তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রিফার এমন অবস্থা জানতে পেরে আরিফ দৌড়ে হাসপাতালে যায়। জরুরি রক্তের দরকার পাশে কোন মানুষ নেই। রিফার বান্ধবী রিফার মা-বাবাকে খবর জানাতে ব্যাস্ত, তখন রিফার সেই রক্ত আরিফ জোগাড় করে এনে দেয়। তখন সে আশঙ্কা মুক্ত হয়। তখন আরিফ সেখান থেকে চলে যায়। রিফা সুস্থ হয়ে জাতে চাইলে তার বান্ধবী সেই আনস্মার্ট পাগলটার কথা বলে আর রিফা তখন কাঁদতে কাঁদতে তার বালিশ ভিজিয়ে ফেলে।
এভাবেই সে প্রতিশোধ নেয়।
কেউ আপনাকে আপমান করবে অথবা থাপ্পর মারবে আর তার প্রতিশোধ নেয়ার জন্য ঠিক তার মতোই আচরন করেন, এটাকে কখনো প্রতিশোধ বলে না। সেটা হচ্ছে বোকামি। আপনি তার প্রতিশোধের জন্য অপেক্ষা করুন আর তার বিপদের দিন তাকে সাহায্য করুন। সাহায্য হচ্ছে সবচেয়ে বড় প্রতিশোধ। কারন, এতে মানুষ নিজের ভুলগুলো বোঝতে পারে।

Nov 26, 2017

আমার ও শ্রাবনির ভালবাসার গল্প | Bangla Love story


:-আপনি আমাকে বিয়ে করেছেন কেন?(শ্রাবনি) :-এছাড়া যে আমার পক্ষে আর কিছুই করার ছিলো না।(আমি) :-কিছু করার ছিলো না,মানে কি? :-মানে হলো,আপনার বাবার দিকে চেয়ে আমি আপনাকে বিয়ে করি।তা না হলে,এখন আপনাকে আপনার বাবার লাশ দেখতে হতো,,, :-তাই নাকি?আপনি কি ভাবছেন,আমি আপনার মতলব কিছুই বুঝি না।আপনি আমার সম্পত্তির জন্য আমাকে বিয়ে করেছেন। :-ম্যাডাম,আপনি যেটা ভাবছেন সেটা সম্পুর্ণ ভুল ধারনা।আমার মনে এমন চিন্তা বা ধারনাই নাই,,, :-এটা সবাই বলবে,,, :-আচ্ছা,এটা বলুন,আপনার ধারনার ভুল ভাংতে হলে আমায় কি করতে হবে,,,, :-আপনি আমাকে "ডিবোর্স" দিয়ে দেন। একথা শুনে আমি "থ" হয়ে গেলাম। :-কি হলো?এমন "থ" মেরে দাড়িয়ে আছেন কেন...? (শ্রাবনি) :-আচ্ছা,আপনি যেটা ভালো মনে করেন সেটাই হবে। :-হুমম।আমি এখন চেন্জ করবো,আপনি বাহিরে যান। এরপর আর কি? আমিও আর দাড়িয়ে না থেকে রুম থেকে বাহির হয়ে,বারান্দায় অবস্থানরত টুলটায় গিয়ে বসলাম। এছাড়া যে আমার আর কিছুই করারই নাই। আজকে শ্রাবনি ম্যাডামের বিয়ের দিন ছিলো। তবে সেই বিয়ের বর কিন্তু আমি ছিলাম না।কিন্তু পরিস্থিতির স্বীকার হয়ে,আমাকে এই বিয়ে করতে হয়। তাহলে শুনুন, :-বাবা,তোমার সাথে আমার একটু কথা ছিলো,,, বিয়ে বাড়িতে ডুকতেই,আমার হাত ধরে কথাটা বলল শ্রাবনির বাবা। :-জ্বী স্যার,বলুন।আর স্যার আপনাকে এমন দেখাচ্ছে কেন?কিছু হয়েছে নাকি? :-তোমাকে আমি সব বলবো।আমার সাথে একটু আসো। এটা বলে উনি আমার হাত ধরে হাটা দিলেন। একটা রুমে নিয়ে গিয়ে দরজা বন্ধ করে দিলো,,, :-বাবা,তুমি আমাকে রক্ষা করো,,,? দুহাত জড়ো করে,মিনতি করে বললো। :-স্যার আপনি এমন করে বলছেন কেন?কিছু হয়েছে নাকি? :-বড় একটা ঘটনা ঘটে গেছে।দেখতেছো তো পুরো বাড়িটা কেমন লোকজনে ভরতি।এখন যদি আমি কথাটা খুলে বলি,হয়তো বা আমার মেয়ের জীনটাই শেষ হয়ে যাবে। :-কি এমন কথা?আপনি আমাকে নিঃসংকোচে বলেন,, :-বাবা,যার সাথে শ্রাবনির বিয়ে হবে,সে নাকি অন্য একটা মেয়েকে নিয়ে পালিয়েছে।কথাটা শুনার পর আমি দিশেহারা হয়ে যাই।তোমাকে দেখেই আমার মনে আশার আলো জ্বলে উঠে। তুমিই পারো এখন আমাকে রক্ষা করতে,,,,,, :-স্যার,আমি কি ভাবে আপনাকে রক্ষা করবো,,,? :-বাবা,তুমি তো জানো,আমি একজন হার্টের রোগী।এখন তুমি ভালো করেই জানো,একজন হার্টের রোগীর পক্ষে কতটুকু চাপ সহ্য করার ক্ষমতা থাকে,,, :-জ্বী স্যার,,, :-তাহলে এই নাও।এগুলো তারাতারি করে পরে নাও।আমি চাই তুমি শ্রাবনি কে বিয়ে করো। (আমার দিকে একসেট বরের পোশাক এগিয়ে দিয়ে বলল,শ্রাবনির বাবা) :-স্যার,আপনি এটা কি বলছেন?

