Nov 11, 2018

ইসলামে স্বামী স্ত্রীর ভালোবাসার গল্প পর্ব - ১২



"শায়খ"
পর্ব বারো.....
--ওরে অাল্লাহ রে.......
এত্ত বড় সাপ কেন!
অামিনা!ও অামিনা!বের হও,বের না হলে দরজা খুলো......
খুলো না কেন?দরজা খুলো তাড়াতাড়ি,এত্ত বড় সাপ!!!
গোসলের জন্য গোসলখানায় গিয়েছিলাম,এক মিনিটের মাথায় ই শায়খের চিৎকার শুনে তাড়াতাড়ি দরজা খুললাম।দরজা খোলা মাত্র উনি তড়িঘড়ি করে ওয়াশরুমে ঢুকলেন।অামি তো ভয়ে চুপসে গেছি,অাসলেই কি সাপ?
--কি হলো?কোথায় সাপ?এত অশান্ত হয়ে অাছেন কেন?
--ইয়া অামিনা,অার বলিওনা,কত বড় সাপ।ওমাগো!অামি দেখেই ভয় পেয়ে গেছি,তাই তাড়াতাড়ি চলে এলাম।
--সাপ!!কোথায়?দরজার ফাঁক দিয়ে যদি ওঘরে চলে যায়?অাপনি সাপটাকে কিছু দিয়ে বাড়ি দিয়ে মেরে ফেলতে পারলেন না?যদি কাউকে কামড় দেয়?
ব্যতিব্যস্ত হয়ে বললাম অামি।
--না...অাসলে,
ওটা তো কাউকে কামড় দিতে পারবেনা।দরজার ফাঁক দিয়ে কিভাবে বের হবে?ওটা তো নড়তে পারছে না,কিন্তু কত বড় সা....
--নড়তে পারছে না?তার মানে অাপনি মেরে ফেলেছেন সাপটাকে?অাপনি কি পাগল?জানেন না অনেক সময় জ্বীনেরা সাপের রূপ ধারণ করে চলে অাসে।তাই সাপ মারার অাগে তিনবার বলতে হয় জ্বীন হলে চলে যেতে!এটা হাদিসে অাছে।এখন যদি কোনও সমস্যা হয়?উফফ.!
--না,অামিনা....
অাসলে অামি তো......
অামি তো সাপকে কিছু দিয়ে বাড়ি মারি নি।
কাঁচুমাচু হয়ে বললেন উনি।
--তাহলে?কি বলছেন এসব অাবল তাবল?সাপ দেখে মাথা কাজ করছে না?অাপনি এত ভীতু!
--না না,অাগে তো কথাটা শুনবে তুমি।হটাৎ অামার ঘুম ভেঙে গেলো,পাশে দেখি তুমি নেই।ওটা শুয়ে অাছে,তো অামি....
--ওটা!!মানে সাপ?তার মানে ওটা জ্বীন ই ছিলো,ইন্নালিল্লাহ.....
--এই,ওয়াশরুমে কেন বলছ এসব?গুনাহ হলে?
--অাপনি জ্বিনটাকে কেন মারলেন অাগে সেটা বলুন!যদি গুনাহ হয়?কেন এ.....
--অারে অারে অাহলিয়া,শুনবে তো!
অামি সাপটাকে কিভাবে মারব বলো?সাপটা তো দেখ,এই যে,এই....
উনি ফোন থেকে অামাকে একটা সাপের ছবি দেখালেন।
অন্য সময় হলে অামার মাঝে কেমন প্রতিক্রিয়া হতো কে জানে,কিন্তু এই মুহূর্তে কপট রাগ নিয়ে অামি উনার দিকে ভ্রু কুঁচকে তাকিয়ে অাছি।
উনি কয়েক সেকেন্ড অামার দিকে তাকিয়ে থেকে চোখ নামিয়ে নিলেন।কাঁচুমাচু হয়ে বললেন,
--তুমি রাগ করেছ?অামি তো মিথ্যা বলিনি বলো।সত্যি সত্যিই দেখো কত বড় সাপ,এটা দেখেই তো গলা শুকিয়ে গেছে।তাই ভয়ে চলে এসেছি।অাসলে অামি...