:-আমি ঠিকই বলছি।তোমার উপর আমার পুর্ণ আস্থা আছে।আমি জানি,তুমি সব ঠিকমত সামলে নিবে,,,, :-স্যার,,, :-তুমি কি চাও,আমি এখন একটা লাশে পরিণত হতে?তা না হলে,আর কোন কথা না বলে তুমি তৈরি হয়ে নাও। অতঃপর,আর কি?শ্রাবনি ম্যাডাকেই আমায় বিয়ে করতে হলো। আপনারা হয়তো ভাবছেন,আমি কেন শ্রাবনির বাবাকে স্যার এবং শ্রাবনি কে ম্যাডাম বল,সম্বোধন করছি,,,? তাহলে সেটাও আমি আপনাদের খুলে বলছি,,,,, তার আগে আমি আপনাদেরকে আমার পরিচয়টা দিয়েই দিই,,,, আমি রাজু।পড়া-লেখা শেষ করে,একটা প্রাইভেট কোম্পানিতে চাকরি করি। আপন বলতে আমার কেউই নাই। মা-বাবা আমার ছোটবেলাতেই একটা রোড অ্যাক্সিডেন্ট এ গত হয়।তারপর চাচা-চাচির কাছেই বড় হই।উনাদের কোন সন্তান না থাকায়,উনারা আমাকে নিজের সন্তানের মতই লালন-পালন করে এসেছেন। উনারা থাকেন গ্রামে। আর আমি চাকরি সুত্রে শহরে এসেছি। আমি যে কোম্পানিতে চাকরি করি সেই কোম্পানির মালিক হলো,শ্রাবনির বাবা। উনি আমাকে বরাবরই ভালো জেনে এসেছেন এবং জানেন।আমার কাজ করার দক্ষতা দেখে,তিনি আমার দ্রুত প্রমোশন দেন।আর এই সবের জন্য আমাকে উনি নিজের পাশে পাশে রাখতেন। বয়স বাড়ার এবং অসুস্থতার কারণে উনার পক্ষে অফিসে আসা কষ্টকর ছিলো।তাই তিনি অবসর নিয়ে উনার মেয়েকে মানে শ্রাবনি কে সবকিছু বুঝিয়ে দিয়ে,কোম্পানির বস করে দেন। এবার আশা করি আপনাদের বুঝাতে পেরেছি,শ্রাবনিকে ম্যাডাম বলার কারণ। কিছুক্ষন আগে, বিয়ে করে বউ নিয়ে বাসায় আসলে বন্ধু-বান্ধব,বন্ধু-বান্ধব বলতে অফিসের কিছু সহকর্মী তাদের সহযোগীতায় আমার রুমটা সাজানো হল। সকল ধরনের ঝামেলা শেষ করে,তারা(বন্ধু-বান্ধব) আমার এবং শ্রাবনি ম্যাডাম থেকে বিদায় নিয়ে চলে যায়,যে যার বাসার উর্দেশ্য। যেহেতু আমি আগেই বলেছি,আমি চাকরি সুত্রে শহরে থাকি,সেহেতু আমি এখানে একটা রুমে ভাড়ায় থাকি,এটা আপনাদের বলা লাগবে না। তবে আমার একটা আশা আছে, এই শহরে একটা ফ্ল্যাট কিনে চাচা-চাচিকে নিয়ে এখানে স্থানীয় হয়ে যাওয়ার। যাইহোক ওই আলোচনা বাদ। সকলের মনেই একটা আকাঙ্খা ও কৌতুহল থাকে,তার বাসর রাত নিয়ে। ঠিক সেইরকম আমার ও কিছু চিন্তা ও ভাবনা ছিলো,আমার বাসর রাত নিয়ে। আপনাদের যেহেতু বলেই দিলাম,আমি এইভাবে বিয়ের জন্য প্রস্তুত ছিলাম না,সেহেতু বাসর রাত নিয়ে আমার আরো কৌতুহল ও আশঙ্কা বেড়ে গেলো। তাই সকল কিছু মাথা থেকে ঝেড়ে নিয়ে,রুমে দিকে মানে বাসর ঘরের দিকে যাই। যেই আমি বাসর ঘরে ডুকলাম অমনি শ্রাবনি ম্যাডাম আমাকে বললো, :-আপনি আমাকে বিয়ে করলেন কেন,,,? এরপরের কাহীনি তো আপনারা জানেনই।যাইহোক,আমি এখন বারান্দার টুলটায় বসে বসে রাতের শহরটাকে দেখতেছি। "ওহ হো,আজকে তো চাচা-চাচির সাথে কথাই বলা হয়নি।কি করে বলবো?সময়ই তো পাইনি। এখন রাত প্রায় বারটা বাজতে চলেছে। এখন ফোন দিবো কি দিবো না?"এসব ভাবতেছি। তখনই,,, :-কি ঘুমাবেন না,,,,? আমাকে চমকে দিয়ে কথাটা বললো শ্রাবনি ম্যাডাম। :-হুমম,,,(আমি) :-তাহলে এখানে বসে আছেন যে,,,?ভেতরে চলুন। :-হুমম,চলুন এই বলে আমি আর ম্যাডাম ভেতরে ডুকলাম। :-একি,,!আপনি নিচে বিছানা করছেন কেন,,,?(আমাকে অবাক করে কথাটা বলল,শ্রাবনি ম্যাডাম) :-তাছাড়া কি করবো,ম্যাডাম?(আমি) :-কি করবেন মানে,,,?আপনি বিছানায় ঘুমাবেন,,,, :-তো আপনি কোথায় ঘুমাবেন?(অবাক হয়ে বললাম) :-আমিও বিছানায় ঘুমাবো,,,, :-মানে,,? :-মানে হলো আমি আর আপনি একই বিছানায় ঘুমাবো। :-ম্যাডাম,আপনি ভাবছেন কি?হুমম।আপনি ভাবছেন আমি কিছু বুঝি না,নাকি?আপনি যেটা ভাবছেন সেটা ভুল ভাবছেন। :-আশ্চার্য ব্যাপার তো,আমি আবার কি ভাবতেছি,,,? :-আপনি আমাকে ঐরকম ছেলে ভাববেন না।আপনি ভাবছেন আমি আপনার কথায় বিছানায় ঘুমাবো।আর আপনি সেই সুযোগ ব্যবহার করে আমায় অপমান করবেন।তাই না,,,? :-আপনি তো আসলেই একটা বোকা।আব্বু ঠিকই বলেছিলো আপনার ব্যাপারে।সত্যি বলতে কি,,,?আমি তখন আপনাকে যে ডিবোর্সের কথা বলেছিলাম,তখন সেটা বলেছিলাম আপনার মন পরিক্ষা করার জন্য। :-তাই নাকি?তাহলে আপনি এখন যা বলছেন সেটা আপনি আমার মন পরিক্ষার জন্য,তাই না,,,?ম্যাডাম,আপনি আমায় এতটা বোকা ভাববেন না। :-আরে ধ্যাত,আপনি আমার কথাতো শুনুন,, :-হুমম,বলুন ম্যাডাম,,, :-তাহলে শুনুন,,, আজকে যখন আব্বু শুনলো,আমার সাথে যার বিয়ে হবে সে নাকি অন্য মেয়েকে সাথে নিয়ে পালিয়েছে।তখন আব্বু চারিদিকে শুধু অন্ধকার দেখতে পায়। তখন আব্বু তার অন্ধকার দেখার মধ্য আশার আলো দেখতে পায়।আর সেটা আপনাকে দেখে হয়।এরপর আব্বু আপনাকে ডেকে নিয়ে গিয়ে আমাকে বিয়ে করার জন্য রেডি হতে বললো।যদিও আপনি এসবের জন্য প্রস্তুত ছিলেন না। অতঃপর আব্বু আপনাকে রেডি হতে দিয়ে,এলো আমার রুমে। তারপর আব্বু আমাকে সব কিছু খুলে বললো। আর এটাও বললো যে,উনি নাকি আপনার কারণে আদৌ বেচে আছেন,যদি না আপনি ঐদিন বাবাকে হাসপাতালে নিয়ে যেতেন। :-মানে,,,?আমার কারনে আপনার বাবা কি ভাবে বেচে আছে,কথাটা বুঝলাম না।যদি বুঝিয়ে বলতেন,,,, :-বুঝিয়ে বলতাম মানে,,,?আপনি ভুলে গেলেন নাকি,,,?

বাবা যেই উনার কেবিনের দিকে সিড়ি বেয়ে যাচ্ছিলেন,অমনি উনি নাকি মাথা ঘুরে পড়ে যাচ্ছিলো,অমনি আপনি নাকি দৌড়ে এসে ধরলেন। :-ও,হ্যা আমি ঐদিন আপনার বাবাকে হাসপাতালে নিয়ে গেছিলাম।উনার হার্টে দুর্বলতার কারনে এটা হয়।আর উনার যে হার্টের দুর্বলতা ছিলো,তা ঐদিনই ডাক্তার পরিক্ষা-নিরিক্ষা করে জানান।আর ডাক্তার এটাও বলেছিলেন যে,আপনার বাবা যেকোন সময় মারা যেতে পারেন।আর তাইতো উনি আপনাকে এত তাড়াতাড়ি বিয়ে দিয়ে দিচ্ছিলেন। :-হুমম,এই কথাগুলো আজই আমি বাবার কাছ থেকে শুনলাম। :-এখন আপনি গিয়ে শুয়ে পড়েন,,, :-আপনি কি আমার উপর রেগে আছেন নাকি? :-আরে ম্যাডাম,আপনি কি যে বলেন না,আমি কেন আপনার উপর রেগে থাকবো। :-ওই যে,আমি ডিবোর্স চেয়েছি বলে,,, :-আরে চিন্তা করবেন না।ওটা আপনি পেয়ে যাবেন। :-পেয়ে যাবো মানে,,,?আমি ডিবোর্স চাই না।আপনিই আমার স্বামী।আর ওসব কথা আর মুখেও নিবেন না। :-আরে ম্যাডাম,আপনি এটা কি যে বলেন।আমার সাথে আপনার কি করে যায় বলুনতো,,, একথা বলার দেরী শ্রাবনি ম্যাডাম আমায় জড়িয়ে ধরতে দেরী নাই। :-ম্যাডাম,আপনি আমায় জড়িয়ে ধরলেন যে,,,(আমি) :-এটা আমার অধিকার।(শ্রাবনি ম্যাডাম) :-তাই নাকি,,?কিসের ভিত্তিতে আপনি আমায় একথা বললেন,,,,,? :-আপনি আমার স্বামী,সেটার ভিত্তিতে,,, :-কিন্তু আপনি,,, আর কিছু বলতে পারলাম না,,,, কারণ,তা বলার আগেই শ্রাবনি ম্যাডামের ঠোঁঠ জোড়া আমার ঠোঁঠ জোড়াকে আকৃষ্ট করে ফেলেছে। প্রায় দুই মিনিটের মত এই ভাবে দাড়িয়ে ছিলাম। :-কি?এখনও আপনাকে আমার বুঝাতে হবে,আমি আপনাকে স্বামী হিসেবে মানছি কিনা,,,? ঠোঁঠ জোড়া ছাড়িয়ে আমায় জড়িয়ে ধরা অবস্থায় কথাটা বলল,শ্রাবনি ম্যাডাম। :-কি যে বলেন ম্যাডাম,,,,?(আমি) :-এইই,আপনি আমায় এইরকম ম্যাডাম ম্যাডাম বলছেন কেন,,,?(জড়ানো অবস্থা থেকে ছাড়িয়ে বললেন) :-ম্যাডামকে ম্যাডাম বলবো না তো কি বলবো,,,?হুমম। :-আমি আপনার কোন কালের ম্যাডাম হই?হুমম। :-এই যে,আপনি আমার অফিসের বস বলে,আপনি আমার ম্যাডাম হন। :-তাই নাকি,,,?তাহলে এখন তো আমি আর অফিসের কারো বস নই,এখন আমি আপনার স্ত্রী।সুতরাং আপনি আমায় ম্যাডাম বলে ডাকবেন না।আর আপনি কি আমায় স্ত্রী হিসেবে স্বীকৃতি দিবেন না? :-আপনি যখন আমায় "কবুল" বলে বিয়ে করেন,তখন থেকেই আমি আপনাকে আমার স্ত্রী হিসেবে গ্রহন করে নিই।এখন যদি আপনি সেই গ্রহনটাকে স্বীকৃতি দেন,তাহলে তো আর কোন কথাই নেই। :-আমিতো আপনাকে স্বামী হিসেবে মেনেই নিয়েছি।আর জানেন,আমার না একটা বিস্বাস আছে,আমার স্বামীর ব্যাপারে,,, :-তাই নাকি,,?তাহলে বলে ফেলুন আপনার সেই বিস্বাসের কথাটা,,,

:-সেই বিস্বাসটা হলো,আমার স্বামী আমাকে খুব ভালোবাসবে আর আমিও উনাকে খুব ভালোবাসবো। :-তাই নাকি,,,?তাহলে,আমি আমার ভালোবাসার প্রমানটা আপনাকে কি ভাবে দিবো,,?বলুন তো। :-সেটা আপনি আপনার কাজেই আমায় দেখাবেন।যেমন,,, :-যেমন আপনাকে এমন করে শক্ত করে পেছন থেকে জড়িয়ে ধরবো।তাইতো,,?(মুখের কথা কেড়ে নিয়ে,পেছন থেকে জড়িয়ে ধরে বললাম,আমি) :-হুমম।তবে আমার মনে হয় আপনি এখনও আমায় মেনে নিতে পারেন নাই,,,, :-মানে,,,,?আপনার কেন এমনটা মনে হলো,,,,? :-মনে হবে না কেন?আপনি আমায় এখনও আমায় আপনি আপনি করে বলছেন।তাই,,,, :-তাহলে আমি কি সম্বোন্ধ করে,আপনার সাথে কথা বলবো,,,? :-আপনিতো সত্যিই বোকা।আপনি আমাকে তুমি করে আর নাম ধরে ডাকবেন।ঠিক আছে,,,? :-হুমম,তা মানলাম।কিন্তু তুমিও আমাকে আপনি করে না বলে তুমি করে বলবে।ঠিক আছে,,,? :-হুমম। :-এখন তাহলে চলো,ঘুমিয়ে পড়ি। :-হুমম,রাততো অনেক হয়ে গেলো।চলো,,, :-তার আগে একটা ইয়ে দাও,,, :-কি,,? :-ওই যে ওই সময় দিলে যে,,, :-কি দিয়েছি,,,? :-আরে ধুরর,এদিকে আসোতো,আমিই দিই,, ও কাছে আসলে, ওর কোমরের দুপাশে হাত রেখে ওকে কাছে টেনে আমার ঠোঠ দুটো ওর ঠোঠের দিকে এগিয়ে নিয়ে একটা লম্বা করে ইয়ে দিলাম। :-এবার তো ছাড়ো,,,, যদিও শ্রাবনি আমায় একথা বললো,কিন্তু সে নিজেকে ছাড়ানোর কোন চেষ্টা ই করছে না। :-কি করে ছাড়ি বলোতো,,?তুমিই তো আমার লোভটা বাড়িয়ে দিয়েছো,,,,, :-তাই নাকি?