--ভয়ে চলে এসেছেন?
--না না,ভয় কেন পাব?অামি কি ভীতু নাকি?হাহ!
অামি তো এসেছি, একটা সুন্নাহ পালন করতে।একই পাত্র থেকে পানি নিয়ে গোসল করা সুন্নাহ তো।
--তো অামি বের হওয়ার পর অাপনি গোসল করলেও তো একই পাত্র ই থাকতো,তাইনা? এত নাটক করে অাসার কি দরকার ছিল?তাছাড়া এটাচ বাথরুম।অাসার সময় কোন পা দিয়ে এসেছেন কে জানে?দুঅাও পড়েন নাই।
ভ্রু নাচিয়ে বললাম অামি।
--অাচ্ছা,দাঁড়াও বের হয়ে যাই....
বলেই প্রথমে ডান পা,পরে বাম পা দিয়ে উনি বের হয়ে,
"গুফরনাকা অালহামদুলিল্লাহিল্লাযী অাযহাবা অান্নিল অাযা ওয়া অা'ফানি" পড়লেন।তারপর,
"বিসমিল্লাহি অাল্লাহুম্মা ইন্নি অাউযুবিকা মিনাল খুবুছি,ওয়াল খবাইছ" পড়ে প্রথমে বাম পা,পরে ডান পা দিয়ে প্রবেশ করলেন।
--এবার হয়েছে অাহলিয়া?
--অাপনি বের হয়েও অাবার এলেন কেন?
--না,ভাবলাম অারকি,এসেই যখন পরেছি গোসলটা করেই যাই,
দাঁত কেলিয়ে হাসছেন উনি।অামার প্রচণ্ড হাসি পেলেও অামি ভ্রু কুঁচকে রেখেছিলাম।অামার তাকানো দেখেই সম্ভবত উনি ঢোক গিললেন।চোখগুলো নিচু করে মুখ কালো করে,
--ঠিক অাছে,চলে যাই
বলে উনি পিছন ফিরে তাকালেন।এবার অামি হেসে ফেললাম।হাসতে হাসতে এবার অামার চোখে পানি চলে অাসার উপক্রম।কোথায় যেন পড়েছিলাম,হুজুররা অনেক রোমান্টিক হয়,অাসলেই তাই।
…………………………………
…………………………………
…………………………………
তাহাজ্জুদের পর উনি অামার পড়া নিলেন,উস্তাযার কাছ থেকে তাজউইদ সঠিকভাবে পড়ছি কিনা দেখলেন।তারপর ফজর পড়ে অামার কোলে মাথা রেখে সূরা ইয়াসিনের প্রথম দশ অায়াত অর্থসহ নিজেও মুখস্থ করলেন,অামাকেও মুখে মুখে পড়িয়ে মুখস্থ করিয়ে নিলেন।
তারপর রুটিন মত ঘর ঝাড়ু দিয়ে অামায় নাস্তা বানাতে সাহায্য করছিলেন,এমন সময়ে মায়ের চিৎকার চেঁচামেচিতে অামরা চমকে ওই ঘরে যাই।
--দেখো রূপা,ভালোয় ভালোয় বলছি,অনেক চাকরি করেছ,অার করার প্রয়োজন নেই।তুমি দেখছি অামার ছেলেটাকে দাইয়্যুস বানিয়ে ছাড়বে।কাল রাতে এত বোঝানো সত্ত্বেও তুমি এখন সেজেগুঁজে অফিস যাচ্ছ?জানো মুখ ঢাকা ফরজ যে?তোমার এই সাজগোঁজের জন্য কত ছেলের চোখের যিনাহ হতে পারে,জানো?!
--মুখ ঢাকা ফরজ!! এসব উদ্ভট কথা কোথায় পান অাপনি?এই অামিনা মেয়েটার সাথে থেকে থেকে অাপনার মাথা গেছে বুঝলেন?অাপনার ছেলে নিজে তো জঙ্গি,মেয়ে একটাকে কোথা থেকে খুঁজে এনেছে,সে অারেক জঙ্গি,অসামাজিক একটা মেয়ে।এখন তারা অাপনার মাথা খাচ্ছে।
--মাথা খাচ্ছে না বরং ওরা অামাকে সিরাতুল মুস্তাক্বিম চেনাচ্ছে।মুখ ঢাকা ফরজ বুঝেছ?এটা কুরঅানে অাছে।অামিনা,সেদিন না তালিমে এটা বলেছিল।তুমি একটু বলো তো রূপাকে।কুরঅানে কোথায় কোথায় মুখ ঢাকা ফরজ যে এটা অাছে?
অামি কাঁচুমাচু হয়ে বললাম,
--অাপা,সূরা অাহযাবে.....
--শাট অাপ ইউ ইলিটারেট গার্ল।কয়বার বলব অামাকে অাপা না বলতে?অার সূরা ক্বিরাত কি অামাকে তোমার কাছ থেকে শেখা লাগবে নাকি?লিসেন,অামি যথেষ্ট জানি ইসলাম নিয়ে,অার সেটা মানি ও।তুমি নিজের চরকায় তেল দাও,বুঝেছ?কোথা থেকে তুলে এনেছে কে জানে?ম্যানার বলতে কিছু নেই এই মেয়ের মাঝে।অারে এর চেয়ে তো পাশের বাড়ির.....
ঠাশ!!
হটাৎ কি হলো কে জানে!অামার শ্বাশুড়ি মা বড় জায়ের মুখে চড় মেরে দিলেন।এতক্ষণ শায়খ চোখ নিচু করে ছিলেন,এই প্রথম চোখ তুলে তাকালেন।ঘটনা বুঝেই অামার শায়খ তড়িঘড়ি করে এসে মাকে সামলালেন।চেয়ারে বসিয়ে গ্লাসে পানি ঢেলে খাওয়ালেন।বড় জা কিছুক্ষণ স্তব্ধ হয়ে দাড়িয়ে ছিলেন।পরে রাগত স্বরে মাকে এসে বললেন,
--অাপনি হয়ত ভুলে গেছেন দেশে অাইন অাছে।অামি অাজকেই গৃহবধূ নির্যাতনের জন্য মামলা দায়ের করব।অামার জীবন,অামি কিভাবে কাটাবো অামার ইচ্ছা!অাপনি বলার কে?
কদিন অাগেও তো শবে বরাত শবে কদর ছাড়া নামায পড়তেন না।এখন খুবই সূফী সাজছেন দেখি!অবশ্য এখন তো বয়স হয়েছে তাইনা?এক পা কবরে,অারেক পা মাটিতে,তাই এত ধর্মকর্ম করছেন।অামার সময় হলে অামিও করব,অাপনাদের শিখিয়ে দেওয়া লাগবে না।
অার এই মিডল ক্লাস মেয়েটার জন্য অামার গায়ে হাত তুললেন না?এর বদলা তো অামি নিব ই।মনে রাখবেন,সংসারের অর্ধেক খরচ কিন্তু অামার অার অাপনার বড় ছেলের পকেট থেকেই অাসে।
বলে গটগট করে হেঁটে চলে গেলেন তিনি।
অামার শায়খ মাকে তেলে বেগুণে জ্বলে উঠতে দেখে সবর করতে বললেন।বলতে থাকলেন,
--মা,তুমি উনার মুখে অাঘাত করলে কেন?এটা গুনাহ না?
--রাগে করছি,বেটা,রাগে করছি।এখন কি করতে হবে বল?ওর পা ধরে মাফ চাইবো?
--এখনও রেগে অাছ তুমি?মা!
জানো হাদিসে কি এসেছে?প্রকৃত বীরপুরুষ সে,যে রাগের সময় নিজেকে কন্ট্রোল করে।
--ওখানে পুরুষের কথা বলছে,অামি পুরুষ না।
মায়ের কথায় ফিক করে হেসে দিলেন উনি।মায়ের হাত জড়িয়ে বললেন,
--তুমি হলে বীর নারী, বুঝলে?এখন শুনো,ভাবির গায়ে হাত তুললে কেন?