আমি আবার কি করলাম,যে তোমার লোভ বেড়ে গেলো,,,, :-ওই সময় তুমি ইয়েটা না দিলে তো আমি জানতাম না তোমার ঠোঁঠে মিষ্টি আছে।জানো আমার না এখন মন চাইতেছে তোমার ঠোঁটে আরেকটা ইয়ে দিতাম। আমার এই কথা শুনে শ্রাবনি লজ্জায় লাল হয়ে গেলো। :-তুমি না,,, :-আমি কি,,,?(আমি) :-চলো ঘুমাতে হবে।আমার না খুব ঘুম পাচ্ছে,,, :-হুমম,,,,তুমি ঘুমাও আমি ফ্রেশ হয়ে আসি। :-হুমম, অতঃপর শ্রাবনি ঘুমাতে গেলো।আর আমি ফ্রেশ হতে গেলাম। :-এটা কি হচ্ছে শ্রাবনি,,,?(ফ্রেশ হয়ে এসে দেখি শ্রাবনি আলাদা একটা বালিশে শুয়ে আছে,তাই কথাটা বললাম) :-কি হচ্ছে মানে,,,?(শ্রাবনি) :-এই যে তুমি আলাদা বালিশে শুয়ে আছো,,, :-তো আমি কোথায় ঘুমাবো,,,? :-কোথায় আবার,,,?আমার বুকের মাঝে ঘুমাবে। (বিছানায় উঠতে উঠতে বললাম) -তারমানে তোমার কিছুটা হলেও বুদ্ধি আছে,,, :-মানে,,? :-মানে হলো,আমি আলাদা বালিশে এই জন্য শুয়েছিলাম যে,তুমি আমাকে আলাদা বালিশে ঘুমাতে দেখে কিছু বলো কি না,,, :-তাই নাকি,,,? এই বলে আমি ওকে জড়িয়ে ধরলে,,, ও নিজেকে ছাড়িয়ে নিয়ে, :-এইই,এখন কোন দুষ্টমি করবে না,কিন্তু।তারাতারি করে শুয়ে পড়।(শ্রাবনি) :- তাই নাকি,,?তাহলে একটু এদিকে আসোতো,,,, এরপর শ্রাবনি একটু কাছে আসলে আমি ওকে আরো শক্ত করে জড়িয়ে ধরলাম। এরপর আর কি?বাকিটা মনে করেন ইতিহাস। যদিও জাতি ইতিহাসটা জানতে চায়।কিন্তু আপসুস,ইতিহাস শোনাটা যে পাপ।হা হা হা,,,

Nov 25, 2017

অসাধারণ ভালবাসার গল্প পর্ব ২ | love story


পর্ব ২
-কি খবর দুলাভাই? (ছোট শালী)
-খবর জানতে টিভিতে চোখ রাখো। (আমি)
-হা হা হা... সে খবর না আপনাদের খবর বলেন (বড় শালি)
-আমাদের খবর তোমাদের আপুর মুখ থেকে শুনতে পাবে বাড়িতে গিয়ে।
তবে খবর শুইনা আবার তোমরা ২ বোন আমারে মারতে আইসো না।
আমার কথা শুনে হাসছে শালীরা, সাথে বউও।
আমি চেয়ে দেখছি বউয়ের সেই অসাধারণ হাসি।
হাসিতে নেই কোন অভিমান, নেই কোন অভিযোগ।
যেন আমি ওকে হাসিখুশিতেই রেখেছি।
অথচ মেয়েটিকে স্বামীর অধিকারটাই দেইনি আমি।
এইদিকে মেয়েপক্ষের লোক এক এক করে সবাই ঘরে আসছে তাদের মেয়ে ও জামাইকে দেখতে।
আমিও ভদ্র মানুষের মতো চুপ করে দুই শালীর মাঝখানে বসে আছি।
আর মৌ সবাইকে চেয়ার টেনে বসতে দিচ্ছে।
ছোট শালীটা আমার কানের কাছে মুখ নিয়ে ছোট ছোট শব্দে আমাদের রাতের ব্যপারে জানতে চাইতেছে।
আর বড় শালিটা ওর মুখ বুঝে হাসছে আর ছোট বোনকে চিমটি কেটে বলতেছে চুপ করবি?
আমিও এতো মানুষের সামনে ওদের এমন কানাকানিতে লজ্জা পাচ্ছি।
হঠাৎ বাইরে থেকে শুনতে পেলাম খাবার টেবিলে বসতে বলছে সবাইকে।
সবাই চলে গেল খাওয়ার জন্য।
আমার শালী দুইটা হাত ধরে আমায় নিয়ে যেতে চাইলেও বল্লাম যাও তোমরা খাও।
ওরা তখন ওর আপুকে নিয়ে গেল।
আমিও উঠে গেলাম মেয়ে পক্ষকে খাওয়ানোর দিকে খেয়াল রাখতে।
এভাবে দিনশেষে রাত হয়ে এলো।
রেডি হয়ে ওদের নিয়ে আসা গাড়িতে উঠলাম।
আমি আর মৌ একসাথে বসেছি। দুই পাশে দুই শালী সারা রাস্তা আমায় হাসিয়ে মেরেছে।
এতো দুষ্টু আর মিষ্টি শালী পেয়েছি বলে বুঝাতে পারবো না।
প্রায় ঘন্টাখানেক এর মধ্যে সিরাজগঞ্জ কাঠের পুলের কাছে চলে এলাম।
একটুপরই তেলকুপি গ্রাম।
রাস্তার পাশেই আমার একমাত্র খালার বাড়ি।
এই খালাই আমার এই বিয়েটা ঠিক করেছে।
খালার পছন্দ আছে বলতেই হয়।
কারন মেয়েটা সত্যিই ভালো সবদিক থেকে।
যদিও আমি কখনোই মৌ কে বউ হিসেবে মেনে নিতে পারবো না।
গাড়িটা ব্রেক করলো আমার শ্বশুরবাড়ির সামনেই।
রাস্তার পাশেই বাড়ি। আমার খালার বাড়ির দুই বাড়ি পরই।
গাড়ি থেকে নামতেই দেখি ভিড়।
সবাই আমার দিকে চেয়ে আছে।
রাত দশটা পর্যন্ত খাওয়া দাওয়া এটা সেটায় কেটে গেল।
আমি আমার বউ মৌ রুমে শুয়ে আছি।
মৌ ও বাড়ির মহিলারা খেতে বসেছে।
একটু পড়েই ও আসবে।
আমি একটা সিগারেট ধরিয়েছি ওমনি দরজা ঠেলে কেউ ঢুকে পড়লো।
তাকিয়ে দেখি দুই শালি।
ওরা আমার সাথেই খেয়ে নিয়েছে আমাকে জ্বালানোর জন্য।
ওদের দেখে সিগারেট টা আড়াল করেছি।
-আরে লুকাতে হবেনা খেয়ে নেন, সমস্যা নাই। (বড় শালী)
-দুলাভাই আমরা কিন্তু আজ রাতে আপনার কাছে থাকবো।
গল্প করবো সারারাত। (ছোট শালী)
-তাহলে তোমাদের আপু কোথায় থাকবে?