--ও তোর বউয়ের সাথে এভাবে কথা বলছিল কেন?
--তাতে কি হয়েছে?অামিনাকে তো তুমি ভালবাসো না,ছেলের বউ হিসেবে মানো না,তুমিই তো বলেছিলে।তাহলে ওর সাথে খারাপ ব্যবহার করলে কি এমন হবে?
--থাপ্পড় কি এখন তুই খাবি?কখন কি বলেছি এখনও সেসব নিয়ে পড়ে অাছিস কেন?এই মেয়ে,এদিকে এসো,কোন কোন সূরায় মুখ ঢাকা নিয়ে বলেছে অামার বেটা সেগুলো বলবে,তুমি খাতা কলম নাও।তাড়াতাড়ি করো,লিখো এবার।
--
১.সূরা অাহযাবের ৫৯ নং অায়াতে অাছে,
"হে নবী! আপনি আপনার পত্নীগণকে,কন্যা
গণকে এবং মুমিনদের স্ত্রীগণকে
বলুন,তারা যেন তাদের চাদরের কিয়দাংশ
নিজদের উপর টেনে দেয়,এতে তাদের
চেনা সহজ হবে,ফলে তাদের উত্যক্ত করা
হবে না,আল্লাহ ক্ষমাশীল পরম দয়ালু!"
এই আয়াতে স্পষ্ট ভাবে চেহারার পর্দার
কথা বলা হয়েছে,
'চাদরের কিয়দাংশ নিজের উপর টেনে
দেয়'
বাক্যটিই প্রমান করে এখানে
গায়ের চাদরের কিছু অংশ মুখের উপর
টেনে দেয়ার কথা বলা হয়েছে......
২.সূরা অান নূরের ৩১ নং অায়াতে অাছে,
".... তারা যেন যা সাধারনত প্রকাশ্যমান
তা ব্যতীত তাদের সৌন্দর্য প্রদর্শন না
করে..."
এই আয়াতটির ভুল ব্যাখ্যা করে অনেকে মুখ
খোলা রাখার ব্যাপারে যুক্তি
দেখান,কারন এখানে বলা হয়েছে যা
সাধারনত প্রকাশমান!
সুতরাং তারা চেহারা কে প্রকাশ্য বস্তু
ধরে নিয়েছে!
অথচ যা দৃশ্যত প্রকাশমান বলতে নারীর
দৈর্ঘ ও খর্বতা,কৃশতা ও স্থুলতা,বাতাসের
দোলে বোরকার নিচের পোশাক বা
দেহের কোন অংশ দেখা যাওয়া কে
বুঝানো হয়েছে,
অর্থাৎ নারীর সৌন্দর্যের কোন কিছু অনিচ্ছায় প্রকাশিত হওয়ার বিষয়টি পর্দার হুকুম থেকে বিযোজ্য।
সেজন্যই উক্ত আয়াতে আল্লাহ 'নারী
নিজে যা প্রকাশ করে' কথাটি বলেননি।বলেছেন, যে সৌন্দর্য নারীর স্বেচ্ছা
সম্পাদন ব্যতীত এমনিতেই প্রকাশিত হয়ে যায়।
সুতরাং হাত,মুখ,পা এগুলোও পর্দার
অন্তর্ভুক্ত..
৩.সূরা নূরের ৩০ নং অায়াতে অাছে,
"মুমিনদের বলুন,তারা যেন তাদের দৃষ্টি কে
নত রাখে এবং লজ্জাস্থানের হিফাযত
করে,এতে তাদের জন্য খুব পবিত্রতা
আছে,নিশ্চয় তারা যা করে আল্লাহ তা
অবহিত আছেন।"
প্রতিটি বিবেকবান ব্যক্তিই বুঝবে এই আয়াতে কি বুঝানো হয়েছে..