-আপু আমাদের রুমে থাকবে। এই বলে হাসছে দুই বোন।
সিগারেটটা দুটো টান দিয়ে ফেলে দিয়ে ওদের বসতে বললাম।
-আচ্ছা তোমাদের আপুটা কি ভালো নাকি খারাপ? (আমি)
আমার কথায় দুই বোন চুপ হয়ে তাকিয়ে আছে আমার দিকে!
-কেন, কিছু হইছে ভাইয়া?! আপু কোন কষ্ট দিছে আপনাকে? (বড় শালী)
-আরে নাহ। জানতে চাইলাম ও কোন টাইপের?
আমার প্রশ্নটা ঠিকভাবে করা হয়নি।
-আসলে আমাদের আপুটা অনেক ভালো। আমাদের কোনদিন কখনো কষ্ট দেয়নি। নিজে না খেয়ে আমাদের দুই বোনকে খাইয়ে মানুষ করেছে ভাইয়া।
আমাদের কাছে আমাদের আপু অনেক ভালো।
জানেন ভাইয়া? ও না কখনোই কষ্ট পেতে দেয়না আমাদের।
একটু চাপা স্বভাবের।
তবে ওর বুকে অনেক মমতা, ভালোবাসা আছে।
এই বলে ছোট শালিটা চোখ মুছছে।
বড়টাও চোখ মুছছে আর বলছে ভাইয়া... ওকে আমরা খুবই মিস করবো।
আমাদের কোন ভাইয়া নেই। ঐ আপুই আমাদের সব।
এরমধ্যেই মৌ ঘরে ঢুকলো। ওরা চুপ হয়ে গেল।
বউ এসেই আমার সামনে এক গ্লাস দুধ দিলো।
খেয়ে নিলাম।
শালী দুইটা উঠে যাচ্ছে।
বললাম কি ব্যাপার যাও ক্যান? থাকবে না আমার সাথে?
-না ভাইয়া, অন্য সময় গল্প করবো আপনার সাথে।
এখন আমাদের এই মিষ্টি আপুটাকে নিয়ে গল্প করেন।
এই বলে হাসতে হাসতে বের হয়ে গেল শালীরা।
বউ দরজা লাগিয়ে খাটে এসে আমার পাশে শুয়ে পড়লো।
একটু নিরব থাকার পর মৌ আমায় বলল কি সমস্যা তোমার বলো এখন?
আমি কি বলবো বুঝতে পারছি না। চুপ করে আছি।
হঠাৎ মৌ উঠে আমার পাশে একটা হাত রেখে আধশোয়া হয়ে আমার মুখের কাছে মুখ নিয়ে বলল কি কাহিনী তোমার মাঝে?
আমায় বউ হিসেবে মেনে নিচ্ছো না ক্যান?
নাকি কাউকে ভালোবাসো? বাসলে বলো সমস্যা নাই।
আমি তোমায় এ বিষয়ে বন্ধুর মতো হেল্প করবো।
শুধু আমায় আপন মানুষ ভেবে সব খুলে বলো।
আমি মৌ এর দিকে কিছুক্ষন চেয়ে থেকে বললাম...
-আমি একজনকে ভালোবাসি।
ওকে ছাড়া আমি কাউকে জীবনসাথী করার কল্পনাও করতে পারছি না।
আমার কথা শুনে মৌ সুন্দর মুখটা কালো হয়ে গেল।
-ঠিকাছে। সে কি তোমাকে এখন মেনে নিবে তার কাছে ফিরে গেলে।
-হা নেবে। কিন্তু তুমি? তোমার কি হবে?(আমি যে তোমার মায়ায়াও ভূলতে পারবোনা জীবনে)
-হা হা হা... আমার আবার কি হবে? কপালে যা আছে তাই হবে।
এখন তুমি ঘুমাও। তোমায় আমি হেল্প করবো এ বিষয়ে।
এই বলে গয়না শাড়ীটা খুলে ফেলছে মৌ (আজ নিজেকে বড় অপরাধী মনে হচ্ছে এমন একটা বউ কে জীবনে ভালোবাসতে পারলামনা বলে)।
আমি অনেক কষ্ট নিয়ে অপরদিকে মুখ করে শুইলাম।
একটুপর হাতটা আমার উপর তুলে দিলো মৌ।
-কিছু মনে করো না।
আমি ছোট বোনদের এভাবে জড়িয়ে ধরে ঘুমাতাম। অভ্যাস হয়ে গেছে।


মাঝ রাতে হঠাৎ ঘুম ভেঙ্গে যায় কারো ফুপিয়ে কান্নার শব্দে!
তাকিয়ে দেখি বউ মৌ পাশে নেই আমার!!
লাফ দিয়ে উঠে দেখি মেঝেতে জায়নামাজ বিছিয়ে নামাজ পড়ে মোনাজাতে বসে কাঁদছে মেয়েটা!
এই দৃশ্য দেখে অজানা কোন এক মায়ায় পড়ে গেলাম আমি।
ওর কান্না দেখে বুকের মধ্যে একটা কষ্ট নামক ঝড় বইছে আমার।
আমি কোন ভুল করছি না তো?
এই নিষ্পাপ মেয়েটার কি দোষ?
সে তো আমায় কখনো বলেনি আমায় বিয়ে করো।
সে তো জোর করে আমায় বিয়ে করেনি।
অন্য সবার মতো তারও তো স্বামীর ভালোবাসা পাওয়ার আশা ছিলো।
সেই আশাটাকে তছনছ করে দিচ্ছি না তো আমি?
এসব ভাবতে ভাবতে চোখের কোনে পানি জমে গেছে আমার।
আমি কি করবো এই মুহুর্তে? কোন পথ বেছে নেবো?
ওর মোনাজাত শেষ হওয়া লক্ষ করে চোখ দ্রুত মুছে স্বাভাবিক ভাবে শুয়ে পড়লাম।
ঘুমের ভান করে শুয়ে আছি।
তাড়াহুড়া করে শুতে গিয়ে অপরদিকে মুখ না করে বউয়ের দিকেই মুখ করে শুয়েছি।
মৌ একটুপর এসে খাটে উঠলো।
কিছুক্ষন যাবার পর অনুভব করলাম ও একটা হালকা চাদর আমার শরীরের উপর দিলো।
এরপর আমার কপালে একটা চুমো দিয়ে বুকের মাঝে জড়িয়ে নিলো আমায়।
আমার নিঃশ্বাস ঘন হয়ে আসছে।
বুকের ভিতর ধুক ধুক করছে অজানা কোনো এক শিহরনে।
ও বুঝতে পারেনি আমি জেগে আছি।
ঘুমের ভাব নিয়েই এই প্রথম মৌ"কে আমি বুকের সাথে নিজ থেকে জড়িয়ে নিলাম।
কিছুক্ষন ওভাবেই কাটালাম।
মেয়েটা ছটফট করছে আমার ছোয়া পেয়ে। আমি বুঝতে পারছি ও ওর স্বামীর আদর, ভালোবাসা পাবার জন্য ব্যাকুল।
কিন্তু মুখ ফুটে কিছু বলতে পারছে না আমায়।
আমার ভিতরের পুরুষত্ব জেগে উঠছে।
পরক্ষনেই জুঁই এর কথা মনে পড়তেই আবার পাথর হয়ে গেছি।
চুপ করে অবুঝ বালকের মতো মৌ"এর বুকে শুয়ে আছি।
নিজেকে আজ অপরাধী মনে হচ্ছে।
কেন আমি জেনেশুনে বিয়ের পিরিতে বসলাম।
কেনই বা বিয়ে করেও দুইটা জীবন নিয়ে খেলছি।
মনে হচ্ছে বিয়ে করা বউটার উপর একটু বেশি অন্যায় করে ফেলছি আমি।
ভোরে ঘুম থেকে ডেকে তুললো ছোট শালি।
-এই দুলাভাই। রাতে কি গল্প করা বেশি হইছে আপুর সাথে?
উঠে হাত মুখ ধুয়ে নেন। খেতে হবে, খাবার রেডি।
আমি উঠে শালির সাথে বাথরুমে গিয়ে হাতমুখ ধুয়ে আসলাম।
খাওয়া দাওয়া সেরে দুই শালীকে নিয়ে একটু ঘুরতে বের হলাম।
এই গ্রামটা আমার খুবই পরিচিত।
কারন ছোটকাল থেকেই এখানে আসা, যাওয়া আছে।
গ্রামটা দারুন। রাস্তার একপাশে ঘরবাড়ি অন্য পাশে একটা ছোট নদী বয়ে গেছে।
হাটতে বেশ ভালোই লাগছে।
হঠাৎ মোবাইলে রিংটোন বেজে উঠলো আমার।
তাকিয়ে দেখি জুঁই কল করেছে।
আমি শালীদের চেয়ে একটু দুরে গিয়ে ফোনটা ধরলাম।
-হ্যালো, কেমন আছো জুঁই? (আমি)
-যেমনটা রেখেছো আমায়।
তুমি নিশ্বচয়ই নতুন বউকে নিয়ে খুব সুখে আছো? (জুঁই)
-আমিও ভালো নেই জুঁই। আমি বিয়েটা করেছি পরিস্থিতির স্বীকার হয়ে।
তুমি চাইলে আমি তোমার কাছে চলে আসবো জুঁই।
-বাহ...! এসব নাটক বাদ দাও এখন।
যদি আমার কাছে আসতে তবে বিয়ে না করেই আসতে।
এখন তুমি অন্য কোন মেয়ের স্বামী।
তুমি অন্য কোন রক্তে মিশে গেছো।
-নাহ জুঁই। আমি বিয়ে করেছি ঠিকই। কিন্তু বউ বলে ওকে মেনে নেইনি।
এখনো আমাদের মধ্যে স্বামী স্ত্রীর সম্পর্ক হয়নি।
-ঠিকাছে, তাহলে তুমি আমার কাছে আসো। আমায় নিয়ে দুরে কোথাও চলে যাও। যেখানে আমাদের কেউ বাধা হয়ে দাড়াবে না।
-হা আসবো। তুমি কয়টা দিন সময় দাও। আমার বিয়ে করা স্ত্রীও এ ব্যাপারে আমায় সাহায্য করবে।
-বিশ্বাস হয়না। কোন মেয়ে তার স্বামীকে হারাতে চাইবে না।
আর তুমি বলছো ও তোমায় এ ব্যাপারে সাহায্য করবে!!
-হ্যা সত্যি। ও খুবই ভালো মেয়ে।
-আচ্ছা তুমি পাকা সিদ্ধান্ত নিয়ে আমায় ফোন করো।
আমি সব সামলে তোমার জন্য বাড়ি থেকে পালিয়ে আসবো।
-ওকে জুঁই রাখি। আমার শালীরা আছে সাথেই।
পরে কথা হবে।
-ওকে রাখো।
কল কেটে দিয়ে শালীদের কাছে এগিয়ে গেলাম।
দেখি বাদাম কিনে খাচ্ছে আর কয়েকটা মেয়ের সাথে কথা বলছে।
আমি এগিয়ে যেতেই বড় শালী আমায় দেখিয়ে ওই মেয়েদের উদ্দেশ্যে বলল ইনিই আমার দুলাভাই।
মেয়েগুলো আমায় সালাম দিলো।
আমি উত্তর দিয়ে ওদের দিকে তাকালাম।
একটা মেয়ে আমায় দেখে চোখ কপালে তুলে, অবাক হওয়ার ভঙ্গিতে বলল...
-আপনি ....... না (নামটা গোপন রাখলাম )
-হা, আপনি চেনেন আমায়?
-আরে ভাইয়া আমি ইরানি সুলতানা। আপনার গল্প নিয়মিত পড়ি আমি।
আপনার সাথে তো মাঝে মধ্যে কথা ও হয়।
-ও হা। আপনি সেই মেয়ে!