নারীর চেহারা পর্দামুক্ত রাখার অর্থই হল তারা যেন পুরুষদেরকে তাদের দেখার
প্রতি আমন্ত্রন জানাচ্ছে।
৪.সূরা নূরের ৩১ নং অায়াতে অাছে,
"ঈমানদার নারীদের বলুন,তারা যেন
তাদের দৃষ্টি কে নত রাখে এবং তাদের
লজ্জাস্থানের হিফাযত করে,এবং
সৌন্দর্য প্রদর্শন না করে।"
প্রথমে পুরুষদের দৃষ্টি নত রাখতে বলা হয়েছে,পরবর্তী আয়াতেই নারীর সৌন্দর্য
প্রদর্শন করতে নিষেধ করা হয়েছে...
মানে কি দাঁড়াল?
আপনি সৌন্দর্য প্রদর্শন করলে পুরুষ রা তাকাবেই,তাই নারীর পর্দা পুরুষদেরকে তাদের দৃষ্টি অবনত রাখতে সাহায্য করবে...
৫.এবং সূরা নূরে অারও অাছে,
"তারা যেন তাদের গোপন সাজসজ্জা
প্রকাশের জন্য জোরে পদচারণা না করে।"
নারীর জন্য পায়েল বা নুপুরের শব্দ নিয়ে ঘর থেকে বের হওয়া হারাম, নুপুরের রিনিঝিনি শব্দ পুরুষের মনে
ফিতনার উদ্রেগ ঘটাতে পারে, নারীর জন্য যেহেতু শব্দ তোলে এমন কিছু
পরিধান করার বৈধতা টুকুও নেই,
তাহলে চেহারা খোলা রাখা বৈধ হয় কিভাবে?
৬.সূরা অাহযাবের ৩৩ নং অায়াতে অাছে,
"তোমরা গৃহাভ্যন্তরে অবস্থান
করবে,মূর্খতা যুগের অনুরূপ নিজেদেরকে
প্রদর্শন করবেনা....."
যদিও জাহিলী যুগের নারীরা অধুনা বিশ্বের নারীদের মত বাহু,কাঁধ,বক্ষ, পিঠ,উরু উন্মুক্ত করে চলত না,
তারা কেবল চেহারা খোলা রাখত,বড়জোর চুল বের করে চলত।
তদুপরি অজ্ঞতার যুগের অধিকাংশ নারীই চেহারা পর্দাবৃত রাখত,সেকালের কাব্য সাহিত্য থেকে এমনটিই
জানা যায়।
এরপরও আল্লাহ ইরশাদ করেন 'অজ্ঞতা
যুগের অনুরূপ নিজেদের প্রদর্শন করবে না'।
৭.সূরা অাহযাবের ৫৩ নং অায়াতে অাছে,
"তোমরা তার (নবী) পত্নীগণের কাছে কিছু চাইলে পর্দার আড়াল থেকে চাইবে,
এটা তোমাদের অন্তরের জন্য এবং তাদের অন্তরের জন্য অধিকতর পবিত্রতার কারন!"
(সূরা আহযাবঃ৫৩)
আয়াত টি চেহারার পর্দার আবশ্যিকতার ব্যাপারে সুস্পষ্ট দলিল।
এখানে নবী পত্নীদের সম্মোধন করা হলেও তা উম্মতের জন্য ব্যাপকভাবে প্রযোজ্য........
লিখা শেষ করে খাতাটা বাড়িয়ে দিলাম মাকে।মা হটাৎই শায়খকে বলে উঠলেন,
--বেটা,অামায় এক জোড়া হাত মোজা অার এক জোড়া পায়ের মোজা এনে দিবি বেতন পেলে?
অামার শায়খ চমকে মায়ের দিকে তাকালেন।অামি জানি অামার শায়খ এখন কেঁদে ফেলবেন।মায়ের এমন বদলে যাওয়া রূপ তো তিনি অাগে দেখেন নি।
ইনশাআল্লাহ চলবে........

3 comments


EmoticonEmoticon