আসলে আপনাকে দেখা হয়নি তো আগে তাই চিনতে পারিনি।
-হুম, আপনি বিয়ে করেছেন তাইতো আর গল্প পাচ্ছিনা ফেসবুকে।
তো ভাইয়া আমাদের বাসায় আপনার দাওয়াত। চলুন আমাদের সাথে।
-ধন্যবাদ আপু। তবে আজ যেতে পারছি না। বিয়ে যেহেতু এই এলাকায় করলাম পরবর্তীতে এসে ঘুরতে যাবো আপনাদের বাসায়।
একটু পর আমাদের ওখান থেকে লোক আসবে।
এখন ফিরতে হবে আমাদের।
এই বলে ওনাদের বিদায় দিয়ে শ্বশুরবাড়ির দিকে রওনা দিলাম।
-দুলাভাই আপনি গল্প লেখেন তা তো বলেননি।

আমি তো গল্পখোর মেয়ে। (বড় শালী)
-এ বিষয়ে কথা উঠলে তো বলবো।
-আচ্ছা বাসায় গিয়ে আপনার সব গল্প পড়বো আমরা।
বিকেলে আমাদের পক্ষের লোক আসলো। খাওয়া দাওয়া হলো।
এইদিকে আমার ফোন নিয়ে গল্প পড়ায় ব্যস্ত আমার দুই শালী।
-এই যে আপুরা। এতো প্রেমের গল্প পড়লে আবার ভিতরে প্রেম চলে আসবে তোমাদের।
তখন আবার আমার ছোট ভাইদের সাথে লাইন মারতে চাইবে।
-উহ... একটা ভাই ও তো নাই আপনার।
যেই কাজিনগুলা আছে। একেকটা একেক রকম বান্দর স্টাইলে ঘুরে বেড়ায় সামনে।
ওসব স্টাইলওয়ালা ছেলেদের ভালো লাগেনা দুলাভাই।
আপনার মতো একটা সুইট শান্ত পোলা থাকলে না হয় দেখতাম।
এই বলে হি-হি হাসছে দুই বোন।
-আচ্ছা আমার মতো পোলাই খুঁজবো নে। এখন ফোনটা দাও। একটুপর বিদায় নিতে হবে।
-দুলাভাই আপনার গল্পের ভক্ত হয়ে গেলাম আমরা। দারুন লেখা।
আমরাও ফেসবুক আইডি খুলে আপনাকে বন্ধু করে নেবো নে।
-ওকে নিও। এখন যাও তোমাদের আপুকে তাড়াতাড়ি সাজিয়ে বের করে দাও।
রাত আটটার দিকে গাড়িতে উঠলাম।
শ্বশুড়-শ্বাশুড়ী সহ বাড়ির সবাই মৌ কে আমার হাতে তুলে দিয়ে দোয়া করে দিলো।
আমার শ্বাশুড়ী বারবার কান্নাজড়িত কন্ঠে আমার হাত ধরে তার মেয়েটাকে আমার হাতে তুলে দিলো।
তার মেয়েটাকে যেন দেখে রাখি।
বুকে আগলে রাখি।
এইদিকে মৌ এর ছোট বোনদুটোও বোনকে ধরে কাঁদছে।
এতো মায়া, এতো ভালোবাসা দেখে সত্যিই আমি কেমন যেন হয়ে যাচ্ছি।
শালী দুটো আমার হাত ধরে কেঁদে কেঁদে বলছে আমার আপুটাকে দেখে রেখো ভাইয়া।
মনের ভিতরটা কেমন জানি কেঁদে উঠছে আমার।
শালী দুটোকে আপন বোনের মতো বুকে জড়িয়ে বললাম তোমরা ভালো থেকো বোন।
তোমাদের বোনকে দেখে রাখবো আমি।

গাড়ি ছেড়ে দিয়েছে। মৌ এখনও ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদছে। ওর মাথাটা আমার ঘাড়ে রাখা। নানান চিন্তা আমার মাথায় ভর করছে! কি করবো আমি? একদিকে ভালোবাসার মানুষ, অপরদিকে এক সহজ সরল মেয়ে। আমি কি পারবো ভালোবাসার মানুষটাকে না করে দিতে? অথবা আমি কি পারবো এই নিরীহ মেয়েটাকে স্বামীহারা করতে? আমি পথহারা পথিকের মতো পথের মাঝখানে দাঁড়িয়ে আছি। এখান থেকে কোন এক রাস্তা বেছে নিতে হবে আমায় নিজেকেই। এক ঘন্টার ভিতর বাড়িতে পৌছে গেলাম। গাড়ি থেকে সবাই নামছে। মৌ এখনও আমার ঘাড়ে মাথা রেখে শুয়ে আছে। মনে হচ্ছে ওর কথা বলার বা নেমে হেটে যাওয়ার শক্তি নাই দেহে। আস্তে করে ওকে ধরে নামিয়ে ঘরে নিয়ে এলাম। মেয়েটা ভেঙ্গে পড়েছে। হয়তো তার পরিবারকে ছেড়ে আসায় খারাপ লাগছে। আবার স্বামীকে আপন করে পাবেনা এটা ভেবে আরো মানষিক চিন্তায় আছে হয়তো। ওকে কোনভাবে বিছানায় শুইয়ে দিলাম। দরজাটা আটকে খাটে বসে পড়লাম। একটা সিগারেট বের করে ধরালাম। মৌ যেভাবে শুইয়ে দিয়েছি ওভাবেই শুয়ে আছে। সিগারেট টানছি আর চেয়ে আছি ওর মায়াবী মুখটার দিকে। কি করে পারবো এই মেয়েটাকে স্বামীহারা করে জনম দুঃখী করে দিতে? সিগারেটটা শেষ করে ফেলে দিলাম। প্যান্ট খুলে লুঙ্গি পড়লাম। দারুন গরম পড়েছে আজ। ফ্যানটা ছেড়ে দিয়ে মৌ ভালোভাবে শুইয়ে দিচ্ছি। হঠাৎ মনে পড়লো শাড়ী পড়ে ও তো ঘুমাতে পারে না। আস্তে করে ওকে টেনে তুলে বসালাম। আমার বুকে মাথা ঝুকে আছে মৌ। আমি নিজ হাতে ওর পরনের শাড়ি খুলে দিচ্ছি। এরপর গলা, কানের গয়না ও কোমরের বিছাটাও খুলে দিলাম। বুক থেকে আস্তে করে শুইয়ে দিলাম ওকে। মৌ আমার দিকে চেয়ে আছে। চোখ গড়িয়ে পানি পড়ছে ওর। আমি হাত দিয়ে ওর চোখের পানি মুছে দিলাম। এরপর অনেক্ষন চুপচাপ শুয়ে আছি। হঠাৎ আমার শরীরের উপর ওর হাত পড়লো! জড়িয়ে ধরেছে আমায়। আমি ওর দিকে তাকালাম। ঘুমিয়ে গেছে ও। মুখটা কাছে নিয়ে আস্তে করে কপালে একটা চুমো দিলাম। বুকের মাঝে জড়িয়ে নিলাম ওকে। এভাবে ঘুমিয়ে গেলাম। পরদিন ভোরে উঠেই বেরিয়ে পরলাম মাঠের দিকে। জুঁই কে কল দিলাম... কোথায় তুমি? (আমি) -বাড়িতে। (জুঁই) -একটু মাঠের দিকে আসো। -কেনো? -কথা আছে। -ওকে আসতেছি দাড়াও মাঠে। এই বলে ফোন কেটে দিলো জুঁই। জুঁইদের বাড়ি আমাদের গ্রামের পাশের গ্রামেই। আর যে মাঠে দেখা করবো এটা দুই গ্রামের মাঝখানে। মাঠে গিয়ে বসে ভাবছি আগের দিনের কথা। কেন জানি আমার মা, বাবা জুঁইয়ের কথা শুনতে পারেনি। ওর কথা বারবার বলেছিলাম বাড়িতে কিন্তু বাবা বলেছে ঐ মেয়েরা ভালো না। কিন্তু আজ পর্যন্ত খারাপের কিছু দেখিনি জুঁইয়ের মাঝে আমি। আর এটাও জানি আমার মতো জুঁইও আমাকে খুব বেশি ভালোবাসে। কিন্তু বাবা, মার চোখে কেন খারাপ ও তা আজো বুঝিনি। জুংই দেখা যাচ্ছে কাদে একটা ব্যাগ নিয়ে আসছে। মনে হচ্ছে কতোদিন পর ওকে দেখছি। ও এসেই আমার হাত ধরে টেনে বলছে চলো। -কোথায় যাবে? এখানেই বসো কথা বলি। (আমি) -মানে? কথা বলার সময় নাই। চলো বিয়ে করবো কোর্টে গিয়ে। -কি বলছো এসব! আমি তো তোমায় ডেকেছি একটু কথা বলার জন্য। এখন তো বিয়ে করার সময় না। -চুপ, আমায় যদি সত্যি ভালোবেসে থাকো তবে এখনি বিয়ে করতে হবে। নইলে চিরতরে হারাবে আমায়।আমি জুঁইয়ের কথায় কোনকিছু না ভেবেই ওর সাথে চলে গেলাম। কোর্টের কাছে যেতেই ২/৩ টা ছেলে আর মেয়ে আসলো ওর কাছে। বুঝলাম সাক্ষির জন্য ওদের আগেই ফোন করে আসতে বলেছে এখানে। কোর্টে আমাদের বিয়ে হয়ে গেল। বাইরে এসে জুঁই আমায় বলল... বিকেলে তুমি বাড়ি থেকে বের হবে। আমিও বের হয়ে মাঠে এসে থাকবো। ওখান থেকে আমায় নিয়ে দুরে কোথাও চলে যাবে। মনে থাকে যেনো... নইলে কিন্তু আমি তোমার বাড়িতে গিয়ে উঠবো। এই বলে বিদায় নিয়ে চলে গেল জুঁই। আমি অবাক চোখে চেয়ে আছি ওর দিকে! এসব কি হয়ে গেল এক মুহুর্তে! আমি খুব টেনশনে পড়ে গেলাম। হাটতে হাটতে বাড়িতে আসলাম। বিছানায় হাত পা মেলে শুয়ে পড়লাম। কি করবো এখন আমি? একদিকে নতুন বউ মৌ বাড়িতে। অন্য দিকে জুঁই কে কোর্টে গিয়ে বিয়ে করলাম। কেমন যেন এলোমেলো হয়ে গেল সব। একটুপর মৌ বিছানায় এসে বসলো। আমার কপালে চিন্তার ভাজ দেখে মাথায় হাত রাখলো মৌ। -কি হয়েছে তোমার? মাথা ব্যথা করছে? এই বলে মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছে মৌ। আমি ওর দিকে চেয়ে আছি। ওকে যতো দেখি ততো বেশি মায়া"য় পড়ে যাই। -আচ্ছা মৌ' আমি যদি তোমায় তাড়িয়ে দিতে চাই বা খুব কষ্ট দেই তুমি চলে যাবে আমার কাছ থেকে। আমার এই কথা শুনে মৌ একটু চমকে যাওয়ার মতো দৃষ্টিতে তাকালো আমার দিকে! -কোন মেয়ে স্বামীর বাড়ি আসলে সে যাওয়ার জন্য আসেনা। হাজার কষ্ট সয়েও সে স্বামীর ঘরে থাকতে চায়। তবে তুমি যদি আমাকে না রাখো তোমার সংসারে বাধ্য হয়ে আমায় চলে যেতে হবে। আর এতে আমার চেয়ে আমার পরিবারের লোক হয়তো বেশি কষ্ট পাবে। তবুও তোমার যদি এটাতে ভালো হয় আমি চলে যাবো। আর যদি কোনভাবে আমায় তোমার এই সংসারে ঠায় দেয়া যায় তবে আমি খুবই খুশি হবো। কিচ্ছু লাগবে না আমার। শুধু দু বেলা দু মুঠো ভাত আর একটু কাপড় দিলেই চলবে। আমি চাকরানীর মতো সব কাজ করবো। কোন অধিকার চাইবো না। এতে হয়তো আমার পরিবারের লোক কষ্ট পাবেনা। তারা জানবে তাদের মেয়ে সুখে আছে। আর এতেই আমার সুখ হবে। বাকিটা তোমার ইচ্ছা। যদি সম্ভব হয় আমায় কাজের মেয়ে হিসেবে একটু ঠাই দিও। তুমি তোমার ভালোবাসার মানুষকে বিয়ে করে নিয়ে আসো কিচ্ছু বলবো না। এই বলে মৌ আমার পা ধরে কাঁদছে। আমি ওকে টেনে বুকে জড়িয়ে নিলাম। -আমি তোমায় না জানিয়ে একটা ভুল করে ফেলেছি মৌ। আমি খুব টেনশেনে আছি। কি করবো বুঝতে পারছি না। -কি করেছো তুমি আমায় বলো। আমি তো আগেই বলেছি আমি বন্ধুর মতো তোমার উপকার করবো। তোমার কোন কাজে আমি বাঁধা দেবো না। শুধু আমায় একটু ঠাই দিও এটাই আমার চাওয়া। -আমি আজ জুঁইয়ের সাথে দেখা করতে গিয়েছিলাম। কিন্তু গিয়ে আমায় ওকে কোর্টে গিয়ে বিয়ে করতে হয়। এবং বিকেলে ওকে নিয়ে কোথাও চলে যেতে হবে এটাও বলে দিয়েছে। নইলে ওকে চিরতরে হারাতে হবে। আমি এখন কি করবো মৌ? এসব বলে মৌ এর দিকে তাকালাম। ওর মুখটা ছোট হয়ে গেছে। আমার দিকে তাকিয়ে কষ্ট চেপে বলতেছে... -ঠিক আছে তুমি যাবে। আমি এইদিকটা সামলে নেবো। মৌ মুখে এই কথা শুনে আমি অবাক হয়ে তাকালাম মেয়েটার দিকে! আল্লাহ্ কি দিয়ে বানাইছে ওরে?! এই মেয়েটাকে কোন কিছু না দিয়ে একবুক যন্ত্রনা উপহার দিচ্ছি আর ও তা হাসিমুখে মেনে নিচ্ছে। আমি পাগলের মতো ওকে বুকে জড়িয়ে নিলাম। আমার মনে হচ্ছে আমি খুব বড় ভুল করছি। খুব বেশি অন্যায় করতেছি এই অসহায় মেয়েটির উপর। ও আমার মাথায় হাত বুলিয়ে বলছে... গোসল করে আসো। আমি খাবার বাড়ছি। বিকেলে তুমি যাবে ওনার কাছে। এখন খেয়ে একটু নিশ্চিন্তে ঘুমাও.. বাকিটা আগামিতে পোস্ট হবে, গল্প পড়ে কেমন লাগলো কমেন্টে জানাবেন.....